Image description
 

“তুমি বিদেশে বসে বেশি বুঝো না- বলেছিলেন শেখ হাসিনা”- বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। হত্যাকাণ্ড পরবর্তী সময়ে তার পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।সোহেল তাজ বলেন, “বিডিআর হত্যাযজ্ঞ, এখানেও তো অনেক প্রশ্নবিদ্ধ (ব্যাপার) আছে। এখানে অনেক অড (অদ্ভুত) জিনিস হয়েছে। যেটা পুনর্তদন্ত করে একচুয়ালি দেখা দরকার যে এখানে ঘটনাগুলো কি ঘটেছিল।”

তিনি বলেন, “আমি যেটা বারবার বলেছি যে একটা এরকম ঘটনা ঘটলে ফার্স্ট (প্রথম) অ্যাকশন (পদক্ষেপ) যেটা নিতে হয়, ওই ঘটনা কেন্দ্রকে ঘেরাও করে ফেলতে হয়। এটাকে বলে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর। যাতে করে যারা ঘাতক আছে ভিতরে, তারা যেন বুঝতে পারে যে তাদের পালাবার কোনও পথ নেই। তারা যদি জানে তাদের পালাবার কোনও পথ নেই তাহলে তারা হয়তো ওই হত্যাযজ্ঞগুলো নাও করতে পারতো।”

তিনি আরও বলেন, “আমি এটা আমার আইজি সাহেবকে ফোন করে বলেছিলাম। আমি তখন আমেরিকায় ছিলাম। আমি বলেছিলাম যে র‍্যাব, পুলিশ, আনসার বাহিনী দিয়ে ঘেরাও করেন। উনি আমাকে বলেছিলেন যে, এখানে তো মন্ত্রী মহোদয়ও (সাহার খাতুন) আছেন। তার মানে আমার নির্দেশ নিতে পারছেন না। আমি মন্ত্রী মহোদয়কেও (সাহার খাতুনকে) একই কথা বলেছিলাম। উনি বললেন এটা প্রাইম মিনিস্টার (প্রধানমন্ত্রী) দেখছেন। আমি প্রাইম মিনিস্টার কেও ফোন করেছি। প্রাইম মিনিস্টার বললেন- তুমি বিদেশে বসে বেশি বুঝো না, আমি দেখতেছি।“

সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “তারপর আমি দেশে আসলাম ১০ মার্চ। ১১ তারিখ আমাদেরকে বলা হলো যে, বিডিআরের তদন্ত কর্মকাণ্ডের সকল কিছু একটি কোঅর্ডিনেটিং কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোঅর্ডিনেটিং কমিটির মূল ব্যক্তি হলেন আমাদের সেই সময়কার কমার্স মিনিস্টার (বাণিজ্যমন্ত্রী) কর্নেল রিটায়ার্ড ফারুক খান সাহেব। এবং আমাদের সমস্ত ফাইলপত্র সবকিছু চলে গেল। মানে সমস্ত কার্যকলাপ আমাদের হাত থেকে সরিয়ে ফেলা হলো এবং বিডিআর সম্পর্কে আমাদেরকে কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। আমাদের থেকে কোনও ইনফরমেশন চাওয়া হয়নি। আমরা কিছু জানি কিনা জিজ্ঞেস করা হয়নি। এই জিনিসগুলো আমার কাছে খুব অড লেগেছিল। যে এরকমভাবে তো হওয়ার কথা না জিনিসটা।”