Image description

সম্প্রতি, পতিতা পল্লী থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন শীর্ষক দাবিতে একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পতিতা পল্লী থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, পতিতা পল্লীতে আত্মগোপনে থাকা জামালপুরের আওয়ামী লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতার আটক হওয়ার ঘটনার ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম দৈনিক কালের কণ্ঠ-এর ওয়েবসাইটে গত ৩১ জানুয়ারি পতিতা পল্লী থেকে ২ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ব্যক্তিদের ছবির সাথে উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত আটক ব্যক্তিদের চেহারা ও ছবির পারিপার্শ্বিক বিষয়বস্তুর  মিল রয়েছে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সম্পৃক্ততা থাকার ঘটনায় করা মামলায় জামালপুরের পতিতা পল্লীতে আত্মগোপনে ছিলেন মেলান্দহ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ পারভেজ মুকুল এবং জামালপুর পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ফয়সাল মো. আতিক জানান, তাদের দুজনকে পরবর্তীতে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম ATN News এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ৩১ জানুয়ারি একই ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওতেও একই ব্যক্তিদের দেখতে পাওয়া যায় এবং তাদের সম্পর্কে একই তথ্য পাওয়া যায়। 

সুতরাং, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পতিতা পল্লী থেকে আটকের ঘটনাকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকে পতিতা পল্লী থেকে আটক করা হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।