Image description

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন  

আন্দোলনটা করলো ছাত্র শিক্ষক। স্বৈরাচার হটালো ছাত্র শিক্ষক। অথচ শিক্ষা বিষয়ক কোন সংস্কার কমিশন হলো না। শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির কোন আশ্বাস এলো না। শিক্ষকদের একটা স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের প্রতিশ্রুতি এলো না। ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় করার কোন পদক্ষেপ দেখছি না। 

দেখছি কি? তাড়াতাড়ি নির্বাচনের তাগিদ। দেখছি আন্দোলনে কার হিস্যা কত সেটা নিয়ে কাইজ্যা। দেখছি ধর্ম, রাজনীতি, আদিবাসী ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে বিভক্তি। অথচ আন্দলোনের সময় একত্রিত হয়ে আন্দোলন করেছি। শুনছি অধ্যাপক আনু মোহাম্মদের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার হীন চেষ্টা। অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ কি আন্দলোনের ক্রেডিট চাইছে? সে কি উপদেষ্টা হতে চেয়েছিল? ক্ষমতার পাইয়ে ভাগ বসাতে গিয়েছিল? 

আমি স্বাক্ষী। আনন্দলোন যখন তুঙ্গে জীবনের রিস্ক নিয়ে তখন আমাদের শিক্ষক নেটওয়ার্কের শিক্ষকরা রিপোর্টার্স ইউনিটে একত্রিত হয়েছিলাম। অনু মোহাম্মদের পায়ের আঙ্গুল ট্রেইনে কাটা পড়েছিল। সেই অসুস্থ শরীর নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রেস ক্লাবে গিয়েছিলেন। খাওয়া দাওয়া কিংবা জীবন বাঁচবে কিনা এইসবের চিন্তা করেননি। অধ্যাপক আনু মোহাম্মদকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এইরকম নির্ভিক দেশপ্রেমিক মানুষ বাংলাদেশে আমি খুব কম দেখেছি। দেশকে ভালোবাসতে হয় দল ও ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধে উঠে। অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ তেমন একজন মানুষ। তাকে নিয়ে কুৎসা রটানো বন্ধ করুন। তাহলে দেশে ভালো মানুষ আর জন্মাবে না।

লেখক: অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।