
সারজিস যদি ছাত্রলীগ থেকে এনসিপির এত বড় নেতা হতে পারে তবে আমরা কী দোষ করেছি। কেন আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শে জাতীয়তাবাদী চেতনায় ছাত্রদলের রাজনীতি করতে পারবো না। আমরা ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। আমরা পূর্ব থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে ছাত্রদলের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলাম।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পাবনায় মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে প্রবেশ করা নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, তৎকালীন সময়ে কলেজে নতুন শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ফ্যাসিবাদী ছাত্র রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ছাত্রলীগ করতে বাধ্য করানো হতো। ফ্যাসিবাদ পতনের সময় ছাত্রজনতার আন্দোলনে এ কমিটিতে থাকা সব ছাত্র সে সময়ে ছাত্রলীগ ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে সম্মুখ সারিতে থেকে স্বৈরাচারবিরোধী ভূমিকা পালন করেছেন। এরই মধ্য দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে চাপের মুখে রাখা সম্পর্কের অবসান ঘটিয়েছি। অথচ এখন একটি কুচক্রী মহল জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধাদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিতে চাইছে।
এ অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের নিন্দা জানিয়ে স্থগিত হওয়া কমিটি পুনর্বহালের দাবি জানান মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান এনসিপি নেতা সারজিস আলম ছাত্রলীগ করে সমন্বয়ক হয়েছেন। বর্তমানে নতুন দল করতে পারে। তবে কেন আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শে জাতীয়তাবাদী চেতনায় ছাত্রদলের রাজনীতি করতে পারবো না। আমরা ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। আমরা পূর্ব থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে ছাত্র দলের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলাম। তাই অতিদ্রুত স্থগিত হওয়া কমিটি পাস করার দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন স্থগিত হওয়া কমিটির শিক্ষার্থী সভাপতি প্রার্থী সাগর মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল শুভ, যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শেখ আল ফায়াদ, সহ-সভাপতি মান্নান মন্ডল, সাংগঠনিক নাসির উদ্দিন নাবিলসহ কমিটির সব নেতাকর্মী।