
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের পদযাত্রায় বাধা দেওয়া এবং গায়েবি মামলা দায়েরের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গতকাল সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
দলটির নেতারা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা রেজিমের পতনের পরেও পুলিশের আচরণের কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পরিবর্তন হয়নি। হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মকর্তারা অদ্যাবধি পুলিশ প্রশাসনে বহাল থাকায় তারা প্রতিশোধস্পৃহা থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করছে।
বিবৃতিতে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালিয়ে, বিপুলসংখ্যক অজ্ঞাতনামা আসামিসহ ১২ ছাত্রনেতাকে এজাহারনামীয় আসামি করে মামলা দায়ের এবং গভীর রাতে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডকে তাঁর নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তার চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানান। তারা ছাত্রনেতাদের হয়রানি না করে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং নারী নির্যাতনের মামলাগুলোর দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে যথাযথ ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে ছাত্রদলের আরও বলা হয়, দেশব্যাপী নারীদের প্রতি সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কারণে দেশের সব প্রান্তে সচেতন ছাত্র-জনতা অব্যাহতভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মার্চ ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামক প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর গণপদযাত্রা করে স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে শাহবাগ এলাকায় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের ১২ জন নেতাসহ ৭০-৮০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিতে বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি একাধিক ছাত্রনেতা ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন না। এ ধরনের মামলা ফ্যাসিস্ট রেজিমের গায়েবি মামলার সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি। এ ছাড়াও গভীর রাতে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডকে তার নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছে পুলিশ। ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা–কর্মীদের প্রতি পুলিশ প্রশাসনের এমন আচরণের বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।