
মিনার রশীদ
এনসিপির তরুণ নেত্রী তাসনিম জারার একটি কথা আমার খুব মনে ধরেছিল। তিনি বলেছিলেন, আমরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সৎ মানুষদের নিয়ে একটি দল গঠন করছি। চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী আর এদেশের শাসনক্ষমতায় আসতে পারবে না। এবার নেতৃত্বে থাকবেন সৎ, যোগ্য ও জনমুখী মানুষ!
স্পষ্টতই তিনি বিএনপিকে খোঁচা মেরে এ কথাটি বলেছিলেন। তারপরও এই তরুণ নেত্রীর উচ্চারণে আশান্বিত হয়েছিলাম। বলাই বাহুল্য, সেই আশা উবে যেতে সময় লাগল না। যদিও আন-অফিশিয়ালি এ ধরনের সংবাদ আরো অনেক আগেই পেয়েছি।
দুই ধরনের চাঁদাবাজি রয়েছে। একটি সরব চাঁদাবাজি, অন্যটি নীরব চাঁদাবাজি। যে চাঁদাবাজিতে শব্দ বেশি হয়, তারাই বেশি ধরা খেয়েছেন। নীরব চাঁদাবাজিতে ঝুঁকি কম, শব্দও কম। তারপরও বিধিবাম হয়ে পড়েছে। গুলশান থেকে নীরব চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এক সমন্বয়ক ধরা খেয়েছেন।
জেন জি প্রজন্মের কাছ থেকে আমরা কিছু নতুন বিশ্লেষণ প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু নতুন বোতলে সেই পুরোনো মদই পেলাম। প্রিয় ছোট বোন, ড. ইউনূসের নাম জপলে কিংবা তাকে সমর্থন করলেই বাদবাকি সবাই সৎ, যোগ্য, জনমুখী হয়ে পড়বেÑতার কোনো গ্যারান্টি নেই! কারণ এগুলো মানববৈশিষ্ট্য বা খাসলতের সঙ্গে যায় না।
ড. ইউনূসের চেয়েও শতগুণ সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় রেখে গেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ড. ইউনূসের অত্যধিক চট্টগ্রামপ্রীতি, সিগনিফিক্যান্ট এনজিও বা গ্রামীণ ব্যাংকপ্রীতি এবং যৎকিঞ্চিৎ স্বজনপ্রীতি ধরা পড়লেও জিয়াউর রহমানের এসবের কোনো কিছুই ধরা পড়েনি। সেই জিয়ার সততার গুণগান গাইলেই কিংবা জিয়ার আদর্শের সৈনিক বলে ঘোষণা করলেই একজন জিয়ার মতো সৎ ও সাহসী হতে পারবে না। সততা ইনডিভিজুয়ালি চর্চার বিষয়। আদর্শিক সন্তানকে এটা ধার দেওয়া তো দূরের কথা, নিজের বায়োলজিক্যাল সন্তানকেও এটা ধার দেওয়া যায় না।
আশা করেছিলাম, নতুন প্রজন্ম সমস্যার আরো গভীরে প্রবেশ করবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং তাদের দলের বয়স যখন বিএনপির মতো ৫০-এর কোঠায় পড়বে, তখন আসলেই কী হবে, সেই ঐকিক অঙ্কটি কষতেও হিমশিম খাচ্ছি।
ইতিহাসের সাক্ষী বটগাছ না হলেও ছোটখাটো কাঁঠালগাছ তো হয়েছি। কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য সাইকেল চালিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অফিস করতে দেখেছি। পরে দেখলাম একঝাঁক ফেরেশতা এক-এগারোর নামে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে বসেছে। তা দেখে প্রমাদ গুনলাম এবং যায়যায়দিনে আমার সাপ্তাহিক কলামটিতে লেখলাম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম মূলত অর্থনৈতিক, নৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের যোগফল। এই চারটি সংগ্রামের একটিকে অকার্যকর বা নিষ্ক্রিয় করে রাখলে এই সংগ্রামে জয়ী হওয়া যাবে না।
যে লোকটির ঘরে অসুস্থ স্ত্রী রয়েছে, যার পকেটে সন্তানের জন্য দুধ কেনার টাকা নেই, তার কাছে নৈতিকতার সবক অর্থহীন! কাজেই মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হবে, যা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সংগ্রাম। আবার যে লোকটি অভাবের কারণে ঘুস খাওয়া শুরু করল, তার অভাব দূরীভূত হওয়ার পরও লোভ সংবরণ করতে পারে না। কাজেই এই ঘুসখোরকে নিবৃত্ত করার জন্য যে সংগ্রাম, তা সামাজিক ও নৈতিক সংগ্রাম। আর এসবের সবকিছুর পেছনে কাজ করে রাজনীতি। রাজনীতিকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক না করতে পারলে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত ও ব্যবসায়িক অলিগার্ক সৃষ্টি হয়। আর সেই জবাবদিহিমূলক রাজনীতির জন্য দরকার সত্যিকারের গণতন্ত্র! কাজেই উপরোক্ত চারটি সংগ্রাম একটি অন্যটির হাত ধরে এগিয়ে যাবে। এদের কোনো একটিকে থামিয়ে বা সাসপেন্ড রেখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামে সফল হওয়া যাবে না।
তজ্জন্যে সারা বছর ঘুমিয়ে থেকে হঠাৎ হঠাৎ জিহাদি জোশে নেমে পড়লে কোনো কাজ হবে না। এসব ব্যাপারে চমক সৃষ্টি যত সহজ, কাজ করা তত কঠিন।
অমুকের বা তমুকের আদর্শিক সন্তানÑএগুলো মানব চরিত্র বা খাসলত নিরূপণে কোনো ভূমিকা রাখে না। তবে কার শরীরে কার ডিএনএÑএটি নাকি একটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। ডিএনএতে নাকি নিজের বাবা-মায়ের কিংবা পূর্বপুরুষের অনেক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ইনস্টল করা থাকে। ১৫০০ বছরের পুরোনো ধর্ম সাম্প্রতিক পাওয়া বৈজ্ঞানিক প্রাপ্তির আলোকে অনেক সামাজিক রীতি ও দাম্পত্য জীবন সাজানোর তাগিদ দিয়েছে। যুগের বুদ্ধিবৃত্তিক ফ্যাশনে প্রভাবিত হয়নি। ডিএনএর বাহ্যিক প্রকাশ পরখ করে ছেলেমেয়েদের বিয়ে-শাদির পরামর্শ দিয়েছে!
একসময় সিভিল সার্ভিসসহ আর্মির অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়ার আগে তার ব্যাকগ্রাউন্ড ভালোভাবে চেক করে নেওয়া হতো। ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলের সিভিল-মিলিটারি কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ আমলের কর্মকর্তাদের মধ্যে তুলনামূলক বিচার করলে এর পার্থক্যটুকু চোখে ধরা পড়বে। পাকিস্তান টিকে থাকলে আমাদের অনেক ক্ষতি হতোÑতবে জেনারেল আজিজের মতো লোক আমাদের সেনাবাহিনীতে ঢুকতে পারত না কিংবা সেনাপ্রধান হতে পারত নাÑএটি নিশ্চিত। এ রকম ভূরি ভূরি উদাহরণ জমে গেছে। খালি রাজাকার বনে যাওয়ার ভয়ে আমরা তা উচ্চারণ করিনি।
এক-এগারোর প্রবক্তারা দুটি পরিবারকে ঘৃণা করতে শিখিয়েছিল। এটিও বুদ্ধিবৃত্তিক ফ্যাশনের জায়গায় স্থান পেয়েছিল। দাঁতের এক পাটিতে ব্যথা দেখিয়ে দুই পাটি উপড়ে ফেলার চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, তুলনামূলক ভালো পাটিটি উপড়ানোতেই এদের টার্গেট ছিল বেশি।
শেখের পরিবারের শাখা-প্রশাখার দূরের ডালটিও আমাদের দৃষ্টির সীমানাতেই শুধু আসেনিÑসূর্যের চেয়ে বালির তাপ বেশি অনুভূত হয়েছে। নিক্সন চৌধুরী, হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিমÑএরা ছিলেন অনেক দূরের শাখা-প্রশাখা। এদের দাপটেই এলাকার ও দেশের মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছিল।
সঙ্গে সঙ্গে দেখুন আরেকটি পরিবার। মাইলস্টোন কলেজের ট্র্যাজেডিতে যে মহৎপ্রাণ শিক্ষিকা সারা জাতির শ্রদ্ধা কুড়িয়েছেন, তিনি ছিলেন তারেক রহমানের সেকেন্ড কাজিন। অথচ এই মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি না ঘটলে তার এই পরিচয়টি জানা সম্ভব হতো না! নিক্সন চৌধুরী, হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম এরা শেখ হাসিনার যত কাছাকাছি, তাদের চেয়ে তারেক রহমানের বা খালেদা জিয়ার অনেক কাছের আত্মীয় ছিলেন শিক্ষিকা মাহেরিন। নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে যিনি ২০ জন বাচ্চার প্রাণ বাঁচিয়ে গেছেন। একই ঝুঁকি নিয়েছিলেন, মাহেরিনের চাচা মেজর জিয়াউর রহমান। তখনকার অবিসংবাদিত নেতা কোর্ট মার্শালের ভয়ে যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে ভয় পাচ্ছিলেন, তখন মাহেরিনের এই চাচা ‘উই রিভোল্ট’ বলে নিজের নাম-পরিচয় দিয়ে সেই ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আশি ভাগ পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে মাহেরিন যখন নিজের দুটি সন্তানের কথা স্মরণ করেননি, তেমনি তার চাচাও ভাবেননি তার দুটি শিশুসন্তানের কথা, তার স্ত্রীর কথা। সেদিন নিজের বাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অধীনস্থ এক সৈনিক বলেছিলেন, স্যার, আপনি ভাবি ও বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করে আসেন। তখন সেই মেজর জবাব দিয়েছিলেন, ‘তোমরা কেউ যেহেতু তোমাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারোনি। আমার জন্যও এই কাজ করা ঠিক হবে না।’ কাজেই মাহেরিন, জিয়াÑতারা ভিন্ন ধাতু (ডিএনএ) দিয়ে তৈরি মানুষ।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু নিজেই সৎ ছিলেন না, সারা দেশ থেকে সৎ, মেধাবী ও যোগ্য মানুষকেও বেছে নিয়েছিলেন। মানব চরিত্র বা তার ডিএনএ চেনার আশ্চর্যজনক এক ক্ষমতা ছিল। কবি শামসুর রহমান এবং কবি আল মাহমুদ উভয়েই বাম ঘরানার জনপ্রিয় কবি ছিলেন। আরো অনেকেই ছিলেন। কিন্তু তিনি জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংসদ গড়ে তুলতে পিক করেছিলেন কবি আল মাহমুদকে। তিনি কবি আল মাহমুদকে জাসাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বানিয়েছিলেন। তিনি জানতেন কাকে দিয়ে কী কাজটি হবে। কিন্তু চরম আফসোসের বিষয়, তারই প্রতিষ্ঠিত দলের মহাসচিব আজ মতি-মাহফুজদের সঙ্গে একই নিনাদে দেশে দক্ষিণপন্থার উত্থানের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন!
বিএনপি তার উদারপন্থা দিয়ে ডান ও বামের চরমপন্থাকে মোকাবিলা করার ফর্মূলা দিয়ে রেখেছে। ডান ও বামের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় হতাশাকে প্রকাশের সুযোগ তিনি তৈরি করে দিয়েছেন । ভাবতে অবাক লাগে যে, এখন থেকে ৪৫ বছর আগেই বুঝেছিলেন যে, এসব রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতিকে চাপা দিয়ে রাখলেই সামাজিক ও রাজনৈতিক বিস্ফোরণ ঘটবে। তার সেই পলিসি এখন অনেক ধাক্কা খাওয়ার পর সারা বিশ্ব বুঝতে পারছে। আজ বিএনপি নেতাদের দেখে মনে হয় সেই জিয়া তাদের নেতা নন, তাদের নেতা ছিলেন কোনো বাম তাত্ত্বিক ও ইসলামোফোবিক ব্যক্তিত্ব, যিনি সারাক্ষণ দক্ষিণপন্থার উত্থানে উদ্বিগ্ন থাকতেন। কিন্তু এই দেশটিকে যে মালয়েশিয়ার মতো মডারেট মুসলিম গণতান্ত্রিক দেশের মতো করে কিংবা তার চেয়েও সুন্দরভাবে গড়া যায়Ñএই ভাবনা ওনাদের মগজে কাজ করে না।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ডান ও বাম উভয় ধারাকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। ফেইথ বেজড গ্রুপগুলো মূলত সিভিল সোসাইটির অংশ। কিন্তু যারা সিভিল সোসাইটির তকমাটি সুশীল সমাজের নামে নিজেদের জন্য প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মতো বানিয়ে ফেলেছিলেন, তারা ধর্মীয় এই গোষ্ঠীটির ওপর যারপরনাই অবিচার করেছেন, নানাভাবে লুকডাউন করে রেখেছেন। এতদিন গণমাধ্যমকে কবজা করে এই কথিত সুশীল গ্রুপটি তাদের এই অবিচারটি চালিয়ে গেছে। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিকাশের কারণে গণমাধ্যম অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়ে গেছে!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বর্তমান উত্থানটিই অনেকের কাছে দক্ষিণপন্থিদের উত্থান বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বাঙালি মুসলিম মানসকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঠিকভাবে পড়তে পেরেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়াও তাতে সফল হয়েছেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে বাঙালি মুসলিম মানসের জেন জি সংস্করণটি স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। সেটিকে ঠিকভাবে পড়ার চেষ্টা না করে মির্জা ফখরুল ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়রা অহেতুক উদ্বেগে ভুগছেন। মতি-মাহফুজের সঙ্গে একই ফ্রিকোয়েন্সিতে বিএনপির ওপর সারির নেতাদের এই উদ্বেগ দেশবাসীকে সত্যিই উদ্বিগ্ন করে তুলতে পারে।
সংখ্যাগুরু মুসলিম জনগোষ্ঠীর এই জাগরণকে শেখ হাসিনাও দক্ষিণপন্থিদের উত্থান হিসেবে দেখেছিলেন।
শেখ হাসিনাও বিশাল এক চামচা বাহিনী ব্যবহার করে নিজেকে পৃথিবীর তৃতীয় সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক আজগুবি তালিকা তৈরি করেছিলেন। সেই তালিকা করা হয়েছিল আমেরিকার এক ভুঁইফোঁড় সংস্থার নামে। প্রথম আলোসহ প্রথম শ্রেণির পত্রিকা ও গণমাধ্যমগুলো এসব গারবেজ সংবাদ প্রচার করতে থাকে। এই প্রথম আলো সার্ভে করে দেখাত যে, সরকারের জনপ্রিয়তা কমে গেছে কিন্তু শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে। এত কিছু করার পরও শেখ হাসিনা তার পরিণাম থেকে রক্ষা পাননি।
তার ধারণা ছিল, যতই আকাম-কুকাম করুক না কেন, তাকে ও তার সরকারকে রক্ষা করবে প্রথম আলোসহ সব গণমাধ্যম। সুলতানা কামাল, জাফর ইকবাল থেকে শুরু করে আরাফাত, হারপিক মজুমদারসহ বাদবাকি সব আওয়ামী ল্যাসপেন্সার। কিন্তু কাজ হয়েছে উল্টো।
বিএনপির মধ্যেও একটা ব্যাপক ইনফ্লাক্স হয়েছে, যারা ইনফ্লুয়েঞ্জার হিসেবে বিএনপিকে একই সেবা দিতে চাচ্ছে। বিএনপির একটি অংশ সেটি লুফে নিচ্ছে। তাদের ভাবখানা এমন, আমরা যেমন আছি, তেমনি থাকব। শুধু তোমরা আমাদের উত্তম হিসেবে তুলে ধরো। অথচ সঠিক অ্যাকশনটি ছিল, ভালো মানুষগুলোকে, সৎ মানুষগুলোকে সব পর্যায়ের নেতৃত্বের জায়গাগুলোয় তুলে আনা । কাজটি নিঃসন্দেহে কঠিন, তবে অসম্ভব নহে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট