Image description

ড. সিরাজুল আই. ভুঁইয়া

 

বাংলাদেশের ইতিহাস সংগ্রাম আর গর্বের। সামান্য কয়েকজন নেতা সত্যিকার অর্থে এই জাতির চেতনাকে ধারণ করতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে আছেন জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ও চ্যালেঞ্জের মধ্যে তাদের উত্থান হয়েছে।

জিয়াউর রহমান যুদ্ধের পর জাতি পুনর্গঠন করেছিলেন। খালেদা জিয়া লড়েছিলেন গণতন্ত্রের জন্য। ড. মুহাম্মদ ইউনূস গরিবদের উন্নয়নে নতুন ধারণা নিয়ে এসেছেন। সবাই তারা একই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছেন, বিশেষ করে ভারতের বিশাল আঞ্চলিক প্রভাবের বিপরীতে বাংলাদেশের মুক্তি আর মর্যাদাকে রক্ষা করার জন্য।

এই নেতারা শুধু দেশ শাসন করেননি, তারা আশা জাগিয়েছেন। বাংলাদেশকে যখন অন্যায্য চুক্তি, সীমান্ত সংঘাত, বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ভারত চাপ দিয়েছে, তখন তারা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। নতজানু না হয়ে তারা স্বাধীনতাকে বেছে নিয়েছেন। তাদের কাজের অনুপ্রেরণা এসেছে কৃষক, শ্রমিক ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর হৃদয় থেকে। বাংলাদেশের জন্য তারা একটা ভিশন নির্মাণ করেছেন, যে ভিশনটা মাথা উঁচু করে সমতার ভিত্তিতে দাঁড়ানোর, কোনো প্রতিবেশীর ছায়ায় হারিয়ে যাওয়া নয়।

এই তিন নেতাই ভারতের আধিপত্যকে প্রতিহত করেছেন। তারা স্মার্ট কূটনীতি, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সমাধানকে বেছে নিয়েছেন। তাদের গল্পগুলো এমন একটা জাতির গল্প সামনে এনেছে, যারা নতি স্বীকার করতে রাজি নয়।

১. ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে অভিন্ন অবস্থান

১৯৭১ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কটা বেশ জটিল। ভারত কাছের প্রতিবেশী। দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাসও আছে। কিন্তু অন্যায্য পানি চুক্তি, সীমান্ত সংঘাত, অসম বাণিজ্য ও রাজনৈতিক চাপ—এ ধরনের পদক্ষেপগুলো উত্তেজনা বাড়িয়েছে। বহু বাংলাদেশি বিশ্বাস করে ভারত অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসের মতো নেতারা বাংলাদেশকে স্বাধীন আর শক্তিশালী রেখেছেন। প্রত্যেকেরই নিজস্ব কৌশল আছে; কিন্তু তাদের লক্ষ্য অভিন্ন—মুক্ত ও গর্বিত বাংলাদেশ।

জিয়াউর রহমান : জোট নিরপেক্ষতা ও আঞ্চলিক বহুত্ববাদের স্বপ্নদ্রষ্টা

একজন সামরিক বীর এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গত শতকের সত্তরের দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে। এককভাবে ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে তিনি সরে এসেছিলেন। তার মূলমন্ত্র ছিল—‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়।’ তিনি মুসলিম বিশ্ব, চীন ও পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। বাংলাদেশ নতুন বন্ধু পেয়েছিল। ভারতের ওপর থেকে তখন নির্ভরতা কমেছিল।

১৯৮০ সালে জিয়া সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশান ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন (সার্ক) শুরু করেছিলেন। এই সংস্থাটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সমতার ভিত্তিতে এক জায়গায় নিয়ে এসেছিল। ভারতের ক্ষমতার বিপরীতে ভারসাম্য রক্ষার কাজ করেছিল এই সংস্থা। তিনি বাংলাদেশকে বাইরের হুমকি থেকে রক্ষার জন্য সামরিক বাহিনীকে, বিশেষ করে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন। তালপট্টি দ্বীপ নিয়ে ভারতের দাবির বিপরীতে তিনি শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তার সাহসী পদক্ষেপ ভারতের অনেককে হতাশ করেছিল। দুঃখজনকভাবে জিয়া ১৯৮১ সালে নিহত হন। অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়।

খালেদা জিয়া : জাতীয়তাবাদী কূটনীতি ও সমতার কণ্ঠস্বর

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহমানের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন। ১৯৯০ ও ২০০০-এর দশকে তিনি দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারতের প্রভাবের বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেছেন। তার সরকার ফারাক্কা ব্যারাজ দিয়ে পানি বণ্টন ও তিস্তা নদী নিয়ে ন্যায্য চুক্তির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারত সময়ক্ষেপণ করেছিল। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ট্রানজিটের যে দাবি করেছিল, তারও বিরোধিতা করেছিলেন তিনি, কারণ সেখানে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট কোনো উপকার ছিল না।

খালেদা জিয়া চীন, আসিয়ান সদস্য দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। এতে ভারতের ওপর থেকে নির্ভরতা কমেছিল। তার শক্ত অবস্থানকে অনেকে ‘ভারত-বিরোধিতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তার সমর্থকরা এটাকে দেশের মর্যাদা রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে দেখেছেন। ভারতীয় মিডিয়া আর কূটনীতিকদের কঠোর সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বিএনপি আর ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দ্বন্দ্ব মেটাতে তিনি তৎপর হন। অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বের ক্ষতি করতে ভারতের যে পরিকল্পনা, সেটা ঠেকাতেই পদক্ষেপ নিয়েছেন খালেদা জিয়া। গণতন্ত্র রক্ষায়, স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে তার এই পদক্ষেপ সাহায্য করেছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস : কোমল শক্তির প্রতিরোধ এবং অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব

ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনীতি নয়, লড়াই করেছেন আইডিয়া আর কর্মতৎপরতা দিয়ে। গরিবদের, বিশেষ করে নারীদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর জন্য তার গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ দিয়েছে। ইউনূস ফারাক্কা ও তিস্তা ব্যারাজের মতো ইস্যুগুলো নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি অন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি ও ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক সীমান্ত সংঘাতের সমালোচনাও করেছেন।

ইউনূস তার বৈশ্বিক সুনামকে কাজে লাগিয়ে সার্ক ও বিমসটেকের মতো নিরপেক্ষ আঞ্চলিক সংস্থাগুলোকে চাঙা করার চেষ্টা করছেন। ভারতের আধিপত্যের বাইরে এসে এই সংস্থাগুলো যাতে কাজ করতে পারে, সেটা চেয়েছেন তিনি। তার নীরব, কিন্তু স্মার্ট কৌশলের কারণে তিনি টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। অনেকেই মনে করেন, তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য ভারত-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটা আরো বেড়ে গেছে।

১. অভিন্ন সংগ্রাম

ভারতীয় প্রভাবের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কারণে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। তাদের সমালোচনা হয়েছে। তাদের নামে মিথ্যা গালগপ্প ছড়ানো হয়েছে। ভারতঘেঁষা গোষ্ঠীগুলোর চাপে পড়তে হয়েছে। তারপরও মুক্ত ও শক্তিশালী বাংলাদেশের স্বপ্নের জায়গায় তারা অনড় থেকেছেন। তাদের কাজ বহু মিলিয়ন মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বিশেষ করে যারা চান, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে টিকে থাক, তাদের জন্য তারা প্রেরণা জুগিয়েছেন।

২. তৃণমূল মানুষের ভালোবাসা

‘যেখানে ক্ষমতা আছে বলে মানুষ বিশ্বাস করে, ক্ষমতা সেখানেই থাকে’—জর্জ আরআর মার্টিন।

জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া আর ড. ইউনূস ভালোবাসা পেয়েছেন, কারণ তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছিলেন। তারা শুধু অফিসে বসা নেতা ছিলেন না, তারা গ্রামের মানুষ, শ্রমিক ও গরিবদের স্বপ্নের ভাষা বুঝতেন। প্রত্যেকেই তারা উন্নত ভবিষ্যতের আশা দেখিয়েছিলেন।

জিয়াউর রহমান সেনা থেকে নেতা হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি রেডিওতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি স্কুল ও রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছিলেন এবং জাতির মধ্যে ঐক্য নিয়ে এসেছিলেন।

খালেদা জিয়া তার স্বামীর মৃত্যুর পর শক্তি দেখিয়েছিলেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়েছেন। নারীদের অধিকার এবং গ্রামীণ প্রবৃদ্ধির জন্য তিনি কাজ করেছেন।

ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে জীবন বদলে দিয়েছেন। তার গ্রামীণ ব্যাংক বহু মিলিয়ন গরিব নারীকে ব্যবসা দাঁড় করাতে এবং স্বাধীন ও সচ্ছল হতে সাহায্য করেছে। এই নেতারা স্থানীয় সংস্কৃতিকে সম্মান করেছেন। তারা বাংলাদেশকে বাইরের শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে দেননি। জনগণের জন্য তাদের ভালোবাসা তাদের বীর বানিয়েছে।

৩. ড. ইউনূস ও প্রবাসী রেমিট্যান্স বাহিনী

ড. ইউনূসের মতো আর কোনো নেতা প্রবাসী বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে পারেননি। ১৩ মিলিয়নের বেশি বাংলাদেশি প্রবাসে বাস করছেন। ২০২৪ সালে তারা দেশে ২৮ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা ইউনূসকে তাদের চ্যাম্পিয়ন মনে করেন। ইউনূস তাদের সংগ্রামকে বোঝেন। তিনি প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবার মান বাড়ানো এবং অভিবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার ‘তিন শূন্য’ তত্ত্ব—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করেছে। প্রবাসীরা তাকে ন্যায্যতা ও গর্বের বৈশ্বিক কণ্ঠস্বর মনে করে।

নেতৃত্বের ঐতিহ্য

জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, ড. ইউনূস ও শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের এক একটি মহিরুহ। প্রত্যেকেই নতুন শক্তি নিয়ে এসেছেন। শেখ মুজিব সাহসী বক্তৃতা দিয়ে স্বাধীনতার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান শৃঙ্খলা আর ভিশন দিয়ে জাতিকে পুনর্গঠন করেছেন। খালেদা জিয়া প্রতিরোধের শক্তি নিয়ে গণতন্ত্রের জন্য লড়েছেন। ড. ইউনূস দারিদ্র্য নির্মূলের জন্য নতুন ধারণা নিয়ে এসেছেন।

ভারতপন্থি রাজনীতিকে জনতার প্রত্যাখ্যান

যেসব নেতা ভারতের ঘনিষ্ঠ, বাংলাদেশিরা তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যায্য পানি চুক্তি, সীমান্ত হত্যা ও একপক্ষীয় চুক্তির মতো ইস্যুগুলো মানুষের ক্ষোভ উসকে দিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ভারতকে বহু কিছু দিয়ে গেছে। তার বাবা শেখ মুজিবের বিরুদ্ধেও ১৯৭২ সালে একই ধরনের সমালোচনা হয়েছিল। এরশাদের জাতীয় পার্টিও ভারতের প্রতি বেশি অনুগত হওয়ার কারণে জনসমর্থন হারিয়েছিল।

২০০৮ সালের ভূত : কারচুপির স্মৃতি

২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়টা ছিল একটা অন্ধকার কাল। জেনারেল মইন ইউ আহমেদ এবং ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন সরকার পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও শেষে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল। অনেকেই মনে করেন, ভারত ওই সরকারকে প্রভাবিত করেছিল, যাতে তারা আওয়ামী লীগকে সুবিধা দেয়। বিএনপির মতো বিরোধী দলকে টার্গেট করা হয়েছিল। রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অনেকে হয়েছিলেন নির্বাসিত। ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিল সাজানো। শেখ হাসিনাকে তখন জেতানোর জন্য সাহায্য করা হয়েছিল।

এই কালো অধ্যায় জাতিকে জাগিয়ে দিয়েছে। জনগণ দেখেছে, বিদেশি শক্তি কীভাবে গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করে। যেসব নেতা ভারতকে সেবা দিতে ব্যস্ত, তাদের ব্যাপারে জনগণের অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সেই স্মৃতিই এখন নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশিদের উদ্বুদ্ধ করছে।

‘স্বাধীনতার মূল্য হলো সার্বক্ষণিক সতর্কতা’—থমাস জেফারসন।

সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার বাংলাদেশের পথে

জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং ড. ইউনূস নেতার চেয়ে অনেক বড় কিছু। বাংলাদেশের সম্মান ও মুক্তির যে লড়াই, তারা এই লড়াইয়ের প্রতীক । তারা ভারতের নিয়ন্ত্রণকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, গরিবদের দারিদ্র্য দূর করেছেন এবং শক্তিশালী জাতি গড়ে তুলেছেন। আজ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, তখনো তাদের আদর্শ টিকে আছে।

জাতি এখন ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছে। সাহস, ঐক্য, আর মর্যাদা—অতীতের এই শিক্ষাগুলো সঙ্গেই আছে। বাংলাদেশিরা এখন এমন একটা ভবিষ্যৎ চায়, যেখানে তাদের মতামতের মূল্য থাকবে, যেখানে তাদের দেশ বিশ্বে সমতার ভিত্তিতে মাথা তুলে থাকবে।

‘অত্যাচারী কখনো নিজ থেকে স্বাধীনতা দেয় না, অত্যাচারিতকে অবশ্যই সেটা আদায় করে নিতে হয়’—মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।

বাংলাদেশকে আবার তার স্বাধীনতাকে আদায় করে নিতে হবে। প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি হৃদয় ও প্রতিটি কণ্ঠস্বর—যারা একটা গর্বিত ও অদম্য জাতির স্বপ্ন দেখে, তারা সবাই এই আওয়াজ তুলবে।

লেখক : যুক্তরাষ্ট্রের সাভানা স্টেট ইউনিভার্সিটির ব্যবসা, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক।