
সুসাশনের জন্য নাগরিক 'সুজন' এর সদস্য ও বাংলাদেশ কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বিকি বলেছেন, “যারা নৌকা প্রতীক নিয়ে স্থানীয় নির্বাচন করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান-মেম্বার হয়েছেন তারা সারা বাংলাদেশে বহাল তবিয়তে আছেন। অপরপক্ষে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত সবাইকে অপসারণ করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের বাদ দিয়ে জুলাই আন্দোলনে যারা হাসিনার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে লড়াই করেছে তাদের পুনর্বহাল করে বৈষম্যের অবসান করা জরুরি হয়ে পড়েছে।”
রবিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের পূবাইলের কুদাব এলাকায় নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুসাশনের জন্য এলাকার সুশীল ও সামাজিকভাবে সৎ শিক্ষিত গ্রহণযোগ্য নাগরিককে শূন্যপদে ফ্যাসিবাদের দোসরদের স্থলাভিষিক্ত করা এখন সময়ের দাবি। ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে হবে স্থানীয় সরকার প্রশাসন। অন্যথায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় অচলতা ও স্থবিরতা কাটবে না।
নজরুল ইসলাম খান বিকি আরও বলেন, “গাজীপুর মহানগরে ঈমাম-খতিবদের ঈদ বোনাস ও মাসিক ভাতা বন্ধ করা সিটি করপোরেশনের ঠিক হয়নি। আর ন্যায্যমূল্যে ৫শ টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রি অসহায় দরিদ্র্য নাগরিকদের সঙ্গে মসকরা হিসেবে দেখছে নগরবাসী। সারাদিন অপেক্ষা করে রোজ(প্রতিদিনের শ্রমের আয়) নষ্ট করে সেই গোশতের কেজি পড়েছে পনেরশ টাকা। এই আচরণ গাজীপুর নগরবাসীর সঙ্গে যায় না। তাছাড়া পূবাইলের একমাত্র খোরাইদ বেদে পল্লীতে ঈদ সহায়তা প্রদান করা নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, সেই সহায়তাও এবার উপেক্ষিত। গাজীপুর মহানগর তথা সমগ্র বাংলাদেশে ঈদ আনন্দকে গরিব আসহায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে বিষয়গুলো খুব দ্রুত ভেবে দেখে জরুরিভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় স্থানীয় সরকারের অধীনে নির্বাচিত ফ্যাসিস্ট বিরুধীদের মতো গরিব আসহায় মানুষের ঈদ বৈষম্য তৈরি হবে।”