
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, অন্যরা অপকর্ম করে বিএনপির ওপর সুকৌশলে দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি জনগণের শক্তিতে বলীয়ান, বিএনপিকে কোনো ষড়যন্ত্রই নিঃশেষ করতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, একটি দল ইতোমধ্যে বলতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ খেয়েছে, আরেকদল খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। অথচ সেই দলটিও চাঁদাবাজি করছে। তারা সিরাজগঞ্জের স্পিনিং মিল দখল করেছে। এসিআই মিলে মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করছে। অথচ তাদের কোনো নাম হচ্ছে না। কারণ তারা বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করছে। আর আমরা তো বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করি না।
তিনি আরও বলেন, ’৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আড়াল করতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েও অনেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিল। তেমনি ২৪ এর জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পরও অনেক ভুয়া বিপ্লবীদের দেখা যাচ্ছে। তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ভাঙা স্যুটকেস ও ছেড়া গেঞ্জি পরা জিয়াউর রহমানের দল বিএনপির কর্মীরা চাঁদাবাজি লিপ্ত হতে পারে না। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলবাজি করলে কেউ ছাড় পাবে না। সাধু সাবধান, প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টুকু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম, মিছিলে সবচেয়ে পেছনে থাকা কর্মীকে আগে মূল্যায়ন করতে হবে। যারা ত্যাগ স্বীকার করেনি তাদের বিষয় পরে ভাবা হবে। আগামীতে বিএনপির সকল কমিটিতে ত্যাগীরা স্থান পাবে। যারা বিগত সময়ে মামলা, জেল-জুলুম, অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছে তারাই শুধু সম্মেলনে প্রার্থী হতে পারবেন। তারাই ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হবেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ভিপি শামীম খান এবং আবু সাইদ সুইট।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এম. আকবর আলী, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোরশেদ কনকচাঁপা, সদস্য মজিবুর রহমান লেবু, আজিজুর রহমান দুলাল, মকবুল হোসেন চৌধুরী, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলার ১৮টি সাংগঠনিক ইউনিটের বিএনপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।