
জায়নবাদী ইতিহাস-লেখক ইউভাল নোয়াহ হারারির সেপিয়েন্স, হোমো দিউস কিংবা নেক্সাসের মতো বইগুলো যখন বের হয়, অনেকেই সতর্ক পর্যবেক্ষণ করেছেন। সে সময় আমরা অনেকেই একটি বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম খুব করে। যাকে সহজ শিরোনামে বলা যায়, ‘বদলে যাচ্ছে বিশ্ব, উল্টে-পাল্টে যাচ্ছে কূটনীতির ভাষা’। আর সেই বিষয়টিকে সহসাই আমার কাছে অনেকটা বাস্তব বলে মনে হয়েছিল ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার অনেক রথী-মহারথীর হাতে ল্যাবেঞ্চুস ধরিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষর করেন জেমস এম. ইনহোফ ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট ফর ফিসকাল ২০২৩ বা সংক্ষেপে এনডিএএ ২০২৩-এর আইনটিতে।
আমি অবাক হয়ে খেয়াল করি, তাদের এই বিশাল প্রতিরক্ষা বাজেট প্যাকেজের মধ্যে স্থান পেয়েছিল সংশোধিত বিইউআরএমএ অ্যাক্ট, যা মূলত মিয়ানমারের সামরিক জান্তা, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভের (এসএসি) ওপর মার্কিন চাপ বাড়ানো এবং গণতন্ত্রপন্থি শক্তিকে সহায়তার লক্ষ্য নিয়েই প্রণীত হয়েছিল। কিন্তু নিবিড় পর্যালোচনায় বোঝা যায়—এটি যতটা না বাস্তব নীতি পরিবর্তন, তার চেয়ে বেশি প্রতীকী ঘোষণা। আর এই প্রতীকী ঘোষণা এক অর্থে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি পাল্টে দিতে যাচ্ছে বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেন।
অনেকের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি লিখেছিলাম, ‘আমেরিকা চাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের অবস্থান শক্তিশালী হোক। তারা এর মাধ্যমে রুশ চৈনিক লিগ্যাসিকে দাফন করে দিতে চাচ্ছে। স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের একমুখিতা এশিয়ার দেশগুলোকে প্রচ্ছন্ন কিংবা প্রত্যক্ষভাবে চীন কিংবা রাশিয়ার আজ্ঞাবহ করে রাখছে। আর সেই ধারা থেকে দক্ষিণ এশিয়াকে বের করে আনার উদ্দেশ্যে প্রথমত, আইনটির মূল কাঠামোতে সাতটি ভাগে নীতি, নিষেধাজ্ঞা, সমন্বয়, জাতিসংঘে ভূমিকা, অর্থ বরাদ্দ, মানবাধিকার সুরক্ষা ও আমদানিতে ছাড়ের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যার আলাদা বিশ্লেষণ রয়েছে।’
তখন মার্কিন নীতির বিবৃতিতে ‘বার্মার জনগণের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের জন্য সমর্থন’-এর কথা বলা হলেও, রাজনৈতিক ও সামরিক প্রেক্ষাপটে এই সমর্থন কাদের দিকে নির্দেশিতÑসেটি সীমিত পরিসরে নির্ধারিত। ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) নাম স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হলেও, জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন (এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনস বা ইএও) কিংবা জনগণের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (পিপল’স ডিফেন্স ফোর্সেস বা পিডিএফ) নাম প্রকাশ্যে উল্লিখিত হয়নি, যদিও পরবর্তী ধারায় তাদের জন্য ‘নন-লিথাল’ সহায়তার অনুমোদন রয়েছে। এগুলোর মধ্য দিয়ে মূলত চীনের দিকে নীরবে একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়। আর সেখানেই প্রশ্ন লুকিয়ে ছিল যে পররাষ্ট্রনীতির নির্ধারণে কোনো পথে হাঁটবে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র্যাবের বিরুদ্ধে আসে স্যাংশন। রাজপথের আন্দোলনে নামলেই গুলি করে মেরে ফেলার যে ভয়াবহ শঙ্কা আওয়ামী লীগ তৈরি করেছিল, সেটি কেটে যায় মানুষের। আর মুহুর্মুহু প্রতিবাদের প্রভাবে ঠিক এ সময় নড়েচড়ে বসে বিগত ফ্যাসিবাদী শক্তি। মূলত স্যাংশনের সেই সুযোগে আন্দোলনের মাঠ গরম করতে থাকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় শক্তি। এমন পরিবেশেও সেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে চীন সোনার নৌকা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিল। যদিও তাদের পতনের বিষয় অনেকটাই অনুমান করা যাচ্ছিল।
কোটা আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে রূপ নেয় দাবানলে। মীর মুগ্ধের মৃত্যু আর তার ভাইরাল ভিডিও। তারপর গণঅভ্যুত্থান। জনরোষের মুখে হেলিকপ্টারে করে দিল্লি পালিয়ে যায় ফ্যাসিবাদের প্রতীক শেখ হাসিনা। কিন্তু এ সময়ের ঘটনাপ্রবাহে এমন কিছু বিষয় লুকিয়ে আছে, যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অনেক গুরুত্ব বহন করে। আর এ বিষয়টি আগে থেকে অনুধাবন করতে না পারলে পরিস্থিতি বরাবরের মতো ঘোলাটেই থেকে যাবে।
আওয়ামী লীগের গুম, খুন ও নিপীড়নের বিপরীতে যারা লড়াই করেছে, তারা সবাই ভেবেছিল নির্বাচনি কারচুপির পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ভয়াবহ স্যাংশন আসবে। আর তাতেই বিষদাঁত ভেঙে যাবে ফ্যাসিবাদের। কারণ দৃশ্যমান নির্বাচনি কারচুপির পাশাপাশি বেশির ভাগ সংসদীয় আসনে নিজেরা নামে-বেনামে সিট ভাগাভাগির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সেই স্যাংশন তথা নিষেধাজ্ঞার বিধানগুলোতেও সীমাবদ্ধতা থাকায় তারা এমন গুরুতর অপরাধ করে আপাতত জাত রক্ষা করে।
ঘটনার পর সবাই নড়েচড়ে বসে। অনেক বিশ্লেষকের লেখা পড়ে জানা যায়, স্যাংশনের সেই আইনটি বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দেয় শুধু সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তা, এসএসির মন্ত্রিসভা, প্রতিরক্ষা খাতের মূল প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক সংস্থার ওপর। তখন মিয়ানমারের হিসেবে, অন্য ক্ষেত্রগুলোয়, যেমন : মায়ানমা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজ’র (Myanma Oil and Gas Enterprise) ওপর নিষেধাজ্ঞা, শুধু অনুমোদন দেওয়া হয়েছে—প্রেসিডেন্ট চাইলে প্রয়োগ করবেন। অথচ পূর্ববর্তী জেএডিই অ্যাক্ট-১০০৮-এর অধীনে এই পদক্ষেপগুলোর অধিকাংশই আগে থেকেই নেওয়া সম্ভব ছিল; সুতরাং নতুন আইনের নীতি বাস্তবায়ন অনেকাংশে নির্বাহী ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু তার মধ্য দিয়ে আকেলমান্দ বিশ্লেষকরা আগে থেকেই অনুমান করে নিয়েছিলেন বাংলাদেশে প্রতাপশালী ফ্যাসিবাদের শরীরে ঘুণ ধরেছে। হম্বিতম্বির দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও তাদের পতন দিনে দিনে হয়ে যাচ্ছে সময়ের ব্যাপার।
আমরা দেখেছি, জাতিসংঘে সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান সত্ত্বেও বাস্তব কূটনৈতিক ভারসাম্য প্রশ্নবিদ্ধ। আইনটি নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা, বৈশ্বিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা, এসএসির সহায়তা বন্ধ এবং বহুপক্ষীয় নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু চীন ও রাশিয়ার স্থায়ী ভেটো ক্ষমতা এই প্রচেষ্টাকে প্রাথমিক স্তরেই থামিয়ে দিতে পারে, যা অতীতের অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত। আর সে ক্ষেত্রে ভারতের পাশের দেশ হিসেবে পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ ধীরে ধীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। আর পাকিস্তান সেনাপ্রধানের ঘনঘন মার্কিন মুল্লুকে ঘোরাঘুরির শেকড়টা এখানেই গ্রোথিত। কিন্তু সেই বিষয়টি নিয়ে বিশ্লেষণ করে চকিতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে বাংলাদেশ।
ঘনঘন চীন সফর করে আসা বুদ্ধিজীবীদের পক্ষপাতদুষ্ট কথায় ভুলে যাওয়া যাবে না, সহায়তার অংশে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ দিক রয়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৭ অর্থবছরে অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যেখানে ‘নন-লিথাল’ সহায়তা ইএওএস (EAOs), পিডেএফএস (PDFs) ও গণতন্ত্রপন্থি সংগঠনগুলোর জন্য রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চাইলে এই নন-লিথাল সহায়তার সংজ্ঞা প্রসারিত করে—যেমন ইউক্রেন বা সিরিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল—সুরক্ষা সামগ্রী, বর্ম, যোগাযোগ সরঞ্জাম, চিকিৎসা সরঞ্জাম ইত্যাদি দিতে পারে। কিন্তু আইনে কোনো বাধ্যতামূলক শর্ত নেই—এখানেও রাজনৈতিক সদিচ্ছাই মূল নিয়ামক। ঘুরেফিরে তা অক্টোপাসের মতো বেঁধে ফেলছে বাংলাদেশের কূটনৈতিক পরিমণ্ডলকে।
বার্মা অ্যাক্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ সংগ্রহ ও নথিভুক্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংস্থাগুলো সহায়তার অনুমোদন। এতে জাতিসংঘের ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমারের (Independent Investigation Mechanism for Myanmar (IIMM) কথাও বিশেষভাবে বলা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যায় এ বিষয়টি বিরাট ভূমিকা রেখেছিল। বিশেষত, জুলাই গণহত্যা নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার সেদিকেই ইঙ্গিত দেয়।
মিয়ানমারের জন্য সংগ্রামরত জনগণ, ইএওএস (EAOs), পিডিএফএস (PDFs) কিংবা এনইউজি (NUG) তাদের কাছে এই আইন শুধু আশাবাদের কারণ হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি কার্যকর শক্তি হয়ে উঠবে কি না, তা নির্ধারণ করবে ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক ইচ্ছা ও ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা। এই আইন সরাসরি বাংলাদেশের জন্য কোনো আকস্মিক পরিবর্তন আনবে না, তবে এর প্রভাব পরোক্ষভাবে গভীর হতে পারে। এই প্রভাব মূলত নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্র কতটা কার্যকরভাবে আইনটি প্রয়োগ করে তার ওপর।
বিশেষত, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিরসনের এই আইন ভূমিকা রাখতে পারে। যদি যুক্তরাষ্ট্র এই আইনের মাধ্যমে জান্তার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক চাপ বাড়ায়, তবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। তবে পদক্ষেপ যদি শুধু প্রতীকী থাকে, তাহলে বর্তমান পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে এবং বাংলাদেশের মানবিক ও অর্থনৈতিক বোঝা আরো দীর্ঘায়িত হবে। ওদিকে সীমান্ত নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নির্ধারণের পাশাপাশি এ অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য নতুন করে দেখা দিয়েছে তার কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির সুযোগ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলাদেশ এই আইনকে কূটনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায়। মিয়ানমার সংকটে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত একটি ফ্রন্টলাইন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মানবিক সহায়তা, রোহিঙ্গা আশ্রয়দাতা কমিউনিটির উন্নয়ন তহবিল এবং জাতিসংঘে শক্তিশালী সমর্থন দাবি করতে পারে, যাতে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হয়। তবে এখানে পুরোপুরি অক্টোপাসের মতো পেঁচিয়ে গেছে চীন ও ভারতের ভূরাজনীতি।
আইনে চীন ও রাশিয়াকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সমর্থনের জন্য দায়ী করার আহ্বান রয়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে মিয়ানমার ইস্যুতে উত্তেজনা বাড়ে, তবে বাংলাদেশকেও আঞ্চলিক কূটনীতিতে আরো স্পষ্ট অবস্থান নিতে হতে পারে, যা তার ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। এ অবস্থায় বাংলাদেশি নেতাদের ঘনঘন চীন সফর ও কিছু বাণিজ্য চুক্তির লোভে কূটনীতিতে হঠাৎ পরিবর্তন আনা ভালো কোনো ফল বয়ে আনবে না। বিশেষত, এতে করে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে দৃশ্যমান শীতলতা তৈরি হতে পারে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কিংবা জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের একাংশের হঠাৎ করে চীনের দিকে পুরোপুরি ঝুঁকে পড়া কোনো ভালো বার্তা দেয় না। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, সীমান্ত নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের যে সক্রিয় ভূমিকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, তা আদতে এর মধ্য দিয়ে মাঠে মারা পড়বে। কারণ সেই সুযোগের পুরোটাই নির্ভর করছে ওয়াশিংটনের সদিচ্ছা ও ধারাবাহিক নীতি প্রয়োগের ওপর। পাশাপাশি চীন, ভারত ও পাকিস্তান প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান কী, সেটিও এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে ঘনঘন চীন সফর বাদ দেওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানবিরোধী উত্তেজক বক্তব্য বর্তমান পরিস্থিতিতে যতটা কম দেওয়া যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের কাজটা ততই সহজ হবে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়