Image description

দেশে এখনো মামলা-বাণিজ্য, ঘুষ-বাণিজ্য চলমান উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, এতকিছুর পরও সরকার বলছে, দেশ উন্নতি করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে প্রথম সংস্কার পুলিশেই হতে হবে।

আজ শনিবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভা আয়োজন করে উর্দু স্পিকিং পিপলস ইয়ুথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট (ইউএসপিওয়াইআরএম)।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মান্না বলেন, ‘একটা মামলা হলে একটা পরিবারের কত কষ্ট হয়, যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরা জানেন। গ্রেপ্তার না করলেও প্রতিপক্ষ ফোন করে বলে, “মামলা থেকে নাম কাটাতে হবে, এত টাকা দিতে হবে”—এ ঘুষ-বাণিজ্য, গ্রেপ্তার-বাণিজ্য সবই চলছে। অথচ সরকার বলছে, দেশ উন্নতি করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে! আইনশৃঙ্খলা ভালো হলে কেন এক দিনে তিনটা বড় অপরাধের খবর পত্রিকার প্রথম পাতায় আসে?’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার করতে হলে পুলিশের সংস্কার আগে করতে হবে। ডিসেম্বরে ভোট করবেন, এই পুলিশ দিয়ে? আমি বলি, যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে প্রথম সংস্কার পুলিশেই হতে হবে।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘এত বড় আন্দোলন ও কিশোরদের আত্মত্যাগের পরও যাদের পরিবর্তন হওয়ার কথা, তা হয়নি। পুলিশ তো মামলা পর্যন্ত নেয় না। একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে শহীদ মিনার থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষ আমার কর্মীকে ছুরি মেরেছে, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। অথচ দু-দিন পর প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলার অভিযোগে আমার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এমন আপন ছোট ভাইয়ের নামেও মামলা নিয়েছে।’

সভার সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু অভিযোগ করেন, উর্দুভাষী ক্যাম্পের জমি দখলের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, মিরপুর মডেল থানার বেশ কয়েকটি মামলায় সংগঠনের নেতা ও সদস্যদের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে অনেকে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে পলাতক এবং তাঁদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার প্রমুখ।