Image description

আন্দোলনের সময় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার করার পরিকল্পনা ছিল হাসিনা প্রশাসনের। সম্প্রতি গণমাধ্যমের হাতে আসা এক নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ছয় সমন্বয়ক হলেন- মো. নাহিদ ইসলাম, মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম। গণমাধ্যমের হাতে আসা নথিতে জুলাই আন্দোলন দমাতে হাসিনা সরকার যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সেই তথ্য পাওয়া গেছে।

নথি থেকে জানা যায়, আন্দোলন দমাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) আকবর হোসাইনকে। হাসিনা সরকারের পরিকল্পনা ছিল ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছয় সমন্বয়কের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ব্যবস্থা নেওয়া। একই সাথে আন্দোলনে গণগ্রেপ্তার হওয়া সব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিচারিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ আছে নথিতে। 

নথিতে আরও বলা ছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নজরদারি বাড়াতে হবে। একই সাথে সরকারের জন্য আপত্তিকর কন্টেন্ট সরাতে হবে। আন্দোলনে স্পন্সর করা হুন্ডি ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করার কথাও বলা আছে। 

তবে, সংকট নিরসনে গণগ্রেপ্তার কর্মসূচি স্থগিত ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতীত সাধারণ শিক্ষার্থী এবং কিশোর গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে সুপারিশ করা হয়েছিল নথিতে। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। এর পরের দিন ২৭ জুলাই সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।  সমালোচনা ও তীব্র প্রতিবাদের মুখে ১ আগস্ট তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।