Image description

মাকসুদুর রহমান

ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসেবে বিবেচিত। এসময় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বিজয় দিবস ও একাত্তরের মতো ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ শব্দগুলো চরম রাজনীতিবিমুখ মানুষদেরও স্পর্শ করে যায়।

গত ১৬ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট চক্র এ শব্দগুলোকে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র নামে দেশপ্রেমের ফ্রেমে বন্দি করে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ধবংস করার বিনিময়ে লাগাতারভাবে বিক্রি করেছে। ৫ আগস্ট জুলাই অভ্যুত্থানে সাময়িক সময়ের জন্য চেতনা বিক্রির এই খেলা বন্ধ হলেও কত দিন এই চেতনাবাজদের ঠেকিয়ে রাখা যাবে, তা নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে।

শুনতে কিছুটা বেখাপ্পা মনে হলেও এই চিন্তার একটা সুনির্দিষ্ট ভিত্তিমূল বিদ্যমান। সেই রহস্য উন্মোচন করতে হলে আমাদের রাজনীতির মৌলিক দুর্বলতা খুঁজতে হবে। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কেন আমাদের গণতন্ত্র শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি, তাও খুঁজে দেখা জরুরি।

আমাদের ফিরে দেখতে হবে, গণতন্ত্রের মূল চেতনায় উজ্জীবিত সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশে কেন মাত্র তিন বছরের মাথায় এক কলমের খোঁচায় দেশের গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে একদলীয় বাকশাল কার্যকর করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে এবং হাইব্রিড ধরনের একদলীয় শাসন কার্যকর করে গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে ধূলিসাৎ করেছেন, তার কারণ কি কেবল ক্ষমতার মসনদকে দখলে রাখা, না তার চেয়েও বেশি কিছু, সে বিষয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে।

গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ক্ষমতার পালাবদলের প্রধানতম উপায় হচ্ছে নির্বাচন। নির্দিষ্ট সময় পরপর জনগণের ভোটাধিকারের মধ্য দিয়ে যা নির্ধারিত হয়। বস্তুত জনগণই দেশের সব ক্ষমতার মালিক। আর জনগণের মালিকানা চর্চার মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। এর মাধ্যমে জনগণ মূলত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার মালিকানা চর্চার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি কিংবা বিশেষ গোষ্ঠীকে (রাজনৈতিক দল) নিয়োগ প্রদান করে।

তাই সার্বিক অর্থেই দেশের জনগণ তার হয়ে দেশের মালিকানা চর্চার জন্য লোক নিয়োগ করে, যা সামগ্রিকভাবে কার্যত সরকার হিসেবে বিবেচিত। জনগণের মালিকানা চর্চার দায়িত্ব পালনের জন্য যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাদের এর বিপরীতে রাষ্ট্রের তরফে প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ও অন্যান্য পারিতোষিক সুযোগসুবিধা প্রদান করা হয়, যাতে খুব সাবলীলভাবে তারা রাষ্ট্রের মালিকের পক্ষে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সক্ষম হন। গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রায় সব দেশেই একই নিয়ম প্রযোজ্য।

প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক যে, গণতান্ত্রিক বিশ্বের সব দেশেই যদি মোটামুটি একই নিয়ম প্রচলিত হয়ে থাকে, তাহলে কেন পৃথিবীর দেশে দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার মতো কেউ ভয়ংকর স্বৈরশাসকে পরিণত হন। কেন হিমালয়সম জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েও শেষ পর্যন্ত শেখ মুজিবের মতো নেতা চরম বিতর্কিত শাসকে পরিণত হন। এর কারণ খুঁজতে গেলেই মূলত বাংলাদেশের রাজনীতির কঙ্কালসার খোলনলচে বেরিয়ে আসবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের শুরুর দিকে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির বাংলাদেশে পদার্পণ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের সঙ্গে শেখ মুজিবের কথোপকথনের দিকে নজর দিই, তাহলেই সুস্পষ্ট হবে। যেখানে শেখ মুজিব দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের খুঁটিনাটি বিষয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ না দেখিয়ে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের রাজনীতির মৌলিক দুর্বলতার শুরু কিন্তু এখানেই।

কারণ তাজউদ্দীনের কাছে থেকে দ্রুততার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে শেখ মুজিবের আগ্রহ প্রকাশের মাঝে ক্ষমতার প্রতি তার প্রচণ্ড লিপ্সাই প্রমাণিত হয়। অবধারিতভাবেই শেখ মুজিব সেই সময় বাংলাদেশের মালিকানাচর্চার যোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত জনগণের চড়াই-উৎরাইয়ের ন্যূনতম খোঁজখবর না নিয়ে অতি দ্রুততার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাজউদ্দীনকে সরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে ছিল, বস্তুতপক্ষে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে শেখ মুজিবের নিরবচ্ছিন্ন লুটেরাতন্ত্র শাসন প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ।

যে ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিব তার খেয়ালখুশিমতো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে কখনও তাজউদ্দীনকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, আবার কখনও নিজদলীয় রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। আবার কখনও নিজের শাসনক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গণতন্ত্রের বুকে ছুরিকাঘাত করে স্থায়ীভাবে একনায়কতান্ত্রিক বাকশালী শাসনব্যবস্থা চালু করেছেন। শেখ মুজিবের মতো একজন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের কাছ থেকে এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ ছিল রীতিমতো অচিন্তনীয়।

শেখ মুজিবের মৃত্যু হয়েছে আজ থেকে ৫০ বছর আগে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যদি আমরা শেখ মুজিবের রাজনৈতিক পতন ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রধান ক্ষত উন্মোচন করতে চাই, তাহলে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হবে! প্রথমেই আসবে কেন শেখ মুজিব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় অবিস্মরণীয় ভূমিকায় যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই তাজউদ্দীনকে দেশে প্রত্যাবর্তনের এক দিনের মাথায় সরিয়ে দিলেন, কেন তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতির মতো রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদ্গুলোকে নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করেছেন, কেন শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতম আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্রকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে গলা টিপে হত্যা করেছেন—এর সবগুলোর উত্তরই মোটামুটি একই।

আর তা হচ্ছে, দীর্ঘ মেয়াদে নিজের ও ঘনিষ্ঠজনদের মাধ্যমে দেশের সর্বময় শাসনক্ষমতাকে চিরস্থায়ী রূপদান করা। আর শাসনক্ষমতাকে চিরস্থায়ী রূপদানের প্রধান কারণই হচ্ছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের সম্পদকে লুটের অবারিত সুযোগ করে দেওয়া। শেখ মুজিবের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের যে কী সীমাহীন লুটপাট হয়েছে, তা তার কম্বল চুরির স্বীকারোক্তির মাঝেই প্রমাণিত হয়।

পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে একইভাবে গত ১৬ বছরের দখলদারিত্বের শাসনকালে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করে সমগ্র রাষ্ট্রকে এক ভয়াবহ অলিগার্কিতে পরিণত করেছেন। এর অংশ হিসেবে প্রথমেই তিনি বাংলাদেশের মানুষসহ বৈশ্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় আঘাত হানেন। এ কাজে তিনি বিচারব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যে তিনটি ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, এ সবকিছুর মূলেই ছিল জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে নির্বাচনব্যবস্থাকে স্রেফ ‘অলিগার্কিক লাইসেন্স’ নবায়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনার লুটেরাতন্ত্র অব্যাহত রাখার সুবন্দোবস্ত করা।

আলোচনায় শেখ মুজিবের ও শেখ হাসিনার শাসনামলকে অধিক গুরুত্ব দিলেও কেবল জিয়াউর রহমানের সরকার ছাড়া বাকি প্রায় সব সরকারের আমলেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করার প্রধান কারণ ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের সম্পদ লুটের রাজনৈতিক প্রবণতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়ার ২০০১-২০০৬ শাসনামলের চতুর্দশ সংশোধনীকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়! মূলত এ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের বয়স বৃদ্ধি করা হয়।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাছে যা কার্যত বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি হিসেবে চিহ্নিত হয়। নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করলে, এর পরিণতিতেই একটি নির্বাচনকালীন গ্রহণযোগ্য সরকারব্যবস্থা চরমভাবে বিতর্কিত হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠিত হয়, সেনা-সমর্থিত ফখরুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরবর্তীকালে এ অজুহাতে শেখ হাসিনা বিচারপতি খায়রুল হককে ব্যবহার করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসনের পথ চূড়ান্তভাবে রুদ্ধ করে দেন।

একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের বয়স ৫৩ বছর মোটেই কম সময় নয়। ১৯৭১ সালের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও অধিকার কায়েমের স্বপ্ন দেখে একটি রক্তক্ষয়ী মূক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিল। ফলে বিশ্বের শক্তিধর সেনাবাহিনী ও কূটনৈতিক যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয় ঘটে। কিন্তু যে স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়ে এ দেশের স্বাধীন দেশে মানুষ তাদের যাত্রা শুরু করে, ২০২৪ সালে এসে আজও তা বাস্তবিক অর্থেই অধরাই রয়ে গেছে।

নানা তাত্ত্বিক ও প্রক্রিয়াগত জটিল ব্যাখ্যা থাকলেও এর প্রায়োগিক কারণ হচ্ছে সামগ্রিকভাবে আমাদের দুর্নীতিমনস্কতা! আমরা স্বীকার করি আর নাই করি, রাষ্ট্রক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে জনগণের সম্পদ লুটের অভিলিপ্সাই আমাদের গণতন্ত্রের প্রধান ক্ষত। আমরা ততক্ষণই নিজেদের গণতান্ত্রিক আচরণের খোলসে আবদ্ধ রাখি, যতক্ষণ আমরা রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকি। যখনই আমরা রাষ্ট্রক্ষমতার ড্রাইভিং সিটে বসি, তখনই আমাদের ভেতরের লুটেরা কিংবা দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের ভূত জেগে ওঠে। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের সরকারব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার পার্থক্যটা এখানেই! তবে এখানে একটা তাত্ত্বিক পার্থক্য রয়েছে।

স্থিতিশীল কিংবা শ্রেয়তর গণতন্ত্রচর্চাকারী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য হচ্ছে, এসব দেশের নির্বাচিত সরকারগুলো তাদের দেশের জনগণকে তাদের মালিক কিংবা নিয়োগদাতা মনে করেন। তারা মনে করেন, জনগণের অর্থাৎ মালিকের সম্পদ কিংবা ফাইফরমাশ পালন করা তার নিয়োগের প্রধান শর্ত। এর ব্যত্যয় ঘটলে তারা নিজেরাই তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বে নিয়োগকৃত সবাই (বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা-সহ) নিজেদের রাষ্ট্রের মালিক ভাবেন! জনগণকে তারা কেবল তাদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করার জন্য নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত এক দিনের কামলা মনে করেন। রাষ্ট্রক্ষমতাকে তাদের সম্পদ অর্জনের অনুষঙ্গ মনে করেন। ফলে দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ কর্তৃক টেনেহিঁচড়ে নামানো না পর্যন্ত তারা অব্যাহতভাবে দুর্নীতির মাধ্যমের সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলতে লুটপাটে ব্যস্ত থাকে।

৫ আগস্ট-পরবর্তী পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে একটি সত্যিকার ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর নতুন সুযোগ এসেছে। এর মাধ্যমে হতাশায় নিমজ্জিত জাতির সামনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে দেশকে সর্বাত্মকভাবে একটি দুর্নীতিবিরোধী শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিমূল গড়ে তুলতে হবে। কারণ দুর্নীতি হচ্ছে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রধান দুষ্টক্ষত! এই ক্ষত দূর করতে না পারলে হাজারো প্রাণের রক্তে রঞ্জিত ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বাধ্য।