আলফাজ আনাম
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার পতন ঘটেছিল জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে। এই ঐক্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে গড়ে ওঠেনি। কোটাবিরোধী একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। দেড় দশকে নিপীড়নের শিকার বিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা তাতে শরিক হয়ে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যায়। হাসিনার পতন ও পলায়নের পর দেশের রাজনীতিতে যে গুণগত পরিবর্তন আশা করা হয়েছিল, তা এখনো হয়নি; বরং নতুন করে বিভেদ ও বিভাজনের আলামত সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এই সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে পরাজিত শক্তি। তারা এখন জুলাই আন্দোলনের প্রথম সারির চেনা মুখগুলোকে গুপ্তহত্যা করার পথ বেছে নিয়েছে। এর প্রথম শিকার হলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদি। তাকে বেছে নেওয়ার পেছনে সুস্পষ্ট লক্ষ্য আছে। শুধু জুলাইয়ের মুখ বলে তাকে প্রথম টার্গেট করা হয়েছে, এমন নয়। আসলে এই হামলার মধ্য দিয়ে হাদির কাজ ও রাজনৈতিক তৎপরতার ওপর আঘাত আনা হলো।
অভ্যুত্থানের পর তরুণ নেতৃত্বের সবাই যখন রাজনৈতিক দল গঠন কিংবা ক্ষমতা বলয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন, তখন হাদি নীরবে অন্যরকম এক লড়াই শুরু করেন। হাসিনার পতনের পর যে গুটিকয়েক তরুণ সাংস্কৃতিক ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, হাদি তাদের অন্যতম। হাদির মধ্যে আমরা বহুমুখী প্রতিভার ছাপ দেখেছি। ঝাঁকড়া চুলের সেই তেজস্বী তরুণ হাদিকে আমরা রাজপথে দেখেছি আকাশ কাঁপিয়ে দ্রোহের স্লোগান দিতে। কিন্তু এই হাদি আবার টেলিভিশনে যুক্তিনির্ভর আলোচনা করেছেন। দেশের শত্রু-মিত্রের চেহারা তিনি মানুষের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরতেন। হাদি একজন ভালো সংগঠক, যিনি মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ইনকিলাব মঞ্চকে দাঁড় করিয়েছিলেন, যেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব চিন্তা ও মতের লোক যেতে পারতেন, আলোচনায় অংশ নিতেন।
শরীফ ওসমান হাদি একাধারে কবি ও শিক্ষক। গ্রামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক ও ইমামের ছেলে হাদির মধ্যে এলিট হয়ে ওঠার কোনো প্রচেষ্টা ছিল না। মাদরাসায় লেখাপড়া শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। ছাত্র পড়িয়ে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে নিয়েছেন। একজন আদর্শ শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন। হাদি এই বাংলার লাখো গরিব ও শিক্ষিত তরুণের প্রতিচ্ছবি। এ কারণে হাদির ওপর হামলায় দেশের মানুষের প্রাণ কাঁদছে। মসজিদে মসজিদে মানুষ অন্তর থেকে দোয়া করছেন। কাউকে এজন্য অনুরোধ করতে হয়নি। প্রতিবাদে রাজপথে আবারও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা নেমে এসেছে।
হাদির এই কর্মতৎপরতা ও স্পষ্টবাদী অবস্থান অনেকের গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দেয়। ফ্যাসিস্টদের পক্ষে তাকে হত্যার চেষ্টা করা অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু হাদিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু বানাতে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের দাবিদার নামধারী কিছু ইউটিউবার দিনের পর দিন তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিষোদ্গার করেছেন। তাকে ‘ডেভিল’ বা শয়তান হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। হাদির সাহসী তৎপরতাকে শুধু ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়নি, তার নারী সহকর্মীরাও এই নোংরামি থেকে বাদ যাননি। যারা এই কাজ করেছেন তাদের অনেকে বিদেশে অবস্থান করছেন। এরা মাঝে মাঝে দেশে এসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ্য অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার নানা যুক্তি দাঁড় করান।
হাসিনা পতনের পর জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ভেক ধরা এই ব্যক্তিরা মূলত দিল্লির সাংস্কৃতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে হাঁটছেন, যাদের শেষ লক্ষ্য আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা। এরা একসময় ইনক্লুসিভ ইলেকশনের নামে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে প্রকাশ্য ওকালতি করেছেন। সুজাতা সিংয়ের ভাষায় এরাও বলেন, ইসলামি মৌলবাদী দলকে ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, মৌলবাদ ঠেকানো হলো তাদের প্রধান এজেন্ডা। এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে দিল্লি হাসিনার ভোটারবিহীন নির্বাচনে সব ধরনের সমর্থন দিয়ে এসেছিল, দেশে চালু করেছিল গুম-খুনের রাজনীতি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি ও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির কাঁধে চেপে বসেছে নব্য ফ্যাসিস্ট এই বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকরা। এরা এখন বিএনপির প্রধান প্রচারবিদ ও থিংক ট্যাংক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিএনপিকে তারা নীরবে অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এরাই জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলটিকে উগ্র ধর্মনিরপেক্ষ ভারতপন্থি দলে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। অথচ এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ছুড়ে ফেলে দিয়ে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস সংযুক্ত করেছিলেন।
রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থেকে হাদি সাংস্কৃতিক সংগঠন তৈরিতে এক ঝাঁক তরুণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এই তরুণরা বুঝেছিলেন, সাংস্কৃতিক মঞ্চগুলো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্টদের ফিরে আসার ক্ষেত্র তৈরি করা হবে। ১৯৭৫ সালের পরও আওয়ামী লীগের পতন হয়েছিল, কিন্তু ফ্যাসিবাদী দলটি ফিরে এসেছিল প্রতিবেশী দেশের বিনিয়োগ করা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য দিয়ে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আশির দশকে হাসিনা যখন দেশে ফিরে আসেন তখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগে বিভক্ত ছিল। এ দেশের বামপন্থি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও গণমাধ্যমগুলো আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক রেখেছিল। সে সময় থেকে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বয়ান। সেটি ফুলে-ফলে পত্র-পল্লবিত হয়ে ২০১৩ সালে শাহবাগের আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে দেড় দশকে ফ্যাসিবাদ আমাদের ঘাড়ে জেঁকে বসেছিল।
হাদিকে কারা হত্যার চেষ্টা করেছে, সেটি এখন অনেকটা স্পষ্ট। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীরা গুলিবর্ষণের পর বাধাহীনভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। গুলিবর্ষণের ২৪ ঘণ্টা পরও দেশের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে পারেনি। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নতুন আউটলেট ‘দ্য ডিসেন্ট’ প্রথম হামলাকারীকে চিহ্নিত করে। তারা প্রথম বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও ডিজিটাল ফরেনসিকের মাধ্যমে হামলাকারীদের গতিবিধি জানাতে সক্ষম হয়। অথচ রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অপরাধীদের ধরতে প্রাথমিক কোনো উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। গত দেড় দশকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ঢেলে সাজানো যায়নি। বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোয় এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছেন।
হাদিকে হত্যাচেষ্টার মধ্য দিয়ে ভারতীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠনের পলাতক নেতারা এক ঢিলে একাধিক পাখি শিকারের কৌশল নিয়েছেন। হাসিনা নিজে তার কর্মীদের এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দিচ্ছেন। তার সঙ্গে দেশে থাকা কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার সময় কর্মীরা যখন হত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তখন তিনি বলছেন, ‘কথা নয়, কাজ দেখতে চাই।’ হাসিনা নিজে এখন এ ধরনের হত্যাকাণ্ডগুলো মনিটর করছেন। কিন্তু গুপ্ত হত্যার চেষ্টার মাধ্যমে প্রমান হয়েছে আওয়ামীলীগে এখন পুরোপুরি ভাবে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এ দেশের রাজনীতিতে দলটির আর ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
হাদিকে হত্যাচেষ্টার মাধ্যমে যেমন সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদবিরোধী কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তেমনি অভ্যুত্থানের পরিচিত মুখগুলোকে হত্যার বার্তা দেওয়া হয়েছে। হাদি ছিলেন ঢাকার একটি আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন এই হামলার মধ্য দিয়ে তারা প্রার্থী ও ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা।
একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর সরকার এখনো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এর বহুবিধ কারণ আছে। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর এক বছরের বেশি সময় পার হলেও রাজধানীকেন্দ্রিক নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক, তা ধ্বংস করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগের দুই নেতা আসাদুজ্জামান খান কামাল ও জাহাঙ্গীর কবীর নানক ঢাকায় একধরনের প্রাইভেট বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। এরা অভ্যুত্থানের আগে দলের নেতাকর্মীদের হাতে দেদার অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। এমনকি পুলিশের অস্ত্রও তাদের হাতে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে।
হাদির হত্যাচেষ্টাকারী তরুণ নানকের নিয়ন্ত্রণাধীন মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকায় ছাত্রলীগের পদধারী একজন নেতা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বহু আগে থেকে পরিচিত এই সন্ত্রাসী প্রশাসন ও রাজনৈতিক শেল্টার ছাড়া প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারত না। আওয়ামী আমলে এই সন্ত্রাসীরা বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বনে যায়। ছাত্রলীগের এই খুনি-সন্ত্রাসীও সফটওয়্যার ব্যবসায়ী সেজে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে দুই কোটি টাকা নিয়েছিল। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অঙ্কের চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। টাকার বিনিময়ে বিএনপিপন্থি উকিলদের আইনি সহায়তায় দ্রুত তার জামিন হয়েছিল।
হাদির হত্যাচেষ্টাকারী হামলার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতে পালিয়ে গেছে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের অস্থিরতা সৃষ্টির প্রতিটি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততা আছে। দিল্লির এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশে গুম-খুনের সঙ্গে ভারত সম্পৃক্ত ছিল। এখন আওয়ামী খুনিদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ভারত। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এগিয়ে যেতে হলে ভারতকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী তৎপরতা আগে বন্ধ করতে হবে, ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য। হাদি হত্যাচেষ্টার পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হয়েছিল। সেখানে হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ সমাবেশের ব্যাপারে একমত হয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম, প্রধান একটি রাজনৈতিক দল এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়নি। এর মাধ্যমে দলটি কী বার্তা দিতে চায়, তা স্পষ্ট নয়। দিল্লিকে খুশি করার রাজনীতি যদি লক্ষ্য হয়, তবে তা দলটির জন্য বুমেরাং হবে।
পলাতক হাসিনা ও দিল্লির এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা। হাদির ওপর হামলার এটিও ছিল একটি লক্ষ্য—ভয়ভীতি ছড়িয়ে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো। এই হামলার পর নারায়ণগঞ্জে বিএনপি মনোনীত এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিরাপত্তার কারণে তিনি নির্বাচন করবেন না। বিএনপি যদি দিল্লির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে শামিল না হয়, তাহলে দিল্লির কৌশলে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মনে রাখতে হবে, হাদির সহযোদ্ধা তরুণরা দিল্লিকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী তৎপরতায় থামবে না। কারণ আন্দোলনের শুরুতে তারা শত্রু চিনেছিলেন। সে সময় তারা স্লোগান দিয়েছিলেন—‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা!’ এ দেশের ছাত্রসমাজ ভালো করেই জানে হাসিনার প্রাণভোমরা হলো দিল্লি। ছাত্র-জনতার এই লড়াই থেকে যারা দূরে থাকবে, তারা এ দেশের মানুষের কাছ থেকে ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
লেখক : সহযোগী সম্পাদক, আমার দেশ