Image description
 

বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে পারছেন না গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্তের। একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বারবার সংবাদের শিরোনাম হলেও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বহাল রয়েছেন সরকারি এই কর্মকর্তা।

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় ফৌজদারী মামলা হয়েছে।

জানা যায়, বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা প্রতীক ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনের অসংখ্য অভিযোগ। সম্প্রতি কোটালীপাড়া উপজেলার এক ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে চড় মেরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হন তিনি। এ ঘটনায় পুরো কোটালীপাড়ায় ওঠে নিন্দার ঝড়।

এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও জনপ্রশাসন সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো কাজ হয়নি। উল্টো গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে ছায়া তদন্ত করে রক্ষা করা হয় প্রশাসন ক্যাডারের মাঠ পর্যায়ের প্রভাবশালী এই কর্মকর্তাকে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে জমির কাগজপত্র সংশোধন, মিউটেশন, মিসকেসসহ নানা ক্ষেত্রে নিজের পছন্দের লোকদের পক্ষে রায় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাপ দিয়ে নিজের অফিস রুমে এসি, গাড়ির শেড, লোহার গেটসহ বিভিন্ন কিছু উপঢৌকন হিসেবে নিয়েছেন তিনি। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর তিনি ভোল পাল্টে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন।

গত বুধবার প্রতীকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিল রহমানের বাবা আলমগীর সিকদার। মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বুয়েটের বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগের ফাউন্ড্রি ল্যাবে একাডেমিক অ্যাসাইনমেন্টের কাজে যায় ওই সময়ে বুয়েটে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী তানজিল রহমান।

এ সময় ল্যাবের গেটে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনক, শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রতীক দত্ত, আহসাউল্লাহ হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু আনাস শুভম, রশীদ হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিয়াম হোসেন, সাবেক ছাত্র ফাইরুজ চৌধুরী, শুভ্রজ্যোতি টিকাদারসহ আট-দশজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী তানজিল রহমানের ওপর হামলা চালায়।

হামলা থেকে বাঁচতে তানজিল ল্যাবসংলগ্ন গার্ডরুমে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয় এবং হট্টগোল করে লোকজন জড়ো করার চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগের প্রায় সব শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত হন।

মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, কিছুক্ষণ পর তৎকালীন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. দেলোয়ার হোসেন সেখানে এলেও তানজিলকে উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে চলে যান। এর পরই সিয়াম, শুভম ও ফাইরুজের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে তানজিলকে গার্ড রুমের জানালার কাচ ভেঙে বের করে আনে। এ সময় কনক, প্রতীক ও শুভ্রজ্যোতিরা সবাই মিলে লাঠি ও রড দিয়ে নির্মম ও পৈশাচিকভাবে পেটাতে থাকে।

কিছুক্ষণ পর বুয়েটের তৎকালীন রেজিস্ট্রার (বর্তমান ছাত্রকল্যাণ পরিচালক) ড. এ কে এম মাসুদ উপস্থিত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসে তানজিলকে উদ্ধার করে তৎকালীন উপাচার্য খালেদা একরামের অফিসে নিয়ে যান। আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় ও বিগত স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।

কোটালীপাড়ার এসিল্যান্ড প্রতীক ছাড়াও মামলার আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনক, আহসাউল্লাহ হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু আনাস শুভম, রশীদ হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিয়াম হোসেন, বুয়েটের সাবেক ছাত্র ফাইরুজ চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন।

প্রতীকের হাতে মারধরের শিকার বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিল আমার দেশকে বলেন, প্রতীক দত্ত হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল। শুধু সে নয় ওই সময় ছাত্রলীগের অনেকেই সেখানে ছিল। তবে হামলায় অংশ নেওয়া যাদের নাম আমার মনে আছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। প্রথমে আমি ঢাকায় গিয়ে মামলার চেষ্টা করি, কিন্তু প্রশাসন সে সময় সহযোগিতা করেনি। কিন্তু আমার ওপর হওয়া হামলার বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে প্রশাসন চাপে পড়ে মামলা নিতে বাধ্য হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শুভ্রজ্যোতি ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান প্রতীক। এরপর থেকেই বুয়েটে ছাত্রলীগের হয়ে সাধারণ ছাত্র এমনকি শিক্ষক নির্যাতনে তিনি হয়ে ওঠেন মূর্তিমান আতঙ্ক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জামায়াতের নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির সমালোচনা করে মন্তব্য করায় ২০১৫ সালে ১২ এপ্রিল বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন প্রতীক।

ওই সময় শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষক সমিতি ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বৈঠকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শুভ্র ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদকে আজীবন বহিষ্কারের পাশাপাশি ছাত্রলীগ নেতা প্রতীক ও রাতুলকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে প্রতীকসহ চারজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে ১১ মে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, এ ঘটনার পরও থেমে থাকেনি তার অপকর্ম। বুয়েটের ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলামসহ মুসলিম শিক্ষার্থীদের ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন এই প্রতীক। ছাত্রলীগ করার কারণে এসব অপকর্মের কোনো শাস্তি তাকে পেতে হয়নি।

প্রতীক ৩৮তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন। কর্মজীবনে প্রবেশের পরও প্রতীক রয়ে গেছেন ঠিক আগের মতোই। ছাত্র প্রতীকের মতো বর্তমানে কোটালীপাড়া উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত প্রতীকের বিরুদ্ধেও অভিযোগের শেষ নেই।

জানা গেছে, প্রতীক কোটালীপাড়ায় যোগ দেওয়ার আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওখানে থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বয়োজ্যেষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর মুখে ‘হোল্ড অন’ শুনে ক্ষেপে যান তিনি।

সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে আঙুল উঁচিয়ে উচ্চস্বরে ওই ব্যবসায়ীকে বলেন, ‘আপনি আমাকে বলছেন হোল্ড অন’? এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। নির্বাহী এই ম্যাজিস্ট্রেট ‘হোল্ড অন’ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচিতি পায়। এরপর তিনি ২০২৪ সালের ২৩ মে কোটালীপাড়া উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, তাকে স্বয়ং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজে পোস্টিং দিয়ে তার নির্বাচনি এলাকায় এনেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, কোটালীপাড়ায় যোগ দিয়েই তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল বিশ্বাসের সঙ্গে সখ্য গড়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের বেপরোয়া কান্ডারি হয়ে ওঠেন প্রতীক। তার অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে গিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হেনস্তার শিকার হতে হয়। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে জমির নামজারি, মিসকেস ও মিউটেশনের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দের লোকদের পক্ষে রায় দেন। বিভিন্ন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে চাপ দিয়ে নিজের অফিস রুমে এসি, গাড়ির শেড, লোহার গেটসহ বিভিন্ন সুবিধা উপঢৌকন গ্রহণ করেছেন তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রতীক নিজের ভোল পালটে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। নিজের বাসায় দাওয়াত দিয়ে ভুরিভোজ করিয়ে এবং বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি।

ফ্যাসিস্টের চিহ্নিত এ দোসরের সঙ্গে বিএনপির দহরম-মহরম সম্পর্ক নিয়ে কোটালীপাড়া বিএনপির সদস্য সচিব আবুল বাশার হাওলাদার আমার দেশকে বলেন, ওনি আমাকে পূজায় বাসায় দাওয়াত দিয়েছিলেন, সে দাওয়াতে অংশ নিয়েছিলাম। আর তাকে শেল্টার দেওয়ার যে প্রসঙ্গটি এসেছে এটি ঠিক নয়। আমার জানামতে, কেউ তাকে শেল্টার দিচ্ছে না।

সম্প্রতি এক ঠিকাদারকে মারধর করে ফের আলোচনায় আসেন প্রতীক। জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে কোটালীপাড়ার কুশলা ইউনিয়নের জামিলা গ্রামে একটি নির্মাণাধীন ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কে মাটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতীক প্রকাশ্যে ঠিকাদার আব্দুস সামাদের গালে চড় মারেন। এ সময় উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সফিউল আজম, উপসহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল আলমসহ অর্ধশতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলে পুরো কোটালীপাড়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে।

প্রতীকের আচরণে জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও প্রশাসন নীরব থাকে। বাধ্য হয়ে ২৯ ডিসেম্বর প্রতীকের অপসারণ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সচিবকে কোটালীপাড়াবাসীর পক্ষে লিখিত আবেদন দেওয়া হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতীকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ছায়া তদন্ত করে তার পক্ষে সাফাই গায়।

কোটালীপাড়ার বাসিন্দা ও গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী রণি বলেন, প্রতীকের সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ। উপজেলা থেকে সচিবালয়ে তার রয়েছে ব্যাপক দাপট। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব রহিমা খাতুনের কাছে বারবার প্রতীকের বিষয়ে সরাসরি ও লিখিত অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। বরং তারা তার পক্ষে সাফাই গাইছেন। বর্তমান সময়ে ফ্যাসিস্টের দোসরকে প্রশাসন কোন স্বার্থে ছায়াতলে রাখছে বিষয়টি বুঝতে পারছি না।

ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ইলিয়াছ হায়দার বলেন, মামলার এজাহারে প্রতীয়মাণ হয় য়ে, প্রতীক দত্ত ফৌজদারী অপরাধে জড়িত। তাই আমি মনে করি এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে অব্যাহতি দিয়ে মামলার তদন্ত করা উচিত। তা না হলে এই মামলার বাদীর সুবিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কোটালীপাড়ার শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা আশিক খান বলেন, প্রতীক দত্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি চট্টগ্রাম ও কোটালীপাড়ায় চাকরিরত অবস্থায় একটার পর একটা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ফ্যাসিস্টের দোসর। সে ক্ষেত্রে তার চাকরিতে বহাল থাকার কোনো সুযোগ নেই। অতিদ্রুত তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আইনের আওয়াত আনার দাবি জানাচ্ছি।

মামলার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর বলেন, বুয়েটের ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে এসিল্যান্ড প্রতীক দত্ত আমার দেশকে বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত এখনো জানি না। আমাকে হেনস্তা করার জন্য মামলা করা হয়েছে। যে ঘটনায় মামলা হয়েছে সে ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা ছিল না। আমি এটি আইনিভাবে মোকাবিলা করব। এ ছাড়া একটা চক্র তাদের কাজ করে না দেওয়ায় তারা আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

অভিযোগের পাহাড় থাকার পরও প্রতীকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে নাÑ জানতে চাইলে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আমার দেশকে বলেন, মামলার বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।