৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর যখন দেশে স্বস্তি ফিরে আসে ঠিক তখনই বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যারা রাজপথে ঠিকতে পারছে না তারা অন্ধকার দিয়ে তার পথ রোধের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন তিনি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি নেত্রী শিরীন।
তিনি বলেন, একজন নারীকে রাজপথে প্রতিযোগিতা করে উঠে আসতে হয়। সেখানে আনুপাতিক হারে খুব অল্প সংখ্যক নারীই রাজনীতিতে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেন। আমি সেই ভাগ্যবানদের একজন- একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে এসেছি। আজকের বিলকিস জাহান শিরিন হতে পেরেছি। কিন্তু আজ যেখানে সকলে মিলে আমাকে সহযোগিতা করার কথা, পাশে থাকার কথা সেখানে কিছু নষ্ট-ভ্রষ্টরা আমার ক্ষতি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। রাজপথে টিকতে না পেরে অন্ধকার দিয়ে আমার পথরোধ করার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ছয়দিনের ব্যবধানে গত ১১ আগস্ট দলের সব পদ-পদবী স্থগিত করা হয় বিলকিস জাহান শিরীনের। ‘বরিশালে ১০ কোটি টাকার পুকুর দখল বিএনপি নেত্রী শিরীনের’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তার পদ স্থগিত হয়। ওই সংবাদপত্রে ধারাবাহিকভাবে তার বিরুদ্ধে আরও অনেক সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
বিলকিস জাহান শিরীন বলেন, পুকুর দখল কথাটি মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমূলক। বিগত ৭০ বছরেরও আগে ক্রয়সূত্রে আমার দাদা এই জমির মালিকানায় ভোগ দখল করে আসছেন। ওই জমিতে ২০/২৫ জনের অধিক ওয়ারিশ রয়েছে। খাজনাসহ সরকারি অন্যান্য ফি তারাই পরিশোধ করে আসছে। ইতিমধ্যে অনেক ওয়ারিশ তাদের অংশ বিক্রি করেছে এবং সেখানে জলাশয় ভরাট করে স্থাপনাও নির্মিত হয়েছে। ওয়ারিশ হিসাবে আমার বাবা ৩ শতকের মালিক। যেখানে বাবার ওয়ারিশ হিসাবে আমি আধা-শতাংশের কম অংশের মালিক। অথচ উদ্দেশ্যেমূলকভাবে আমাকে জড়িয়ে ১০ কোটি টাকার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আমাকে, আমার পরিবার এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাছাড়া জলাশয় ভরাটের ক্ষেত্রে আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই। কারণ, ওয়ারিশরা কেউ আমার অধীনস্থ নয়। তারা সকলেই ওয়ারিশসূত্রে মালিক।
তিনি বলেন, ওই সংবাদমাধ্যম আমাকে জড়িয়ে একের পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ‘অর্ধকোটি টাকা নিয়ে ফের বিতর্কে শিরীন’ শিরোনামে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে অসত্য সংবাদ প্রচার করে। অথচ ওই ঘটনায় কোনো সম্পৃক্ততা আমার নেই। আমি সম্পূর্ণভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার। এর মাধ্যমে একটি চিহ্নিত মহল তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। যেখানে তারা সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করছে।
