Image description
 

গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের বিমান এফ-৭ মাইলস্টোন কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর মোতাবেক ৩১ ব্যক্তি নিহত হন এবং দেড় শতাধিক আহত হন। পরদিন অর্থাৎ ২২ জুলাই এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদিন মাইলস্টোনের আশপাশের এলাকা এবং সচিবালয় ছাত্র-যুবকদের আন্দোলনে উত্তপ্ত থাকে। পরিস্থিতি এতদূর গড়ায় যে, মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে দুই উপদেষ্টা অর্থাৎ আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন। ওই দিকে দুপুরবেলা ছাত্র পরিচয়ধারী কয়েকশ যুবক সচিবালয়ে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।

 

পরবর্তীকালে ছাত্র নামধারী ওইসব যুবক জোর করে সচিবালয়ে ঢুকে নির্বিচারে গাড়ি ভাঙতে থাকে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ধৈর্য এবং সংযমের পরিচয় দেয়। কিন্তু এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার উপক্রম হলে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। পুলিশি অ্যাকশনের ফলে ওইসব উচ্ছৃঙ্খল যুবক সচিবালয়ের পেছন দিকের গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। পুলিশি অ্যাকশনের আহত ৭৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ পটভূমিতে সেদিনই অর্থাৎ ২২ জুলাই রাত ৯টায় প্রধান উপদেষ্টা দেশের ৪টি প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। দলগুলো হলো-বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও এনসিপি। পরদিন অর্থাৎ ২৩ জুলাই প্রধান উপদেষ্টা ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। রাজনৈতিক দলগুলো হলো-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণসংহতি, এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণ-অধিকার পরিষদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, খেলাফতে মজলিস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, ১২ দলীয় জোট, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি এবং গণফোরাম।

২২ তারিখের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর ওই একই রাতে ৯টার সময় যখন প্রধান উপদেষ্টা দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন, তখনই অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল ধারণা করেন, ঘরে এবং বাইরে দেশের রাজনীতি সুস্থভাবে চলছে না। নিশ্চয়ই কোনো গুরুতর সমস্যার উদ্ভব ঘটেছে, যার জন্য এত জরুরি ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করে যাচ্ছেন।

অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহলের ধারণাই সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এ দুই দিনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরে আমাদের আয়োজন ছিল সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে অতীতকে স্মরণ করা, সেজন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম। এতে করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যে ঐক্যটা দৃশ্যমান হতো। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘মতপার্থক্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার। তা না হলে তারা এটাকে সুযোগ মনে করছে।’ রাজনৈতিক দলগুলো আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টাকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্বল্পভাষী। এমনিতেই তিনি কম কথা বলেন। এছাড়া রাজনীতি নিয়ে তো বলতে গেলে তিনি কোনো কথাই বলেন না। বিগত সাড়ে ১১ মাসের রেকর্ড তো তাই বলে। তেমন এক ব্যক্তি যখন মুখ ফুটে বলেন, পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে, তখন তার কথাকে সিরিয়াসলি না নিয়ে উপায় নেই। সরকারের শীর্ষে যিনি বা যারা থাকেন, তাদের তথ্য পাওয়ার সূত্র একাধিক হয়ে থাকে।

আসলে সরকারের শীর্ষে যিনি বসে আছেন, তিনি পৌরাণিক কাহিনির দশানন, অর্থাৎ দশমাথাওয়ালা ব্যক্তি (দশানন বলতে বোঝায় রাবণকে। কারণ তার ১০ মাথা ছিল)। আবার অনেকে তাকে বলেন দশভূজা, অর্থাৎ যার ১০ হাত রয়েছে। এটি সাধারণত হিন্দুদের দেবী দুর্গাকে বোঝায়। এগুলো শব্দ দিয়ে বোঝানো হচ্ছে যে, প্রধান উপদেষ্টার বা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির তথ্য পাওয়ার উৎস বহুমুখী। পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক ড. ইউনূস রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছেন কিনা জানি না। তবে তিনি প্রকাশ করুন আর নাই করুন, বিগত এক মাসে ঘরে-বাইরে জুলাই বিপ্লববিরোধী চক্রান্ত অনেকটাই দৃশ্যমান।

২.

বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ তাজ্জব হয়ে লক্ষ করছেন, বিপ্লবের পরদিন অর্থাৎ ৬ আগস্ট থেকে প্রতিবেশী ভারত এ বিপ্লবকে মেনে নেয়নি। ভারতের সব প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিগত সাড়ে ১১ মাস হলো অব্যাহতভাবে বলে যাচ্ছে যে, এটি বাংলাদেশের মানুষের বিপ্লব নয়। ভারতের অনেক রাজনৈতিক নেতা বলেছেন, মার্কিন সরকার শেখ হাসিনার সরকারকে হটিয়েছে। আর ভারতীয় মিডিয়া রাখঢাক না করে বলছে, আমেরিকা শেখ হাসিনার কাছ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল। শেখ হাসিনা সেটি দিতে রাজি হননি বলে তারা তাকে সরিয়েছে।

ভারত সরকার শুধু শেখ হাসিনাকেই আশ্রয় দেয়নি, তারা বাংলাদেশের আরও দেড় লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আশ্রয় দিয়েছে। প্রথম কয়েকদিন নীরব থাকার পর শেখ হাসিনা ইউনূস সরকার এবং বিপ্লবের নায়ক ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্গার শুরু করেন। এরপর শুরু হয় আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতার ইউনূস এবং বিপ্লববিরোধী উন্মাদ প্রচারণা। কথায় বলে, গাঁজার নৌকা পাহাড় বইয়া যায়। আওয়ামী লীগ নেতাদের অবস্থাও হয়েছে ওই গাঁজার নৌকার মতো। গঞ্জিকা সেবনের পর নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি টাল হয়ে আবোলতাবোল বকতে থাকে। আওয়ামী লীগের নেতাদের অবস্থাও হয়েছে তথৈবচ। ওবায়দুল কাদের একাধিকার বলেছেন, এটি কোনো বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থান নয়। তাকে কলকাতার ‘দি ওয়াল’ টেলিভিশনের অমূল্য রায় প্রশ্ন করেন, এ ১৪শ লোক মারা গেল কীভাবে? ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে ওরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। বিশৃঙ্খলার সুযোগে পাকিস্তান থেকে লস্করে তৈয়েবার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীরা ঢুকে পড়ে। তারাই নির্বিচার গুলি করে জনগণকে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আরও খেপিয়ে তোলার জন্য।

৩.

এর পর এ প্রচারণায় একে একে অংশগ্রহণ করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ আরাফাতসহ অনেকে। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ থেকে যে লক্ষ-কোটি টাকা (বিলিয়ন’স অব ডলার) লুণ্ঠন করেছে, সেই টাকা দিয়ে তারা দেদারসে ড. ইউনূস এবং ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। বিপ্লবের পর বিদেশ পালিয়ে গেছেন, এমন অন্তত তিনজন মহিলাকে দিয়ে টেলিভিশন চ্যানেল খোলা হয়েছে এবং বাংলাদেশবিরোধী বিষোদ্গার চলছে। এগুলো পুরোনো কথা। মানুষ সবই জানেন। তাই এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।

কিন্তু শেখ হাসিনা যে রক্তপিপাসায় উন্মাদ হয়েছেন, সেটি বোঝা যায়, তার ভয়ংকর উসকানিমূলক একাধিক অডিও ক্লিপে। কলকাতার একাধিক ভারতীয় বাংলা চ্যানেল এবং বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুরুষ ও মহিলারা তাদের চ্যানেলে অপপ্রচার ও উসকানির মাত্রা ছাড়িয়ে যান। তারা কিছুদিন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়ে খুব নাচানাচি করেন। প্রথমে তারা দেখাতে চায়, ড. ইউনূস এবং জেনারেল ওয়াকারের মধ্যে দারুণ মতভেদ চলছে। এরপর তারা সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ইউনূস সরকারকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য জেনারেল ওয়াকারকে উসকানি দেয়।

কিন্তু গত জুন মাসে লন্ডনে ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকের পর যখন ইউনূস এবং বিএনপির মধ্যে দূরত্বের অবসান হয়, তখন ভারতীয়রা বেকুব বনে যায়। তখন তারা কৌশল পালটায়। তাদের গোপালগঞ্জে এনসিপির মিটিংকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী তৎপরতায় এ নয়া কৌশলে দেখা গেছে।

৪.

বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ‘দৈনিক যুগান্তর’ই একমাত্র পত্রিকা, যারা গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার পেছনে স্বয়ং শেখ হাসিনা, কাজিন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আরেক কাজিন শেখ ফজলুল হক মণির পুত্র ঢাকা সিটি করপোরেশনের (দক্ষিণ) সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চক্রান্ত ফাঁস করে দিতে সক্ষম হয়েছে। আমরা সেজন্য সেসবের বিস্তারিত বিবরণে যাচ্ছি না। তবে পরে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অন্যান্য গণমাধ্যম এবং বিবিসিসহ একাধিক গণমাধ্যম যুগান্তরের এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট ফলাও করে প্রচার করেছে।

যে সামরিক বাহিনীর জন্য ভারতীয়দের দরদ এতদিন উছলে পড়ছিল, সেই ভারতীয়দের সুর হঠাৎ পালটে গেছে গোপালগঞ্জের ঘটনার পর। গত ২১ ও ২২ জুলাই ভারতের কুখ্যাত রিপাবলিক টিভি এবং দ্য ওয়াল পত্রিকা ও টিভির কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দানবে পরিণত হয়েছে। আমি নাম নিতে চাচ্ছিলাম না। তারপরও বলতে বাধ্য হচ্ছি, মাসুদা ভাট্টি, নবনীতা চৌধুরী, সুলতানা রহমানসহ নতুন গজিয়ে ওঠা টেলিকাস্টাররা আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় অর্থে উলটো সুরে গান গাচ্ছে। ওরা বলছে, সেনাবাহিনী নাকি পাক হানাদারদের মতো হয়েছে। কারণ ওদের কথামতো, গোপালগঞ্জে যে ৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছে, তারা নাকি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে।

৫.

গোপালগঞ্জে প্রচণ্ড মার খাওয়ার পর পতিত হাসিনা উন্মাদ হয়ে গেছেন। তার নির্দেশে তারা মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনা-পরবর্তী ছাত্রবিক্ষোভ ও সচিবালয়ে শিক্ষার্থীর নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুণ্ডাদের নামিয়েছিল। এসব তথাকথিত আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে সারা দেশে একটি অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টির যে চেষ্টা ওরা করেছিল, সেটি গত ২৩ জুলাই অন্তত ৩টি বাংলা দৈনিকে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। ছাত্র নামধারী আওয়ামী মাস্তানদের অনেকের মুখোশ ওইসব রিপোর্টে উন্মোচিত হয়েছে। সচিবালয়ে যারা উচ্ছৃঙ্খলতা এবং অরাজকতা করেছে, তারা স্লোগান দিয়েছে, ‘এই মুহূর্তে দরকার/শেখ হাসিনার সরকার।’ ওরাই কোমলমতি কিশোর ও তরুণ ছাত্রদের মধ্যে গুজব ছড়িয়েছিল, মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের লাশ গুম করা হয়েছে।

একের পর এক ওদের চক্রান্ত ফাঁস হচ্ছে। শেষ করার আগে দেশবাসী, সরকার এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে একটি সতর্কবাণী উচ্চারণ করতে চাই। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলে হোক, ভারত এবং আওয়ামী লীগ চাইবে, যে কোনো মূল্যে সেই নির্বাচনকে ভণ্ডুল করে দিতে। তারা এমন সব উসকানিমূলক তৎপরতা চালাবে, যার ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আত্মরক্ষার্থে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। সেই ধরনের বড় কোনো অঘটন ঘটানোর পর ভারত বিশ্ব মিডিয়াতে প্রচার করবে, এ সরকারও অটোক্র্যাট এবং তারাও লৌহ কঠোর দমন নীতিতে বিশ্বাসী। দিন যতই গড়াবে, নির্বাচন যতই কাছে আসবে, ততই ওরা মরিয়া হয়ে উঠবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওরা অন্তর্ঘাতমূলক অপতৎপরতায় লিপ্ত হবে।

এ পটভূমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ড. ইউনূস ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় বৃহত্তর এবং দৃশ্যমান ঐক্যের যে আহ্বান জানিয়েছেন, সেই আহ্বানে আবালবৃদ্ধবনিতার সাড়া দেওয়া কর্তব্য বলে মনে করেন দেশপ্রেমিক মহল।

 

মোবায়েদুর রহমান : সিনিয়র সাংবাদিক