
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, আমরা সম্মান করে কথা বলতে জানি, কিন্তু হাটে হাড়ি ভেঙে দিবো, অনুগ্রহ করে দেশের চলমান রাজনীতিতে সংকট সৃষ্টি করে নির্বাচন বিলম্ব করবেন না।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ কর্মজীবী দল আয়োজিত 'রমজানের আগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ রাখা ও দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দরকার আগে নির্বাচন। দরকার সংস্কার, অস্বীকার করি না। যে সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমানের সুষ্ঠু নির্বাচন, মৃত ব্যক্তির ভোট নয়, দিনের ভোট দিনে, এমন উক্তি কে সফল করতে পারবেন। যেটুকু দরকার ততটুকু সংস্কার একটা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেন। বিলম্ব নয়, এতে ক্ষতি। অবিশ্বাস আর অবহেলা কিন্তু ভালবাসায় থাকে না। আমাদের কে যদি অবিশ্বাস করেন ক্ষতি জনগণের হবে, বিএনপির ক্ষতি এরশাদ করতে পারে নাই, হাসিনা করতে পারে নাই, ইনশাআল্লাহ কেউ করতে পারবে না।
বিএনপির সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, ড. ইউনুস (প্রধান উপদেষ্টা) আপনি পৃথিবীর সম্মানীয় ব্যক্তি, আমাদের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন, আপনাকে কখনো অপদস্থ করতে দিবো না কারণ আপনি যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের কথা না, জনগণের কথা বুঝে থাকেন অনুগ্রহ করে, সংস্কার সংস্কার চলুক কিন্তু এমন এমন সংস্কারের নামে বিলম্ব করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্ব করবেন না। এটা বুঝতে যদি আপনার দেরি হয় তাহলে আপনার প্রতি জনগণের আস্থা উঠে যাবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে যুবদল, ছাত্রদল, বিএনপির কোন কর্মী আওয়ামী লীগের যারা অত্যাচার করেছে তাদের উপর হাত উঠায়নি। এর উপর ভিত্তি করে আবার ষড়যন্ত্র, যারা পরাজিত শক্তি।
বড় শয়তান এখনো ধরা হয় নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কান কথা নয়, আবোল-তাবোল কথা নয়, ডেভিল হান্ট করছেন বড় শয়তান এখনো ধরা হয় নাই। যারা বড় শয়তান, ২০১৪ সালে যদি এই বড় শয়তানের নির্বাচনে কেউ কেউ অংশগ্রহণ না করতেন শেখ হাসিনা সেদিনই বিদায় নিতো। ২০১৮ আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম, চা-বিস্কুট খেয়ে আপনাকে বিশ্বাস করেছিলাম, সেই বিশ্বাসের ঘরে আগুন দিয়েছেন। দিনের ভোট রাতে করে আমাদের বেইজ্জতি করেছেন। আল্লাহ ত আছেন, সেই বেইজ্জত আপনিও হচ্ছেন। চুরি করে পালিয়ে গেছেন হেলিকপ্টারে করে। যদি সৎ সাহস থাকতো, আপনি আইনের কাছে যেতেন, আপনার বিচার হতো। আপনি যদি আমার নির্দোষ নেত্রীকে বিনা বিচারে ৫ বছর জেলে রাখতে পারেন ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশে জনগণের সরকার হবে, সেই সরকার আপনাকে কত হাজার বছর জেল দিবে সেটা আমরা দেখতে চাই।
বাংলাদেশ কর্মজীবী দলের সভাপতি মো. সালাহ উদ্দিন খান পিপিএম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন সরদার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান কিরন প্রমুখ।