Image description

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

 

মানুষ বিশ্বাস ছাড়া বাঁচে না, এমনকি অবিশ্বাসও তো বিশ্বাসই এক প্রকারের। তবে এটাও সাধারণত দেখা যায় যে, ইহজাগতিক ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা যতই কমে- পারলৌকিকতা ও প্রতারণায় বিশ্বাস ততই বাড়ে। আস্থা হারিয়ে কেউ চলে যায় ধর্মের দিকে, কেউ বা প্রতারণা-অভিমুখে। প্রতারকদের একাংশ যে ধার্মিক সাজে না এমনও নয়। বৃদ্ধি পায় আলস্য এবং নেশাগ্রস্ততা। নেশা অবশ্য নানা প্রকারের হয়, হয়ে থাকে। আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না। এই ধারণাও পুরনো। সেখানে টাউটদের রাজত্ব ছিল, টাউটদের দৌরাত্ম্য এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনে ও বিচারে এভাবে আস্থা হারালে, মানুষ যাবেটা কোথায়? কোথায় খুঁজবে আশ্রয়? খোঁজে ধর্মের কাছে। নিরাপত্তা হারানোর প্রাথমিক কারণটা অবশ্য রয়েছে অন্যত্র। রয়েছে অর্থনীতিতে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অল্প কিছু মানুষ ওপরে উঠছে অধিকাংশ মানুষকে দলিত মথিত বিধ্বস্ত করে। এই পীড়িত মানুষের জন্য কোনো ইহজাগতিক আশ্রয় নেই, তাই তারা আঁকড়ে ধরে অলৌকিক শক্তিকে, সাহায্য চায়, ক্ষতিপূরণ আশা করে। পরীক্ষায় নকল এদেশে আগেও হতো, কিন্তু এখন যেহারে নকল হচ্ছে তেমনটি আগে কখনো ঘটেনি। কারণ কী? মূল কারণ হচ্ছে, আস্থার অভাব। নকলে কেবল যে পরীক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে তা নয়, অভিভাবকরাও নৈতিক ও বৈষয়িক সমর্থন জানাচ্ছে। না, এ-ব্যাপারে সকলেরই এক ‘রা’, আমাদের ছেলেমেয়েদের অধিকার দিতে হবে। তাদের এই দাবির পেছনে যে মনোভাবটি কাজ করছে, সেটা হলো দেশের সর্বত্র নকল হচ্ছে, আমাদের ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত হবে কেন? এক জায়গায় না হয় নকল থামালেন, অপর জায়গার খবর কী? আর অভিভাবকরা যখন পরীক্ষার্থীদের সহযোগী হয়, নকল সরবরাহ করে, পাহারা দেয়, নকল ধরলে ধাওয়া করে তখন নকল থামাবে কে? থামানো যাচ্ছে না। আমাদের পরীক্ষাব্যবস্থায় সৃষ্টিশীলতাকে উৎসাহিত করার ব্যাপারটা কখনোই ছিল না। এখনও নেই। পরীক্ষায় মেধার পরীক্ষা হয় না, পরীক্ষা হয় মুখস্থ করার শক্তির। সৃষ্টি করবে না, ভাববে না, না-বুঝে মুখস্থ করবে। তারপর পরীক্ষার খাতায় যা তুমি সংগ্রহ করেছ কিন্তু ভুলেও হজম করোনি, তা উদগীরণ করে দেবে। এই কর্মকাণ্ডে কার কতটা দক্ষতা সেটার প্রমাণ দিয়ে নম্বর ও সার্টিফিকেট নিয়ে ঘরে চলে যাবে। এই হচ্ছে ব্যবস্থা। বলা বাহুল্য, এই ব্যবস্থা বদলায়নি। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আমাদের এই স্মরণশক্তিকে বিস্ময়কর বলেছেন। এই দক্ষতাটা তো আসলে সবারই। মনে রাখার নকলটা প্রচ্ছন্ন, কাগজ দেখে নকল করাটা প্রত্যক্ষ; এটাই পার্থক্য। প্রত্যক্ষটা নিন্দনীয় বলে গোপনটা যে প্রশংসনীয়, তা নিশ্চয়ই নয়।

এক্ষেত্রে অনাস্থা যার ওপর প্রকাশ পাচ্ছে, সেটা হচ্ছে শ্রমশীলতা। আমাদের দেশে শ্রম অত্যন্ত অবহেলিত এবং অবমূল্যায়িত। শ্রমজীবী মানুষ বংশানুক্রমে, জন্মজন্মান্তরে পরিশ্রম করে, করতেই থাকে এবং দরিদ্র থাকে। তারা চাষা ও কুলি, তাদের মর্যাদা দেবে কে? শ্রমের সাহায্যে কেউ ওপরে ওঠে না। ওঠে প্রতারণা ও চাটুকারিতায়, যে-জন্য শ্রমের ওপর কেউ আস্থা রাখে না। ‘স্বাধীনতা’ এক্ষেত্রে পরিবর্তন আনেনি, অবনতি ছাড়া। এবং এটাও স্বাভাবিক যে, প্রতারক ও চাটুকাররা পরস্পরের প্রতি আস্থা রাখে না, বিশ্বাসও রাখে না। মানুষের অনেক গুণ, এমনকি অন্য প্রাণীর গুণাবলিও তার মধ্যে রয়েছে; যেমন কুকুরের গুণ। কুকুর বড়ই প্রভুভক্ত এবং পরস্পরের প্রতি হিংস্র, অন্য প্রাণীকে সহ্য করবে, কিন্তু নিজের প্রজাতির অপর কাউকে দেখামাত্র শোরগোল শুরু করে দেবে। বাংলাদেশের সমাজে ও রাষ্ট্রে প্রভুভক্তি যেমন দেখা যায়, তেমনি দেখা যায় মারাত্মক রকমের কলহপ্রবণতা। প্রভুর প্রতি আস্থা রাখলেও, প্রতিবেশীকে ঘৃণা করে। ভেজাল বাড়ছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বহু গুণ বেড়ে গেছে। কেউ ধরা পড়ছে না, ধরা পড়লেও শান্তি হচ্ছে না, আস্থা বাড়ছে টাকার শক্তিতে। টাকায় সবকিছুই কেনা যায়। বড় বড়, এমনকি প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিরাও টাকার ক্রয়সীমার বাইরে নন। ন্যায়বিচার না-পেলেও নিজের পক্ষে বিচার কেনা যায়, চিকিৎসা তো প্রকাশ্যে ও পরিপূর্ণরূপেই পণ্যে পরিণত। সবকিছু মিলিয়ে সত্য ওই একটাই, মানুষের বিশ্বাস নেই নিরাপত্তা ও সুবিচার, আস্থা নেই শ্রমে, শিক্ষা কিংবা চিকিৎসায়। কেউ তার নিজের দায়িত্ব পালন করেন না। বিপন্ন জীবনানন্দ দাশ আবহমান ভাঁড়কে দেখেছিলেন গাধার পিঠে-বসা; ভাঁড় এখন সর্বত্র, তবে প্রায় কেউই গাধার পিঠে নেই, তারা রয়েছে বিভিন্ন পদে, গুরুত্বপূর্ণ সব আসনে। আর এটা বললে মোটেই মিথ্যা বলা হবে না যে, বেমানান ভাঁড় হোন কিংবা অতিসুচতুর দুর্বৃত্ত হোন, গুরুত্বপূর্ণ লোকদের মধ্যে এমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন যারা বাংলাদেশের কোনো ভবিষ্যৎ রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন।

দুই. আস্থাহীনতার এই যে নটে গাছ, এ কেন মুড়ালো তার তত্ত্বানুসন্ধান করলে দেখা যাবে যে, মূল কারণ নেতৃত্বের ব্যর্থতা। জাতীয় জীবনে এমন কোনো স্তর নেই, যেখানে নেতৃত্ব সফল হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো, রাজনৈতিক নেতৃত্বের। রাষ্ট্র হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রণ তারই হাতে, আদর্শ সেই-ই স্থাপন করে। অতীতে রাষ্ট্র ছিল আমলাতান্ত্রিক, কথা ছিল সে হবে গণতান্ত্রিক। কিন্তু হয়নি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এটা যে, বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বছরের পর বছর তা চালু থেকেছে। তারপর নির্বাচিত সরকার এসেছে বটে, কিন্তু গণতন্ত্র আসেনি।  গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন দরকার, কিন্তু নির্বাচন থাকা মানেই গণতন্ত্র থাকা নয়। নির্বাচিত সরকারও স্বৈরাচারী হতে পারে বৈকি, যদি তার স্বচ্ছতা না-থাকে, না থাকে জবাবদিহিতা এবং সর্বোপরি অভাব ঘটে দেশবাসীর স্বার্থ দেখার মনোভাব। আমরা মাঝে মধ্যে নির্বাচিত সরকার পেয়েছি, কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকার পাইনি। যাকে গণতন্ত্র বলা হচ্ছে, তা আসলে হচ্ছে টাকার থলির গণতন্ত্র। লোকেরা টাকার জোরে নির্বাচিত হচ্ছে এবং নির্বাচিত হয়ে নিজেদের টাকার থলিকে আরও ভরপুর ও মোটা করছে। টাকার জোর না থাকলে দলীয় মনোনয়ন পাওয়াই অসম্ভব, নির্বাচিত হওয়া তো অনেক দূরের কথা। যারা নির্বাচিত হন নির্বাচন কমিশনকে তারা জানান যে, খরচ করেছেন তিন লাখ, আসলে খরচ করেন তিন কোটি। ওই টাকা কোথা থেকে এলো, তা জানা যায় না। জানতে কেউ চায়ও না। তবে এটা জানা থাকে অবশ্যই যে, তিন কোটি অচিরেই ত্রিশ কোটিতে পরিণত হবে। শ্রমের কারণে এই স্ফীতি ঘটবে না, ঘটবে লুণ্ঠনের কারণে। টাকা পাওয়া ও বৃদ্ধি করা, সবটাই অলৌকিক, ঐন্দ্রজালিক। কেউ ধনী হয় চোরাচালান করে, কেউ ব্যাংক দখল করে, কেউ ঘুষ খেয়ে, কেউ-বা রাজনীতি করে। কিন্তু রাজনীতিকদের কাজটাই সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক। কেননা, তারা হচ্ছেন নেতা, তারাই আদর্শ, তারা যে আদর্শ স্থাপন করেন, তারই অনুসরণ চলে সর্বস্তরে। তাদের আশ্রয় ও সমর্থন না-পেলে অন্যরা অচল হতো, সাহসই করত না দুর্নীতির পথে পা বাড়াতে।

নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। বিশ্বের সামনে এও এক অনন্য দৃষ্টান্ত বটে, তবে গৌরবের নয়, লজ্জার। কেউ কেউ আশা করেছিলেন যে, বাংলাদেশের এই দৃষ্টান্ত পৃথিবীময় ছড়াবে; ছড়ায়নি যে তার কারণ হচ্ছে বাকি পৃথিবী এখনো এতটা দুর্দশাগ্রস্ত হয়নি, তার রাজনীতিকরা এখনো এতটা দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারেনি যে, নিজেদের ওপর আস্থা হারিয়ে অন্যদের ডেকে আনবে, তাদের নিয়ন্ত্রিত রাখতে। রাজনৈতিক নেতাদের এক দল প্রতিপক্ষ অপর দলকে বিশ্বাস করে না।  বলে, ‘তোমরা ভোট চোর।’ উভয়েই উভয়কে চোর বলে, যাতে বোঝা যায় দুটি অর্ধেক বক্তব্য একটি পূর্ণ বক্তব্যকে উপস্থিত করছে এবং এই সত্যটাকে তুলে ধরছে যে, তারা উভয়েই ওই স্বভাবের, যে-স্বভাবের দায়ে তারা একে অপরকে অভিযুক্ত করছে। কিন্তু যারা ঘোষণা দিচ্ছে যে তারা বিশ্বাসযোগ্য নয়, তারা দুর্নীতিপরায়ণ, জনগণ তাদের বিশ্বাস করবে কোন যুক্তিতে? জনগণ যে বিশ্বাস করে তা নয়। জনগণ নির্বাচনে অংশ নেয়। কেননা, তারা দেখে একটা উৎসব চলছে, স্রোত বয়ে যাচ্ছে টাকাও পাওয়া যাচ্ছে কিছু কিছু। আস্থা থেকে ভোট দেয় না, বিকল্প নেই বলেই ভোট দেয়। দুই পক্ষের প্রার্থীই তাদের কাছে সমান, পার্থক্য যা তা উনিশ-বিশেরও নয়, তার চেয়েও কম। বোঝে উভয় প্রার্থীই সমান রাঙা-লোভে। আর এই অনুচ্চারিত প্রশ্নটাও তো থাকে যে, যাদের হাতে নির্বাচনব্যবস্থা নিরাপদ নয়, যারা অন্য লোককে ডেকে আনে নির্বাচনে তত্ত্বাবধান করার জন্য, তাদের হাতে রাষ্ট্র কতটা নিরাপদ। জবাবটাও অনুচ্চারিত, তবে স্পষ্ট। না, মোটেই নিরাপদ নয়। নিরাপদ যে নয়, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। দেশের স্বার্থ এরা দেখে না, ঋণদাতাদের আদেশ অনুযায়ী কাজ করে। দেশের সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে এদের কারোরই কোনো কার্পণ্য নেই, বরঞ্চ বুর্জোয়া দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে। স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা সবাই একটি কাজই দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে, সেটি হচ্ছে লুণ্ঠন। এককালে বিদেশিরা লুণ্ঠন করেছে, এখন করছে স্বদেশিরা। বিদেশিরা সম্পদ বিদেশে পাচার করত, স্বদেশি লুণ্ঠনকারীরাও ওই কাজ করছে এখন বিদেশি সহযোগীদের সাহায্যে।

মধ্যবিত্তের যে-অংশ নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বড় হয়নি; তাদের স্বভাব বৃক্ষের মতো নয়, পরগাছার মতো। এই পরগাছা আবার প্রতারণাও করে, লতা নয়, সাপ হয়ে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই সময় দেখা গেছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রত্যক্ষ যুদ্ধক্ষেত্রে ছিল না; নেতারা রণাঙ্গন থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেছেন।  দেনদরবার করেছেন নানা রকমের, মূলত বিদেশিদের সঙ্গে। অনেকেই অস্থির ছিলেন, ভারত কেন দ্রুত বাংলাদেশে প্রবেশ করছে না এবং পাকিস্তানিদের হটিয়ে দিয়ে সেই শূন্যস্থানে তাদের বসিয়ে দিচ্ছে না এই চিন্তায়। তারা রাষ্ট্রক্ষমতার হস্তান্তর চেয়েছেন, রূপান্তর চাননি। তারা ভয় পেয়েছেন, পাছে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়, পাছে যুদ্ধের নেতৃত্ব রাষ্ট্রের রূপান্তরবাদীদের হাতে চলে যায়। না-যাওয়াতে তারা স্বস্তি পেয়েছেন এবং রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সবকিছু নিজেদের দখলে আনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখল শেষ হয়েছে, তারপর শুরু হয়েছে সামাজিক সম্পত্তিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করার নিষ্ঠুর কাজ। নদী খাল বিল বন খোলা মাঠ সবকিছু ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। তারা রক্ষক সেজে রয়েছেন, কাজ করছেন ভক্ষকের; দলমত নির্বিশেষে শাসকদের কাজ ওই একটাই। তাদের ওপর আস্থা রাখার তো কোনো কারণই নেই। লুণ্ঠনের প্রতিযোগিতায় পরের সরকার আগের সরকারকে ছাড়িয়ে গেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাস এটাই, এর বাইরে নয়। এর বিপরীতে জনগণের আন্দোলন রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিবর্তন করার; সংবিধানে একদিন যে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের স্বীকৃতি ছিল, সেই লক্ষ্যগুলোকে অর্জন করার। ওই লক্ষ্যে মানুষ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও লড়েছে, এখন লড়তে হবে দেশীয় শাসক শ্রেণির বিরুদ্ধে। দেশে যে এখন আস্থা নেই, তার একটি কারণ যেমন শাসকশ্রেণির লুণ্ঠন, আরেকটি কারণ তেমনি আন্দোলনের অনুপস্থিতি। একাত্তরের মানুষ খুবই কষ্টে ছিল, কিন্তু তবু আশা ছিল দেশ স্বাধীন হবে, কেননা যুদ্ধ চলছিল। এখন যুদ্ধটা দেখা যাচ্ছে না, তাই হতাশা দেখা দিয়েছে। আন্দোলন ছাড়া মুক্তি নেই, এই সত্যটি আমরা যেন না ভুলি। আক্ষেপে কাজ হবে না, দারিদ্র্য ঘুচবে না, প্রতারণা ও পারলৌকিকতা কমবে না, নড়বড়ে ব্যবস্থাটা স্বস্তি দেবে না, যদি না বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলি।

লেখক: ইমেরিটাস অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়