Image description

সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আসুন সবাই মিলে একটি শক্তিশালী সংসদ বিনির্মাণ করি। যেখানে সকল সংস্কার প্রস্তাবগুলো আলাপ ও আলোচনার মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হবে। সেই সংবিধানকে আপনারা নতুন সংবিধান হিসেবে অবহিত করুন আমাদের কোনো আপত্তি নাই। গণপরিষদ নয় বরং একটি শক্তিশালী সংসদে গৃহীত সংবিধানকে যেই নামেই ডাকা হউক তাতে আপত্তি নাই।  

বুধবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নেন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মিলনায়তনে ইফতারের অংশ নেন তারা। এসময় সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, যারা গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান চান, আমি তাদের বলতে চাই- আপনারা সংবিধান সংস্কার কমিশনে ব্যাপক সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আপনাদের একজন প্রতিনিধি সংবিধান সংস্কার কমিশনে একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোসহ আমরাও সেই সংস্কার কমিশনগুলোতে ব্যাপক সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি।

শেখ হাসিনার আমলে এই দেশের মুসলমানরাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ছিল উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনার আমলে এই দেশের আলেম সমাজ সবচেয়ে নির্যাতিত ছিল। ইসলামি শিক্ষা অনুযায়ী আমাদের লক্ষ রাখতে হবে, বাংলাদেশে হিন্দু, বৌধ, খ্রিষ্টান, মুসলমান আমরা সবাই যেন আমরা একতায় নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে পারি। আমাদের মধ্যে যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে, কোনো শক্তিই যেন সাম্প্রদায়িক বিষ বপন করে দিতে না পারে। হিন্দুসহ অন্য ধর্মালম্বীদের যেন আমরা সংখ্যালঘু না বলি, সাংবিধানিকভাবে সকল নাগরিককে যেন নাগরিকই বলি, সেই রকম একটা পরিবেশ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আপনাদের নেতৃত্বে এটা ঠিক করতে হবে, এটাই হচ্ছে ইসলামের শিক্ষা।

হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবের সভাপতিত্বে ইফতার পূর্ব আলোচনা সভা উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা আরশাদ রহমানী,  মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা হেলাল উদ্দীন, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী প্রমুখ।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমরা লক্ষ করছি, শাহবাগী নাস্তিক-মুরতাদরা আবারও মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা গণঅভ্যুত্থানের এই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং দেশকে নতুন অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। পুলিশের ওপর হামলে পড়েছে। ইন্ডিয়াপন্থি শাহবাগী হায়েনাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। ২০১৩ সালের মতো এবারও তারা এদেশে ইন্ডিয়ার স্বার্থ রক্ষা করতে নেমেছে।  

মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব বলেন, আমরা নাস্তিক-মুরতাদদের সতর্ক করে বলতে চাই, আল্লাহ ও রাসূল (স.)-কে গালি দিয়ে বাংলার মাটিতে থাকা যাবে না। তৌহিদি জনতা জেগে উঠলে তারা পালানোর জায়গা পাবে না। এদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।