Image description
 

সম্প্রতি দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক হয়েছেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।  একই অভিযোগে আটক হয়েছেন আরেক অভিনেত্রী সোহানা সাবা। কিন্তু আসলে কোন ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। অভিযোগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ঠিক একদিন পরেই একই অভিযোগে আটক হয়েছেন আরেক অভিনেত্রী সোহানা সাবা।  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি কার্যালয়ে তাঁদের দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

বিদেশের মাটিতে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি এমন সংক্রান্ত একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন সামনে আসার পর রীতিমতো তোলপাড় সামাজিক মাধ্যমে।

 

জানা গেছে চক্রান্তের অংশ হিসেবে গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতায় এ নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থির করে তুলতে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের ১০ নেতা কর্মীকে।

সূত্র জানায়, গত জানুয়ারি কলকাতায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কেউ উপস্থিত ছিলেন সশরীরে। আবার কেউ কেউ যুক্ত ছিলেন ভার্চুয়ালি। তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, অসীম কুমার উকিল, অধ্যাপিকা অপু উকিল, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম রাব্বানী, আল নাহিয়ান খান জয়, লেখক ভট্টাচার্য, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন , সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানসহ আওয়ামী লিগের বেশ কিছু নেতা কর্মীরা।

ওই গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আলোচিত আলো আসবে গ্রুপের অ্যাডমিন ও চিত্রনায়িকা সোহানা সাবা এবং অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন ।জানা গেছে, ওই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে কীভাবে অস্থিতিশীল করা যায়, সেই মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার অভিযোগেই মূলত পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় ওই দুই অভিনেত্রীকে। মূলত এই দুই অভিনেত্রী আওয়ামী সুবিধাভোগী।

গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার হন তাঁরা। এর আগে জুলাই আন্দোলনের সময় আলো আসবে নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। সেই গ্রুপে আন্দোলনরত ছাত্রদের দমন করতে আঁকা হয়েছিল নীল নকশা ।