Image description
 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি উগ্রবাদীদের রোষানলে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সিপিবি ও দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম বিভিন্ন সংগঠনের ধর্ষণবিরোধী গণমিছিল ঘোষণার পর বিভিন্ন সংগঠন পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করায় এবং সিপিবির দলীয় কার্যালয় ‘মুক্তি ভবন’ ঘেরাওয়ের প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন তিনি।

আজ শনিবার সকালে মুক্তি ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যারা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণা করে না, সেসব উগ্রবাদীদের রোষানলে পড়েছে সিপিবি।

প্রিন্স বলেন, মুক্তি ভবন এর আগেও উগ্রপন্থীদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র চায় না, যারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি, এমনকি যারা ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তারা যেকোনো ধরনের বিরুদ্ধাচরণের প্রচেষ্টা নিতে পারে। কিন্তু এটাকে আমরা মোটেই আমলে নিতে চাই না। এই মুক্তি ভবন বাংলাদেশের গরিব মেহনতি মানুষের ঠিকানা। এটা গরিব মেহনতি মানুষের সম্পদ, তারাই এই ভবন রক্ষা করবে।

তিনি আরও বলেন, এই সমাজে পুরুষতান্ত্রিক লালসার শিকার মাগুরার শিশুটির যে মর্মান্তিক মৃত্যু, সে জন্য আমরা দেশব্যাপী শোক দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। কর্মসূচি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে কালো পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি হবে। এরপর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বিকেলে আমাদের শোক মিছিল বের করব।

 

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ফলে দলটির নেতা–কর্মীরা ছাড়াও আজ সকাল থেকেই পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও টহল দেখা গেছে। কার্যালয়ের সামনে অবস্থানও নিয়েছে বেশ কিছু সেনাবাহিনী সদস্য।

দেশজুড়ে হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে আজ শনিবার গণমিছিলের কর্মসূচি দেয় সিপিবি ঘনিষ্ঠ ৮টি সংগঠন। এর জবাবে পল্টনে সিপিবির কার্যালয়কে ‘ছাত্র-জনতার কার্যালয়’ বানানোর ডাক দিয়েছেন লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে এই মিছিল প্রতিহতের ডাক দেয় ইনকিলাব মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠন।