
ঈদুল ফিতরের আগে ঢাকা ও গাজীপুরের ৯০ শতাংশ পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করেছেন উদ্যোক্তারা।
ফলে বকেয়া বেতন ও ভাতা পরিশোধে অনিশ্চয়তার কারণে নিকট অতীতেও পোশাক খাতের শ্রমিকদের আন্দোলনে নামা ও সহিংসতার যে ঘটনা দেখা গেছে এবার তা এবার হয়নি।
পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের বড় সংগঠন বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৯০ শতাংশের বেশি কারখানার সব রকমের পাওনা পরিশোধ করা হয়ে গেছে। চলতি মার্চের বেতনের একাংশও কারখানা মালিকরা পরিশোধ করে ছুটি ঘোষণা করবেন। এখনো কোথাও বেতন-ভাতা নিয়ে সেরকম দাব-দাওয়া শুরু হয়নি। তা হলে (আন্দোলন) তো গাজীপুরেই হত।”
নির্বিঘ্নে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ কীভাবে সম্ভব হল সে কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “এবার বড় কয়েকটি কারখানা ছাড়া বেশিরভাগেরই আর্থিক কোনো সমস্যা নেই। যাদের আর্থিক সমস্যা ছিল, সেগুলো আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত গতিতে ব্যাংক অর্থায়নের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রকৃত সমস্যাগ্রস্তদের বেলায় সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে দ্রুততার সঙ্গে।”
ঈদুল ফিতরের আগে সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ না করায় ১২টি তৈরি পোশাক কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
কারখানা উদ্যোক্তা ও সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগের শেষ কর্মদিবসে শ্রমিকদের একাংশ চলতি মার্চ মাসের আংশিক বেতন আগাম নিয়ে বাড়ি ফেরা শুরু করবেন।
তারা বলেছেন, ঈদের আগে শ্রম অসন্তোষ যেন তৈরি না হয়, সেজন্য বেতন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করতে আগের বছরের চেয়ে উদ্যোক্তাদের তিনগুণ বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে সরকার। এ কারণে বেতন-ভাতা নিয়ে এবার আন্দোলনে যেতে হয়নি প্রায় সবগুলো কারখানার শ্রমিকদের।
তবে এর মধ্যেও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা কয়েকটি কারখানার কর্মীরা ঈদের আগে যাবতীয় পাওনা চেয়ে বিজিএমইএ ও সেগুনবাগিচায় শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
এবার ২০ রমজানের মধ্যেই পোশাক ও সব শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন, ঈদ ভাতা ও চলতি মার্চ মাসের বেতনের একাংশ পরিশোধ করতে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ-টিসিসি এর সভায় সিদ্ধান্ত হয় ১৩ মার্চ।
সে সভায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সদস্য হিসেবে শ্রমিক, মালিক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

গত সোমবার পর্যন্ত অর্থাৎ ২ রোজা পর্যন্ত ঢাকা ও গাজীপুর অঞ্চলের ৯০ শতাংশের বেশি কারখানার বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ হওয়ার তথ্য দিয়েছেন পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট শিল্প পুলিশের উপ-কমিশনার ছিবগাত উল্লাহ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকা, সাভার, গাজীপুর ও ঢাকার কারাখানার মধ্যে ৯০ দশমিক ৩ শতাংশের বেতন ও ঈদ বোনাস দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু কারখানায় সমস্যা দেখা দিচ্ছিল, আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করেছি। এবার খুব একটা সমস্যা হবে না। ঈদের আগেই সব পরিশোধ হয়ে যাবে আশা করছি।’’
তবে মঙ্গলবারও গাজীপুর ও ঢাকার সাভারের দুটি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। তার আগে রোববার গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ছিবগাত উল্লাহ বলেন, “কয়েকটি কারখানা অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের মালিকরা বারবার বকেয়া টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। তারা এখনো চাকরির সুবিধাগুলো পায়নি। অনেকে (উদ্যোক্তারা) পলাতক, সেসব কারখানার শ্রমিকরা কখনো কখনো মিছিল করেছিল। তবে, তারা রাস্তায় দাঁড়ায়নি।’’
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার অংশ হিসেবে গাজীপুর, সাভারের সড়ক সব সময় স্বাভাবিক রাখাতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও টহল অব্যাহত রেখেছেন বলে তুলে ধরেন তিনি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ঈদুল ফিতর হবে চলতি মাসের শেষ দিনে বা আগামী মাস অর্থাৎ ১ এপ্রিল।
তৈরি পোশাক খাতে মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু এবার ঈদের ছুটিতে যাওয়ার সময়েই চলতি মার্চ মাসের বেতনের একটি অংশ দাবি করেছেন শ্রমিকরা। এতে উদ্যোক্তাদের বেতন দেওয়ার তারিখ ১৫ দিন এগিয়ে আনতে হবে।
ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের সভায় সক্ষমতা অনুযায়ী শিল্প কারখানার মালিকদের মার্চের ১৫ দিনের বেতন ঈদের আগের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও ঈদের সময়ে নতুন করে শ্রম অসন্তোষ যেন না হয় সেজন্য শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয় সরকার।
উদ্যোক্তাদের অর্থের যোগান দিতে রপ্তানির বিপরীতে সরকারের দেওয়া প্রণোদনার অর্থও দ্রুত ছাড় করে। এমনকি ঋণ সমন্বয় না করে ঈদের আগে প্রণোদনার অর্থ উদ্যোক্তাদের হিসাবে দিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ এর তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানির বিপরীতে সরকারি প্রণোদনা জমা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। উদ্যোক্তারা এই অর্থ পাবেন সরকারের কাছে।
নারী কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করতে সরকার তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানির বিপরীতে বিভিন্ন হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে আসছে।
সেই প্রণোদনার অর্থ দ্রুত পরিশোধ করতে সম্প্রতি সরকারের কাছে চিঠিও দিয়েছে বাণিজ্য সংগঠনগুলোর একটি বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিকেএমইএ।
সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যাংকগুলো যদি দ্রুত অর্থ দিয়ে দেয় তাহলে কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে কোনো সমস্যা হবে না। সরকার অবশ্য এবছর অর্থ ছাড় বেশি করেছে। তাই মনে করি, সমস্যা হবে না।”
উদ্যোক্তারা রপ্তানির পরিমাণের চেয়ে প্রণোদানা বেশি চাচ্ছেন, এতে সরকার ও ব্যাংকগুলো অর্থ আটকে দিয়েছে, এমন অভিযোগও রয়েছে।
সে বিষয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “সেটা ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের সমস্যা। বাকিরা তো টাকা-পয়সা পেতে পারে।”

যেভাবে ঝক্কি ছাড়াই বেতন পরিশোধ
বিজিএমইএ বোর্ড ভেঙে দিয়ে গত অক্টোবর মাস থেকে প্রশাসক দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য সংগঠনটি পরিচালনায় উদ্যোক্তারা সরাসরি না থাকায় ১০ সদস্যের সহায়ক কমিটি গঠন করেছে সরকার, যেখানে উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে রাখা হয়।
বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আশা প্রকাশ করে বলেন, “সরকার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাংকগুলোকে প্রণোদনার অর্থ ছাড় করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এ কারণে অর্থের যোগাড় কারখানা মালিকদের জন্য সহজ হয়েছে। টাকা ছাড়ের সময়ে এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগে দেওয়া হয়েছে, এরপর বড়দের।”
সরকারের কাছে দাবি করা রপ্তানি প্রণোদনার অর্থের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বার এক হাজার কোটি টাকা ও তৃতীয় বারে ২০০ কোটি টাকা, এভাবে তিন ধাপে মোট দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হয়। আগের বছরে ঈদের সময়ে এ অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৭০০ কোটি টাকা।
রপ্তানি আদেশের বিপরীতে ঋণপত্র (এলসি) দেখিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন উদ্যোক্তারা। পণ্য তৈরির উপকরণ আমদানি ও কারখানা পরিচালনায় ব্যবহার করা হয় এ অর্থ। রপ্তানি আয় দেশে এলে তা থেকে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেন উদ্যোক্তারা।
অনেক উদ্যোক্তা রপ্তানি আয়ের পুরোটা দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেন না। সরকারি প্রণোদনার অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ঋণের বকেয়া অংশ পরিশোধ করেন তারা। এবারের ঈদের সময়েও সরকারি প্রণোদনার অর্থ আটকে ঋণ সমন্বয় শুরু করেছিল ব্যাংকগুলো।
এ কারণে অনেক উদ্যোক্তা ঋণ সমন্বয় না করে পুরো অর্থ দিয়ে দিতে সরকারের কাছে দাবি জানায়। তাতে শ্রমিকদের পাওনা মেটানো সহজ হবে বলে তারা তুলে ধরেন। ব্যাংকগুলোর আপত্তির মুখেও সরকার তা মেনে নিয়ে পুরো অর্থ উদ্যোক্তাদের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির মধ্যে থাকা পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা এভাবে ঈদের আগে বড় অঙ্কের নগদ অর্থ পেয়ে যান সরকারের কাছ থেকে। এ কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধে বেগ পেতে হয়নি তাদের।
গাজীপুরের ক্ল্যাসিক টি-শার্টের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজাদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টাকার সমস্যা হয়নি কারো। ব্যাংক এবার যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে, পাওনা টাকা নিয়ে আর সমস্যা নেই। এখনো অনেকে বেতন দিচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বেতন দেওয়া চলবে। যে দিতে পারেননি এখনো, তিনিও দিয়ে দেবেন আশা করছি।”
বেতন-ভাতা পরিশোধ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৮ ও ২৯ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও ২৭ মার্চ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শেষ কর্ম দিবস।
তবে তৈরি পোশাক কারখানাঘন শিল্প এলাকায় এই দুই দিন ব্যাংক খোলা থাকবে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে।
বেতনের দাবিতে সড়কে কারা?
চালু থাকা কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের বেতন, ভাতা নিয়ে এবার সমস্যা না হলেও গাজীপুর ও ঢাকার কয়েকটি কারখানার কর্মীরা আন্দোলন করছেন।
বিজিএমইএ কার্যালয় ও শ্রম ভবনের সামনে তারা বিক্ষোভ করছেন। রোব, সোম ও মঙ্গলবারও শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে পোশাক খাতের এনজেড অ্যাপারেলস, অ্যাপারেল প্লাস ইকো লিমিটেড, রোর ফ্যাশন, স্টাইল ক্রাফট গার্মেন্টস ও ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারীদের।
এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনোটি বন্ধ হয়েছে পাঁচ মাস আগে। উদ্যোক্তারা তাদের একাধিকবার পাওনা পরিশোধে সময় দিয়ে শেষ বেলায় আর সামনে আসছেন না।
ঈদের আগে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে সরকারের হস্তক্ষেপের দাবিতে শ্রমিকদের এই বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
মঙ্গলবার এনজেড অ্যাপারেলসের কর্মী নাসরিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কত আর কষ্ট করুম। আমাগো বেতনের টাকা মালিকরা না দিয়া চইলা গেল। আমরা তো কাজ করছি।”
আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কই যামু আমরা। নেতারা কইলো সরকারের কাছে চাইতে, সরকার ব্যবস্থা কইরা তো দিতে পারে। আমাগো কথা তো মালিকরা হুনতাছে না। তাই আইছি, যদি টাকাডা পাই।’’
২০২৩ সালের অগাস্টে স্টাইল ক্র্যাফট কারখানার প্রায় ১৮০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। সেই থেকে বকেয়া বেতন চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মী রিয়াদ হোসেনের মত অনেকে।
শ্রম ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান রাম প্রসাদ সিং। এখন সহকর্মীরা তার বিচারসহ পাওনা আদায়ে বিক্ষোভ করছেন।
শ্রমিকদের এ আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন যারা আন্দোলন করছেন তাদেরটা নিয়মিত ইস্যু না। ঈদ উপলক্ষে বেতন-ভাতার দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন না। তাদের ইস্যুটা অনেক পুরনো। বামদলগুলো তাদের নিয়ে আন্দোলন করছে। টাকা পেলে তাদের আন্দোলন এ পর্যন্ত আসতো না।”
কারখানা বন্ধ করলে শ্রম আইন অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের যাবতীয় পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।
যেসব কারখানা এই আইন মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের অর্থ পরিশোধে সরকারকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন বাবুল আক্তার।