
বাংলাদেশে নারীর নিরাপত্তা এবং অধিকার নিয়ে কথা বলার বিষয়টিও রাজনৈতিক পক্ষপাতমুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ঝিনাইদহের মহেশপুরে হামলার শিকার নারীরা জামায়াত করেন বলেই কি তাদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা হচ্ছে না?
সোমবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিশ্ব নারী দিবসের দিনে মহিলা জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নারীদের উপর পরিকল্পিতভাবে লাঠি, হাতুড়ি ও কাঁচি নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই বর্বর হামলার পরেও আমাদের নারী অধিকার সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ চুপ আছেন।
ঢাবি শিবিরের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘একইভাবে, যাদের অ্যাক্টিভিজম ও পরিচিতির মূলে রয়েছে নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, তাদের নিরবতা প্রমাণ করেছে— বাংলাদেশে নারীর নিরাপত্তা এবং অধিকার নিয়ে কথা বলার বিষয়টিও রাজনৈতিক পক্ষপাতমুক্ত নয়।’
তিনি বলেন, ‘বিস্ময়ের সাথে এটাও লক্ষ্য করতে হচ্ছে— ইসলামী সংগঠন ও তাদের নেতারাও চুপ থাকার নীতি অবলম্বন করছেন। ইসলামের দাওয়াতি কাজে রত, ইসলাম চর্চাকারী মুসলিম নারীর উপর বর্বরোচিত হামলা হলো, তার ওড়না কেড়ে নেওয়া হলো, আঘাত করা হলো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে, তবুও আমাদের ইসলামপন্থী ব্যক্তিবর্গ নিরবতার পথ বেছে নিয়েছেন।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘হামলার শিকার নারীরা শুধু মাত্র জামায়াত করেন, এজন্য কি তাদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য মানবাধিকার নিয়ে কথা বলতে নেই?’