
সুনামগঞ্জে টাঙ্গুয়ার হাওরে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, জেলার তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলাধীন ১০টি মৌজা জুড়ে ছোট বড় ১০৯টি বিলের সমন্বয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১২৬৫৫.১৪ হেক্টর, যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলভূমি।
পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকার টাঙ্গুয়ার হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ সংকটাপন্ন বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেশনের অধীনে রামসার এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। সংকটাপন্ন এই হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যটকদের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। সেজন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন পর্যটকদের করণীয় ও বর্জনীয় বেশ কিছু বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।
পর্যটকদের বর্জনীয় নির্দেশনাগুলো হলো- উচ্চ শব্দে গান—বাজনা করা/শোনা যাবে না, হাওরের পানিতে অজৈব বা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য/বর্জ্য ফেলা যাবে না, মাছ ধরা, শিকার বা পাখির ডিম সংগ্রহ করা যাবে না, পাখিদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোন ধরণের বিঘ্ন ঘটানো যাবে না, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না, গাছ কাটা, গাছের ডাল ভাঙ্গা বা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যাবে না, কোর জোন বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না, মনুষ্য সৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না।
এছাড়াও পর্যটকদের আবশ্যক পালনীয় নির্দেশনাগুলো হলো- জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নৌপথ ব্যবহার করুন, লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন, প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার হতে বিরত থাকুন, দূর থেকে পাখি ও প্রাণী পর্যবেক্ষণ করুন— ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলুন, স্থানীয় গাইড ও পরিষেবা গ্রহণ করুন, ক্যাম্পফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকুন।
ড, মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে পরিবেশ প্রতিবেশের স্বার্থে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে করে পর্যটকরা সচেতন হতে হবে। এবং এ নির্দেশনা সুনামগঞ্জ সাহেববাড়ি ঘাট, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগরে সাইনবোর্ডে টানিয়ে দেয়া হবে।