Image description

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়া বলেছেন, “অতীতে আওয়ামী লীগের যেসব ছেলে জিন্সের প্যান্ট এবং টি-শার্ট পরতো এখন তারা সেটি বাদ দিয়ে দাড়ি রেখে পাজামা-পাঞ্জাবি পরে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছে।”

তার ভাষ্য, জামায়াতের ছত্রছায়ায় থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের লোকেরা এগুলো করছে।

 

শুক্রবার রাতে ‘নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র? উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে রাজনীতিতে’ শীর্ষক এক টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

শো’টিতে সেলিম ভুঁইয়া ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

ওই শো'তে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়া বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধ্বংস করছে জামায়াত। এই মন্ত্রণালয়ের পদায়ন ও বদলি করতেন নুরুজ্জামান নামের এক যুগ্মসচিব, যিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি। আমাদের অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর সম্প্রতি তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। বিএনপির কেউ কোনো জায়গায় গেলে উনাদের গাত্রদাহ হয়। এই সভাপতি বিএনপির নাম-গন্ধ আছে এমন একটি ব্যক্তিকেও পদায়ন করেনি।”

 

তিনি আরও বলেন, “নুরুজ্জামানের বাড়ি যশোরে। তার ভাই, ভগ্নিপতি এবং আত্মীয়স্বজনদের যশোর বোর্ডে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের সকল শিক্ষা বোর্ড জামায়াত নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রত্যেক বোর্ডে জামায়াতের চেয়ারম্যান দেওয়া হয়েছে। জুলাই বিপ্লব হয়েছে কি এই জামায়াতকে এখানে বসানোর জন্য?”

 

বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, “এখন বিএনপি নির্বাচন চায়, কারণ বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আর জামায়াত নির্বাচন চায় না, কারণ তারা জানে যে তিনটা সিটও পাবে না। তারা ড. ইউনূস সাহেবের মতো একজন ভদ্রলোককে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা হাসপাতাল ও মিডিয়া দখল করেছে। এখন তারাই বড় বড় কথা বলে। তাদের এখন কি অবস্থান বাংলাদেশের মানুষ এটা জানে।”

 

তিনি বলেন, “একাত্তরে যেমন তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল, এখন আবার ষড়যন্ত্র করে দেশকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দখল করে নিয়েছে। তারা আজকে সংবিধান চেঞ্জ করার কথা বলে। তাদের কী ক্ষমতা আছে সংবিধান পরিবর্তন করার? এই সরকারের কী আছে? সংবিধান পরিবর্তন করবে নির্বাচিত সরকার।”

 

তিনি আরও বলেন, “জামায়াত মনে করে নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসবে। আর বিএনপি নির্বাচনে গেলে ষড়যন্ত্রকারী প্রত্যেকের বিচার হবে সেটা জেনেই তারা আজকে এই পথ বেছে নিয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগের লোকজন জামায়াতের ছত্রছায়ায় চলে যাচ্ছে। অনেক এমন উদাহরণ আছে। যারা নাকি আওয়ামী লীগ করতো সেই ছেলেরা আগে জিন্সের প্যান্ট পরতো টি-শার্ট পরতো এখন সেটি বাদ দিয়ে তারা দাড়ি রেখে পাজামা-পাঞ্জাবি পরে। তাদের তো মূল টার্গেটই ছিল চাঁদাবাজি, সেজন্য তারা জামায়াতের সঙ্গে থেকে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করে।”