|
এ এম এম শওকত আলী
|
|
রাজনীতির হালচাল
10 Nov, 2013
গত দুই সপ্তাহের অধিক সময়ের ঘটনাপ্রবাহে যে বিষয়টি অনেকাংশে স্পষ্ট, তা হলো শেষ পর্যন্ত সংলাপ হবে না। এর মধ্যে শুক্রবার পাঁচজন শীর্ষ বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার প্রতিক্রিয়ায় জেলা-উপজেলায় শনিবার বিএনপি থেকে হরতালের ডাক দেওয়া হয়। অবশ্য বিএনপি দেশব্যাপী ৮৪ ঘণ্টার হরতাল ডাকে রবিবার থেকে বুধবার। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে হরতাল না দেওয়ার জন্য সরকারের অনুরোধে তারা কর্ণপাত করেনি। উদ্ভূত এ পরিস্থিতি সংলাপ হওয়ার অনুকূল নয়। সংলাপ নিয়ে এর আগে দুই প্রধান দলের নেতাদের মধ্যে যে মিডিয়ার মাধ্যমে বাক্যবিনিময় হয়েছে, তা অনেকটা হ্যাঁ-নার মতো। প্রথম থেকেই দুই দলের অবস্থানে একটা মিল ছিল। দুই দলই সংলাপ করতে চায়। কিন্তু সে মিল অন্তঃসারশূন্য ছিল। কারণ দুই দলই সংলাপের জন্য কিছু শর্ত আরোপ করে। শীর্ষপর্যায়ে মতপার্থক্য ছিল প্রথম দফার ৬০ ঘণ্টার হরতাল প্রত্যাহার এবং অন্যদিকে নির্দলীয় সরকার পুনঃ স্থাপন। প্রধান বিরোধী দল হরতাল প্রত্যাহারের প্রস্তাব মেনে নেয়নি। এ কারণে ক্ষমতাসীন দলও স্বীয় অবস্থানে অনড় ছিল। প্রধান বিরোধী দলের অভিযোগ ছিল ক্ষমতাসীন দলের প্রস্তাব অস্পষ্ট এবং এর মধ্যে কোনো আন্তরিকতা নেই। এ যুক্তির সঙ্গে যোগ হলো হরতাল সংলাপের জন্য কোনো বাধা হতে পারে না। ক্ষমতাসীন দলের উত্তর-প্রতিউত্তরে যে বিষয়টি স্পষ্ট ছিল তা হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই সরকার পরিচালনা তথা পরবর্তী নির্বাচন করা হবে। কারণ এটাই হচ্ছে সাংবিধানিক বিধান। এটা অলঙ্ঘনীয়। এ বিধানটিই হবে সংলাপের পূর্বশর্ত। এ ধরনের পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক অবস্থানের শেষ পর্যায় শোনা গেল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হবে। অর্থাৎ সব মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। নতুন মন্ত্রিসভা হবে সর্বদলীয়। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বদলীয় সরকার কিভাবে হবে, তার একটি রূপরেখাও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সব দলকেই বলা হয় নতুন মন্ত্রিসভার জন্য প্রার্থী মনোনীত করার জন্য। এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ক্ষমতাসীন দলের বা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সব দলের কাছে পাঠানো হয়েছে কি না, তা জানা নেই। অন্যদিকে একটি বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যেটা জানা গেছে তা হলো সংসদে যাঁরা সংসদ সদস্য রয়েছেন সেইসব দলের ব্যক্তিই সর্বদলীয় সরকারে কাজ করার সুযোগ পাবেন। প্রধান বিরোধী দলের অবস্থান স্পষ্ট। দলের পক্ষ থেকে এ আহ্বান সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এ বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বক্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে ৫ নভেম্বর পোরশার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে হরতাল ছেড়ে সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেও প্রধান বিরোধী দলের নেতার বক্তব্য ছিল 'সরকার আহ্বান জানালে সংলাপে সাড়া দেব'। এ কথা যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া ও প্রশাস্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যানকে তিনি বলেছেন।
এর পূর্ববর্তী সময়েও আহ্বান করার বিষয় নিয়ে দুই দলের বক্তব্য ও পাল্টাবক্তব্য পাওয়া যায়। ক্ষমতাসীন দল বলছে সংলাপের জন্য আহ্বান বা আমন্ত্রণ প্রথমে যেটা দেওয়া হয়েছিল, তা এখনো বহাল রয়েছে। অর্থাৎ আবার আহ্বানের প্রয়োজন নেই। এর বিপরীতে প্রধান বিরোধী দলের দুই নেতা কিছু প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের এ বিষয়ে অবস্থান হলো দিনক্ষণ ও আলোচনার বিষয়বস্তু স্পষ্ট করে জানাতে হবে। অন্য একজন প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ বিষয়ে লিখিত অনুরোধ পাঠাতে হবে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, রাজনৈতিক গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও দুই দলই প্রথম আহ্বান বহাল ও আবার আহ্বানের বিষয়টি অত্যন্ত হালকাভাবে নিচ্ছে। দেশে বিরাজমান অশান্ত ও সহিংস পরিস্থিতির অবসানের জন্য এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি জনগণের কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য দেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও নাগরিকসমাজ যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কিন্তু দুই দল উদ্বিগ্ন কি না সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোও এ নিয়ে যথেষ্ট উৎকণ্ঠা একাধিকবার প্রকাশ করেছে। এখনো করছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও প্রায় প্রতিদিনই একই কথা বলেছেন। সর্বদলীয় সরকারের কাঠামো ও আকার কী হবে, তা এখনো সম্পূর্ণ স্পষ্ট নয়। এ নিয়েও চলমান বিতর্ক হলো বর্তমান সংসদ সদস্য নিয়ে যদি সর্বদলীয় সরকার হয় তাহলে সেটা হবে চারদলীয় সরকার। অর্থাৎ বর্তমান সংসদে চারদলের প্রতিনিধি রয়েছে। এর মধ্যে দুই বামপন্থী দলও রয়েছে। বিএনপি প্রধান বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও এ প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। জামায়াত এখন উচ্চ আদালতের আদেশের কারণে একটি নিষিদ্ধ দল। নির্বাচন কমিশন ইতিপূর্বে এ দলকে যে নিবন্ধন দিয়েছিল তা বাতিল ঘোষণার জন্য আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছে। এ বিষয়ে দলটি যদি আপিল করে তাহলে কী হবে? এর উত্তর হয়তো যথাসময়ে পাওয়া যাবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কি না জানা নেই। এ নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলে জানা সম্ভব ছিল। সংলাপে বসার আহ্বান প্রথম দফায় ব্যর্থ হয়। এ দফায় বিএনপির নেতৃত্বে ৬০ ঘণ্টার হরতালে বহু সহিংস ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে। আহতের সংখ্যা আরো অধিকতর। এরপর আসে দ্বিতীয় দফার ৬০ ঘণ্টাব্যাপী হরতাল। ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ হরতালের মেয়াদ। এর ফলে ৮ তারিখ পর্যন্ত কয়েকজনের প্রাণহানি ও শিশুসহ অন্য ব্যক্তিরা মারা গেছে। প্রথম দফার সময় প্রধান বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। এর সপক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে ১৮ দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় সংলাপের পরিবেশ বিঘ্নিত করছে। মামলাও দায়ের করা হচ্ছে প্রতিদিন। এর বিপক্ষে ক্ষমতাসীন দলের বক্তব্য ছিল সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার দায় বিরোধী দলের। প্রধান বিরোধী দল বলেছে তারা শাস্তিপূর্ণ হরতালের ডাক দিয়েছে। দলের কেউ সন্ত্রাস বা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে না। দুই দফার ১২০ ঘণ্টার হরতালের আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ। কিছু ককটেল বহনকারীরাও হয় আহত অথবা বিস্ফোরণের ফলে মৃত্যুবরণ করেছে। বিভিন্ন সহিংস ঘটনার দায়িত্ব বা দায়ভার দুই দলের কোনো দল স্বীকার করবে না। হরতাল আহ্বানকারী নেতারা বলছেন, এ দায়ভার ক্ষমতাসীন দলকেই বহন করতে হবে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, দায়ভার বিরোধী দলের। এ ধরনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের একপর্যায়ে বিরোধীদলীয় নেতা দুই দলের মহাসচিবদের নিঃশর্ত সংলাপে সম্মতি জানিয়েছিলেন। এ সম্মতির কথা তিনি ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন। ব্যবসায়ী নেতারা এ সম্মতির কথা প্রধানমন্ত্রীকে জ্ঞাত করার কথাও বলেছেন। এ সত্ত্বেও মহাসচিব পর্যায়ে কোনো সংলাপ এখনো হয়নি। এ সময়ে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা সংলাপের দরজা খোলা আছে বলে বক্তব্য দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের মহাসচিব এ প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। এ খবরটি নিয়েও জনমনে বিভ্রান্তি রয়েছে। আসলে কোন দলের অবস্থান কী, তা তারা জানে না।
বাংলাদেশের রাজনীতির ধারার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো নির্বাচনের সময় যতই কাছে আসে হরতালভিত্তিক আন্দোলন ততই বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কার দখলে যাবে তা-ই হয় মুখ্য বিষয়। ১৯৯৫-৯৬, ২০০৬-০৭ এবং ২০১২-১৩ বছরগুলোর হরতালকেন্দ্রিক আন্দোলন এর সাক্ষ্য বহন করে। অর্র্থাৎ রাজনীতি ক্ষমতা ও নির্বাচনকেন্দ্রিক। নির্বাচনকেই ধরে নেওয়া হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে কোনো তৃতীয় শক্তির উত্থান হয়নি, যা ২০০৭ সালে হয়েছিল। এ বছরে অবিরাম সহিংস আন্দোলনের সময় তৃতীয় শক্তির উত্থানের বিষয়ে অনেক বক্তব্য মিডিয়ায় দেখা গেছে। অনেকেই বলছেন, সংকট নিরসনে সংলাপ হতেই হবে অথচ তার কোনো চিহ্ন দৃশ্যমান নয়। ক্ষমতাসীন দল সময়মতো নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে এ দলের প্রস্তুতির কথাও শোনা গেছে। যেমন প্রার্থীর মনোনয়নের আবেদন, ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন। এর পূর্বপ্রস্তুতির জন্যই এ মাসেই সর্বদলীয় সরকার গঠন।
নির্বাচনের স্পন্দন মাঠপর্যায়েও দৃশ্যমান। এ বিষয়ে কালের কণ্ঠের ৪ নভেম্বর সংখ্যায় সিলেট জেলার ছয় আসনের বিষয়ে বিশদ বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে ১৮ দলীয় জোট অনেকাংশে পিছিয়ে আছে। প্রধান কারণ, নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। তবে জেলার নেতারা এ বিষয়ে তৎপর। প্রশ্ন করা যায় যে এ ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত সর্বদলীয় সরকারের অধীনেই কি প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে যাবে। এ বিষয়ে দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। নির্দলীয় সরকার ছাড়া দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এ অবস্থানে অনড় হলে এ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা কি এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন, তা স্পষ্ট নয়। অতীতে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী প্রার্থীর উত্থান হয়েছে। সিলেটের সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয়ে যা বলা হয়েছে তাতে মনে হয় ১৮ দলে ওই পর্যায়ে অনেক প্রার্থী রয়েছে। এ কথাও বলা হয়েছে যে ১৮ দলীয় আসনের দিকে জাপার নজর রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত জাপার অবস্থান ছিল সব দল অংশগ্রহণ না করলে তারা নির্বাচনে যাবে না। এ দলের নেতা সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। আশা করা যায়, এ সপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহে তা জানা যাবে।
সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে কমিশনের অবস্থান অনেকটা স্পষ্ট। নির্বাচন কমিশনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখনো বাকি। এক. খসড়া আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা। দুই. তফসিল ঘোষণা। কমিশন আশা করে সমঝোতার মাধ্যমে সব দলই অংশগ্রহণ করবে। এ বিষয়ে কমিশন আরো বলেছে যে সমঝোতার জন্য যতদূর সম্ভব তারা অপেক্ষা করবে। শেষ পর্যন্ত প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার আগে খসড়া নিয়ে রাজনৈতিক দলের মতামত গ্রহণ করা হবে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তফসিল ঘোষণার দিন নিয়েও কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে। মিডিয়ার সংবাদ অনুযায়ী এ মাসেই অর্থাৎ নভেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন এর কাছাকাছি সময়েই করা হবে। অন্য কমিশনাররা বলেছেন, ২৪ জানুয়ারি ৫৫ দিন আগে ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ দিনটি এখনো সঠিকভাবে কমিশন নির্ধারণ করেনি। তবে এ ঘোষণার আগেই আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে। সরকারের ক্ষেত্রে আরো বলা যায়, মন্ত্রীদের পদত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একজন প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন।
লেখক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
(কালের কন্ঠ, ১০/১১/২০১৩)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন