
রক্তস্নাত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তরুণদের প্রাধান্য থাকার কথা বলা হলেও বেশিরভাগ বয়স্ক উপচেষ্টা দিয়ে শীর্ষদেশ অতিরিক্ত ভারী হয়ে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ার দশা হয়েছিল উপদেষ্টা পরিষদের। লোক-দেখানো কিছু বক্তব্য, সোজা রাস্তায় কাজ করার বদলে চটকদার লোকরঞ্জনকারী সিদ্ধান্ত আর গুরত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতা ভোগাচ্ছে বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদকে। তাই জুলাই ফাউন্ডেশন থাকার পরেও শহীদের সন্তানকে যেতে হচ্ছে এতিমখানায় আর ছাত্রলীগের আহত কর্মী পাচ্ছে জুলাই যোদ্ধার অনুদান।
আওয়ামী লীগের উন্নয়নের গালগল্প হারিয়ে গেছে ৫ আগস্টে তাদের নেত্রী হেলিকপ্টারে চেপে পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। কিন্তু সবাই অবাক হয়ে দেখছেন প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করে না। তাই নতুন করে ষড়যন্ত্রতন্ত্বের গল্প নয় আর সংস্কারের মুলা সামনে আনা হয়েছে। আগে বাংলাদেশের মানুষ সকালে নাশতা করত উন্নয়নের গল্প দিয়ে, রাতে ঘুমানোর আগে ঘুমপাড়ানি গান হিসেবে শুনতো মুক্তিযুদ্ধের গল্প। এখন সকাল, দুপুর কিংবা বিকাল তিনবেলাই সবার পেট ভরছে সংস্কারের গল্প শুনে। কিন্তু এই সংস্কারের পাশাপাশি প্রয়োজন রাজনৈতিক সমঝোতা, যা অনেকের মাথায় ঢুকছে না কিছুতেই।
অতি সতর্ক কতিপয় অর্বাচীন ভেবে বসেছেন রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তিই হচ্ছে কল্পিত শত্রু খোঁজার ওপর নয় দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু বিপরীতে বিরুদ্ধ মতের প্রতি সহনশীলতা, বাস্তব সংকটের স্বীকৃতি এবং অংশগ্রহণমূলক সংলাপের মধ্য দিয়েই টেকসই গণতন্ত্র গড়ে ওঠে যা তারা মানতে নারাজ। কিছু বিষয়ে নিমরাজি হলেও জনআস্থা অর্জন করা যায় অপরাধী বানিয়ে নয়, বরং আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করে এটা মানতে আগ্রহ নেই তাদের। তাই এখন ষড়যন্ত্রের কুয়াশা থেকে বেরিয়ে এসে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও সম্মিলিত সমাধানের পথে হাঁটার চেষ্টা করতে দেখা যায়নি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।
গত কয়েকদিন বাংলাদেশ এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে তার প্রতিটি সময় অতিবাহিত করেছে। রাজপথে উত্তেজনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আতঙ্ক, এবং সরকারের দেওয়া বিবৃতিতে কোনো সমাধান হয়নি। এতে করে জনগণের মনে আরও অনিশ্চয়তা ও সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি যে বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে,তা স্পষ্টভাবে সংকট সমাধানের লক্ষ্যে দেওয়া হয়নি—বরং এটি ছিল এক ধরনের "দোষ চাপানো কৌশল" যাকে মধ্যযুগের ডাইনি শিকারের সঙ্গে তুলনা করা চলে।
বিগত ফ্যাসিবাদী আমলের সঙ্গে তুলনা দিলে এই কৌশল বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন নয়। যখনই রাজনৈতিক ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে তখন এমন হাতিয়ার অবলম্বন করতে দেখা যায়। গত বছর দশেক ধরে কমবেশি এই পরিচিত চিত্র আমরা দেখতে পাই। সেখানে মুখস্থ কিছু শব্দও আমাদের কানে বাজে অনেকটা চেনা সুরে। সেই রাজাকার, পরাজিত শক্তির ইন্ধন, বিদেশি ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তির দাপট ইত্যাদি শুনতে শুনতে কান পচে গেছে সবার। বাস্তব সংকট মোকাবেলার পরিবর্তে, সরকার ফিরে যাচ্ছে সেই পুরোনো ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ছায়াতলে। নিঃসন্দেহে এটা আমাদের কারও কাঙ্ক্ষিত ছিল না।
মার্কিন ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ রিচার্ড হফস্ট্যাডার প্যারানোইয়া সম্পর্কিত ধারণা থেকে আমরা বুজি রাজনৈতিক সংকটে পড়লে শাসকেরা জনগণের বৈধ ক্ষোভকে কীভাবে বিশ্রিভাবে প্রশমিত করার চেষ্টা চালায়। তারা নিজেদের চেনা শত্রুকে আড়াল করতে চায় কল্পিত 'বাইরের শত্রু' কিংবা 'অদৃশ্য শক্তির প্রভাব দিয়ে। তারা নানা হিসেবে তাদের সমস্যাকে ব্যাখ্যা করে। এর মাধ্যমে তারা মূলত নিজেদের চরম ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা চালায়। পাশাপাশি অধিকার সচেতন জনতা যখন তাদের প্রয়োজন সামনে রেখে এগিয়ে আসার অবস্থা হয় তখন জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি বেশ উপযুক্ত ভূমিকা রাখে।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, সরকারের বিবৃতি গুলোতে বারংবার বলা হচ্ছে চিরচেনা সেই ভাঙ্গা রেকর্ড ‘আমাদের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হচ্ছে"। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—কে কিংবা কোন পরাক্রমশারী শক্তি তাদের এই মহান(!) দায়িত্ব পালনে বাধা দিচ্ছে? তাদের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছে তবে কী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী? বর্তমানে কোন বিরোধী দল আছে যারা তাদের বাধা দিচ্ছে? নাকি বাংলাদেশের চিরচেনা নাগরিক সমাজ ঘুরে ফিরে তাদের কাঠি করছে? এগুলোর বাইরে গিয়ে তবে কী তারা সাধারণ জনগণকেও শত্রু মনে করতে শুরু করেছেন যারা নিয়মিত গণতন্ত্র ও স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি তুলছেন? এই ধারাবাহিক শতটা প্রশ্ন করা যেতে পারে তবে তার একটিও গ্রহণযোগ্র উত্তর তাদের কাছে নেই।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় নির্বাচন চাওয়া কিংবা সরকারের জবাবদিহিতা দাবি করা তবে অপরাধী? সঠিক বেঠিক রাষ্ট্র গৃহীত সব সিদ্ধান্ত কী তবে অবনত মস্তকে মেনে নিতে হবে জ্বি হুজুর বলে। তার বিপরীতে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের সমালোচনা করাই ষড়যন্ত্র হয়—তবে তা কি গণতন্ত্রের পরিপন্থী নয়? এই প্রশ্নের উত্তর কী কেউ দিতে পারবেন? যদি তাই হয় তবে জনগণ রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনাকে বিদায় করল কেনো? সেও তো সুন্দর সুন্দর উন্নয়নের গল্প শোনাতো সবাইকে। সেই মেট্রো রেল, পদ্মা সেতু, কর্নফুলী টানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তারও তো শোনানোর মতো কত সুন্দর সুন্দর উন্নয়নের গালগল্প ছিল। তারপরেও তাকে সবাই তাড়িয়ে নিয়ে ভারতগামী হেলিক্পটারে তুলে দিয়েছিল কেনো?
আপনারা কেউ কী অস্বীকার করতে পারবেন বিগত নয়মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো সংকটে পড়েনি। আর রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে এই সংকটে পড়াই তো স্বাভাবিক। দৈনিক পত্রিকাগুলোতে চোখ বোলাতে গেল বিগত ৯ মাসে বর্তমান সরকার নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট, জ্বালানি ঘাটতি, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আন্তর্জাতিক চাপ, শহীদের সম্মান দেওয়া ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, আহতদের চিকিৎসা—প্রভৃতি ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়হীনতা, একগুঁয়েমি ও অদক্ষতার ছাপ সুস্পষ্ট।
বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো—নিজেকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের প্রতিনিধি না করে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের সমার্থক হিসেবে উপস্থাপন করা। এতে দেশের রাজনৈতিক বিভাজন আরও গভীর হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ভেঙে পড়েছে। তারা সবাই একে অন্যকে পুরোপুরি শত্রুজ্ঞান করতে শুরু করেছে। জঘন্য বিষয় হচ্ছে—সরকারের বক্তব্যে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা চিন্তাতীত ও নজিরবিহীন। মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে সেনাবাহিনীকে “ভারতের দালাল” বা “পরাজিত শক্তির পৃষ্ঠপোষক” হিসেবে আখ্যা দিয়ে চলেছেন। বাস্তবতা বিচার করলে মন্ত্রীদের এই বক্তব্য শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন নয়, বরং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে এক ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ভঙ্গুরতার ইঙ্গিত দেয়। এমনিতেই ফ্যাসিবাদী আমলে দেশের বেশিরভাগ অবকাঠামো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। তার উপর দাঁড়িয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার কাজ অতটা সহজ নয়। এর বাইরেও নামমাত্র যেসব প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে আছে তাদেরকে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকার অর্থ হচ্ছে নিজের পায়ে সরাসরি কুড়ুল নিক্ষেপ করা।
তুলনামূলক অদক্ষ এনজিও কর্মীতে সাজানো বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের বড় সমস্যা হচ্ছে তাঁরা সমস্যা চিহ্নিত করার আগেই শত্রু চিহ্নিত করতে চেষ্টা করেন। পাশাপাশি পুরো দেশকে একটা এনজিও মনে করেন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সংকট মাল্টি-লেয়ার এবং মাল্টি-অ্যাক্টরের সরাসরি অংশগ্রহণে সৃষ্টি হচ্ছে। সেখানে স্বীকার করুক আর না করুন বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের ব্যর্থতা থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ, শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির ক্ষমতা প্রদর্শনেচ্ছা, জামায়াতের পর্দার আড়ালে থেকে গুঁটি চালার ইচ্ছা, এনসিপির সরকারের পাশাপাশি আরেকটা ছায়া সরকার হয়ে থাকার শখ, সুশীল সমাজের সব কিছুতে নাক গলানোর চেষ্টা করা— কোনও না কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট তথা দায়ী। কিন্তু তারা কেউ এই বাস্তবতা স্বীকার করতে চায় না কিছুতেই। তারা সবাই কমবেশি শুধুমাত্র একে অন্যের উপর দোষ চাপানোর রাজনীতি চালিয়ে ধীরে ধীরে বিদ্যমান সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।
বাংলাদেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক অংশগ্রহণমূলক সংলাপ বিরাট ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু তারা সংলাপের থেকে সমালোচনাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। তারা গঠনমূলক সিদ্ধান্তের বদলে একে অন্যকে আক্রমণের মাধ্যমে রক্তাক্ত করাকেই বিরাট সফলতা মনে করছে। অনলাইনে সক্রিয় হয়েছে দুইপক্ষে ‘আলবটর বাহিনী’। তারা কুৎসিত গালাগালের মাধ্যমে প্রতিপক্ষ ঘায়েল করতে গিয়ে বিশ্রিভাবে ছড়াচ্ছে নানা মিথ্যা তথ্য। তাদের কারণে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ছে বর্তমানে সক্রিয় প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তারা একে অন্যকে দমন করতে এই ‘আলবটর বাহিনী’ নামালেও দিনশেষে কমবেশি রক্তাক্ত হচ্ছে সবাই।
ফ্যাসিবাদ পতনের পর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এলে শুরুতেই বলা হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়সূচিতে একটি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করা হবে। কিন্তু হঠাৎ করে নির্বাচন আর সংস্কার প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ালো কীভাবে সেটা বোধগম্য নয়। রাজনৈতিকভাবে সরকার আজ এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে যে কোনো ভুল পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। আর সেখানে নির্বাচন চাওয়ার মতো গণতান্ত্রিক অধিকারকেও ‘সরকার ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হলে সেটা দুঃখজনক এবং নজিরবিহীন।
লাগাতার মানুষের মতপ্রকাশের অধিকারকে অস্বীকার করার পাশাপাশি নির্বাচন আর সংস্কারকে মুখোমুখি দাঁড় করানো চিহ্নিত একটি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠা করা দুরভিসন্ধিমূলক ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের এখন সবচেয়ে জরুরি দায়িত্ব ছিল—নিজেদের আন্তরিকতার প্রমাণ দেওয়া। নানা হিজিবিজি বক্তব্য ও বিবিধ অস্পষ্ট হুমকির বদলে সরকারের দায়িত্ব হয়ে গেছে সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা। পাশাপাশি তাদের অবদানকেও স্বীকার করতে হবে, ধারাবাহিক অপমান কোনোভাবেই করা যাবে না।
একের পর এক ষড়যন্ত্র তত্ত্বের তোড়ায় বাঁধা সংস্কারের ঘোড়ার ডিম দেখিয়ে আমরা যদি রাজনৈতিক সমাধানের পথ অবরুদ্ধ করি, তবে ইতিহাস নিজেই একটি সমাধান তৈরি করে নেবে যা কারও জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না। তখন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের তোড়ায় বাঁধা সংস্কারের ঘোড়ার ডিম ফুটে একটা একটা নতুন সমস্যার বাচ্চা পয়দা হবে। আর তা সমাধানের খরচও হবে অনেক বেশি, অনেক অনেক রক্তক্ষয়ী। তাই রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি, দায়িত্বশীলতা, এবং সর্বোপরি, গণতন্ত্রের প্রতি সুদৃঢ় আস্থা রেখে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের বাস্তব সম্ভাবনার পথ প্রশস্ত করতে হবে। নচেৎ বর্তমান সরকার তাদের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের তোড়ায় বাঁধা যে সংস্কারের ঘোড়ার ডিম মেলে ধরেছেন তা একে একে নিত্যনতুন বিশৃঙ্খলা হয়ে ফাটতে এবং ফুটতে থাকবে। তখন ফলাফল হিসেবে যে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার থেকে উত্তরণ সহজ হবে না। -