Image description

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নির্বিচারে গণহত্যা চালানোর দায়ে বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতা।

 

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

এসময় তারা ‘ফ্যাসিবাদের ঠিঁকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আমার সোনার বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘খুনী লীগের ঠাঁই নাই, আমার সোনার বাংলায়’, ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

 

বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে অতিদ্রুত নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি গণহত্যার জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিচার করতে হবে। এছাড়াও বর্তমানে যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কথা বলছেন তাদেরকে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

 

এসময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা দাপ্তরিক কাজে গেলে সেখানে সহযোগিতা করার পরিবর্তে বহাল তবিয়তে থাকা আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন বাধা ও সময়ক্ষেপণ করেন বলে দাবি করেন তারা।

 

এসময় জুলাই গণঅভ্যুত্থান অংশ নেওয়া মো. আরমান বলেন, আমরা জীবন দিতে পুনরায় নামবো কিন্তু আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কথা যারা বলবে তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলবো ৷ যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলছেন- যারা হত্যাকারী এবং হত্যাকারীর পক্ষে কথা বলে তারা সমান অপরাধী। আমরা আপনাদেরকে সতর্ক করে দিতে চাই, আপনারা যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে একটা কথাও বলেন এবং অতীতে যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলেছেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গণমাধ্যমে এসে ক্ষমা না চান তবে আপনাদেরকেও বিচারের কাঁঠগড়ায় দাঁড় করাবো।

 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তারা গত ১৭ বছরে বিভিন্ন জায়গায় তাদের দোসরদের বসিয়ে তিলে তিলে বাংলাদেশকে নষ্ট করেছে।

 

এসময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত আশরাফুল বলেন, স্বৈরাচার খুনি হাসিনা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের হাজার হাজার ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে সেই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে চাই। খুনি হাসিনা যতদিন না পর্যন্ত ফাঁসির রায় না আসবে ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।

 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়ে মাসুদ রানা নামে আরেক আহত বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। আপনারা শহীদের রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের আহ্বান না শুনলে রাজপথ আবার প্রকম্পিত হবে, রক্তে রঞ্জিত হবে।