
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের দায়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, আমরা দাবি তুলেছিলাম কেবল আওয়ামী লীগ নেতাদের নয়, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের এই হত্যাকাণ্ডে দায় কতটা; সেটাও বিচারের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ দেখিনি।
রোববার (২৩ মার্চ) রংপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলনের জেলা ও মহানগর কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা ৫ আগস্ট পর্যন্ত বহু মানুষ হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশন দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা নিজেও এই নির্দেশ দিয়েছেন; যার টেলিফোন আলাপ সবাই শুনেছেন। শেখ হাসিনাসহ যারা এ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত, তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটা বাংলাদেশের মানুষের দাবি।
দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাওয়ার বাস্তবতায় নানা ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চলছে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীসহ অনেককে নানাভাবে মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ রকম অস্থিতিশীলতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। এ জন্য সব রাজনৈতিক পক্ষ, ব্যক্তিবর্গ ও অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন ভূমিকা নিতে হবে; যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। দেশের মানুষের স্বপ্নকে সত্য করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জুলাই বিপ্লবের সাত মাস পার হয়ে গিয়েছে। এতদিন পেরিয়ে গেলেও বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান নয়। এ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ আছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার। জাতীয় পরিষদ সদস্য প্রত্যয়ী মিজানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জেলা সভাপতি আমিন উদ্দিন, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আশিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের ন্যায়পাল রায়হান কবির, কোটা আন্দোলনের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য সংগঠক শাহরিয়ার সোহাগ প্রমুখ।