জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে সারা দেশের মতো কুমিল্লার দেবিদ্বারেও অসংখ্য মানুষ ফ্যাসিস্টদের হাতে খুন হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ জহিরুল ইসলাম রাসেলের পরিবারের খোঁজ নিতে দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুরে তার বাড়িতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। রাসেল ওই গ্রামের মৃত শাহ আলম সরকারের একমাত্র ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাসেলের সাড়ে তিন বছরের শিশু মেয়ে ঝুমাকে কোলে নিয়ে বেশকিছু সময় তাদের বাড়িতে বসে থাকেন হাসনাত। রাসেলের মা মোর্শেদা বেগম ও স্ত্রী জান্নাত ফেরদৌসকে সমবেদনা জানান এবং পরিবারের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন তিনি।
রাজধানীর গুলিস্তানে একটি জুতার কারখানায় কাজ করতেন রাসেল। ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
এর আগে হাসনাত আবদুল্লাহ তার নিজ গ্রাম গোপালনগরে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত মুসলিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ঈদগাহের পাশে গোপালনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে কবর জিয়ারত ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
