
ড. সিরাজুল আই. ভুঁইয়া
অতিরঞ্জিত সংকট গড়ে ইতিহাসের পুনর্লিখন
ভারত আর পাকিস্তানের সংঘাত, বিভাজন, আর উত্তেজনার ইতিহাস দীর্ঘ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সাম্প্রতিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযান শুধু সামরিক পদক্ষেপ নয়, এটা সতর্কভাবে সাজানো একটা রাজনৈতিক নাটক। নরেন্দ্র মোদির সরকার এই অভিযানকে ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী মনোভাব উসকে দিচ্ছে, দেশের আসল সমস্যা থেকে মানুষের মনোযোগ সরিয়ে দিচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে। দুর্বল অর্থনীতি, সংকটে জর্জর কৃষক এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নিয়ে দেশের ভেতরে যে ক্ষোভ বাড়ছে, সেগুলো মোকাবিলায় সরকার একটা পুরোনো কৌশল খাটাচ্ছে। মনোযোগ সরানোর জন্য তারা একটা সংঘাত উসকে দিচ্ছে।
অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুরের মধ্যেও একটা বার্তা আছে। রয়েছে ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যা গল্পের প্রচারণা। আর রয়েছে দেশের বাইরের সংঘাতকে ব্যবহার করে দেশের ভেতরে ক্ষমতা সংহত করার মোদির কৌশল। মোদির সামনে এখন ‘মেক অর ব্রেক’ নির্বাচন। উইন্সটন চার্চিল একবার বলেছিলেন, ‘যুদ্ধের সময় সত্যটা এতই মূল্যবান হয়ে ওঠে যে, তাকে বেশ কিছু মিথ্যার পাহারায় টিকে থাকতে হয়।’ মোদির ভারতে সত্যটা প্রায়ই জাতীয়তাবাদের পেছনে লুকানো থাকে। এই জাতীয়তাবাদ দিয়ে দেশের সমস্যাগুলো আড়াল করা হয়।
সময় আর কৌশল : সামরিক তৎপরতার আড়ালে নির্বাচনি চাল
এমন সময় অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করা হলো, যখন মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি কঠিন সময় পার করছে। বিহার, উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশের মতো রাজ্যগুলোয় সমর্থন হারাতে শুরু করেছে মোদির দল। বিহারে তরুণ প্রজন্ম বেকারত্ব, সড়কের বেহাল অবস্থা এবং হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা বেড়ে গেছে। বেড়েছে পুলিশের বর্বরতা। সেখানে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে বহু ভোটার বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। মধ্য প্রদেশে কৃষকেরা আন্দোলনে নেমেছে। তারা ঋণ শোধ করতে পারছে না। শস্যের দাম অনেক কমে গেছে। তা ছাড়া দুর্নীতি আর কেলেঙ্কারি বিজেপির ইমেজকেও ক্ষুণ্ণ করেছে সেখানে।
স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপি হারতে শুরু করেছে। মোদি যে ‘গুড ডেইজ’ কর্মসূচি নিয়ে ঢোল বাজিয়েছেন, তার ওপর থেকে আস্থা উঠে যাচ্ছে মানুষের। জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে। স্কুলগুলো টিকতে পারছে না। গ্রামীণ অর্থনীতি ধসে পড়ছে। এমনকি যে শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণি মোদিকে সমর্থন দিয়েছে, তারাও বেকারত্ব আর অর্থাভাবে হতাশায় ভুগছে।
এই ব্যাপক ক্ষোভের মুহূর্তে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনার উদ্দেশ্য ভারতকে রক্ষা করা নয়, এটা মানুষকে বিভ্রান্ত করার কৌশল মাত্র। সরকার বলছে, পেহেলগামে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, সেই হামলার জবাবেই সরকার এই অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু আসলে এই হামলার উদ্দেশ্য হলো জাতীয়তাবাদী আবেগ উসকে দেওয়া, দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া এবং বিজেপিকে ভারতের একমাত্র রক্ষাকর্তা হিসেবে দাঁড় করানো। এটা শুধু পাকিস্তানের বিষয় নয়, এটা ২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচন এবং মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও দিল্লির রাজ্যসভা নির্বাচনে জেতার প্রশ্ন।
মোদি আগেও এই কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে উরিতে হামলার পর ভারত পাকিস্তানের ভেতরে তথাকথিত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেছিল। ওই হামলা উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে নির্বাচনে জিততে সাহায্য করেছিল। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা-বালাকোট সংকটের ইস্যুটি বিজেপির জাতীয় নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল। অর্থনৈতিক সমস্যা আর বেকারত্ব সত্ত্বেও মোদিকে নির্বাচনে জিততে সেটা সাহায্য করেছিল। অপারেশন সিঁদুর সেই একই পুরোনো কৌশল।
আন্তর্জাতিক সংকটের আড়ালে অভ্যন্তরীণ সমস্যা লুকানো
বিশ্ব যদিও জঙ্গি বিমান আর কূটনৈতিক তৎপরতা দেখতে পাচ্ছে, কিন্তু ভারত ভেতরে ভেতরে ধসে পড়ছে। তরুণ যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকেরা টিকে থাকার জন্য লড়ছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। ঘৃণামূলক অপরাধ ও উগ্র জনতার হামলার কারণে সাম্প্রদায়িক শান্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। এদের কোনো বিচারও হয় না। নারীরা এখনো নিরাপদ বোধ করে না। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণও কমে যাচ্ছে।
এসব সমস্যার সমাধান বাদ দিয়ে মোদির সরকার উগ্র জাতীয়তাবাদ, নাটকীয় সামরিক প্রদর্শনী এবং মিডিয়া প্রচারণার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। টিভি নিউজ চ্যানেলগুলো দেখলে মনে হবে সেগুলো ‘যুদ্ধ পরিচালনা কক্ষ’। কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই তাকে দেশদ্রোহী বলে ঘোষণা করা হচ্ছে। ভুয়া দেশপ্রেমের আওয়াজ তুলে প্রতিপক্ষকে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এই বিভ্রান্তির কৌশল সচেতনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। যখনই মোদির জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে অথবা বিরোধীদের শক্তি বেড়ে গেছে, তখনই সত্যিকার বা সাজানো কোনো বিদেশি সংকট হাজির করা হয়েছে। হঠাৎ করেই মানুষ তখন বেতনের সমস্যা নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে জঙ্গি বিমান নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাতে শুরু করেছে। ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট বলেছিলেন, ‘রাজনীতিতে কোনো কিছুই দুর্ঘটনাবশত ঘটে না। যদি কিছু ঘটে, নিশ্চিত জেনো সেটা ওইভাবেই সাজানো হয়েছে।’
মোদির ভারতে পররাষ্ট্রনীতি হলো ভোট বাগানোর একটা অস্ত্র। সামরিক পদক্ষেপ সেখানে রাজনীতির মঞ্চ হয়ে গেছে। তাদের শত্রু শুধু পাকিস্তান নয়; যারাই সরকারকে কঠিন প্রশ্ন করবে, তারাই তাদের শত্রু।
গণতন্ত্রের এভাবেই বারোটা বাজছে। আরো বেশি সীমান্ত সংঘাত বা প্রতীকী অভিযান দিয়ে ভারতের কোনো লাভ হবে না। তাদের সত্যিকারের সংস্কার করতে হবে। তাদের ন্যায়সংগত নেতা ও সুশাসন লাগবে।
নামের মধ্যে সিঁদুর : গভীর অর্থবহ প্রতীক
‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের মধ্যে গভীর তাৎপর্য রয়েছে। হিন্দু সংস্কৃতিতে ‘সিঁদুর’ একটি লাল রঙের পাউডার, যেটা বিবাহিত নারীরা মাথায় চুলের সিঁথিতে ব্যবহার করে। তাদের সংস্কৃতিতে এটা পবিত্রতা, উর্বরতা ও স্বামীর প্রতি আনুগত্যের প্রতীক। সামরিক অভিযানের নামে এই শব্দ জুড়ে একটা রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মাত্রা যোগ করা হয়েছে। একটা যুদ্ধকে এর মাধ্যমে পবিত্র মিশনে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, এই নাম হঠাৎ করে দেওয়া হয়নি। ভারতের পরিচয়কে হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার জন্য মোদির পরিকল্পনার অংশ এটা। তার সরকার প্রায়ই ধর্ম আর রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলে। জাতীয়তাবাদকে তারা ধর্মীয় দায়িত্বে পরিণত করে। ভারতের বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজের জন্য এটা খুবই বিপজ্জনক।
সাম্প্রদায়িক হিসেবনিকেশ ও বহুত্ববাদের মৃত্যু
অপারেশন সিঁদুরের আসল প্রভাব সীমান্তে দেখা যাবে না। এর প্রভাব দেখতে হবে ভারতের রাস্তাঘাটে। অভিযান শুরুর পর থেকেই উগ্র জনতার সহিংসতা, ঘৃণামূলক কথাবার্তা এবং মুসলিমদের ওপর হামলার মাত্রা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোয় এই মাত্রা বেড়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, স্কলার ও সংখ্যালঘু কমিউনিটির লোকেরা বলছে, এই অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে, যাতে তারা মোদিকে সমর্থন করে। যুদ্ধকে এখানে সরাসরি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন একবার বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে কখনো এমন কোনো দুর্ভিক্ষ হয়নি, যার পেছনে প্রতিষ্ঠিত কোনো সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত নেই।’ যুদ্ধের ক্ষেত্রেও কথাটা সত্য। যদি মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, ভিন্নমতকে নির্দয়ভাবে দমন করা হয় এবং মানুষের মধ্যে যদি বিভাজন থাকে, তাহলে গণতন্ত্র একটা রঙ্গমঞ্চ হয়ে ওঠে, যেখানে সরকার ভয় দেখিয়ে রাজত্ব করে এবং যেখানে কোনো ঐক্য থাকে না।
গদি মিডিয়া : অপতথ্য, কারসাজি ও সম্মতি উৎপাদন
ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমকে প্রায়ই গদি মিডিয়া বলা হয়। তারা সরকারের এই কৌশলে একটা বড় ভূমিকা পালন করছে। রিপাবলিক টিভি, টাইমস নাউ এবং জি নিউজের মতো চ্যানেলগুলো মোদির স্তাবকের ভূমিকায় নেমেছে। এমনকি অনেক দলবাজ স্বাধীন সাংবাদিকদেরও তারা ছাড়িয়ে গেছে। পেহেলগাম হামলার পর কোনো ধরনের তথ্য প্রমাণ বা তদন্ত ছাড়াই প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তারা পাকিস্তানকে দোষারোপ করে বসে।
টিভি টক শোগুলোয় যুদ্ধবাজদের নিয়ে আসা হয়, যারা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। উপস্থাপকরা নিজেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায়। কেউ ভিন্নমত পোষণ করলেই তাকে ঠাট্টা করা হয় বা অগ্রাহ্য করা হয়। গদি মিডিয়ার এই ঝড় জনতার ক্ষোভকে মোদির পক্ষে ভোটে রূপান্তরিত করছে।
নোয়াম চমস্কি যেমনটা বলেছেন, ‘স্বৈরাচারী রাষ্ট্র চালাতে যেমন মুগুর লাগে, তেমনি গণতন্ত্রের জন্য লাগে প্রোপাগান্ডা।’ মোদির ভারতে মিডিয়া পুরোপুরি প্রোপাগান্ডা যন্ত্র হয়ে গেছে। তারা ক্ষোভ উসকে দিচ্ছে, মতামত তৈরি করছে এবং ঠান্ডা মাথায় আলোচনার কোনো সুযোগই রাখছে না।
এটা নতুন কিছু নয়। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা-বালাকোট সংকটের সময় মিডিয়া অন্ধ দেশপ্রেমের প্রচারণায় নেমেছিল। কঠিন প্রশ্নগুলো করার তাদের কোনো ইচ্ছাই ছিল না। তারা পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছিল, কিন্তু ভারতের নিজস্ব ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী ছিল না। আবেগি দেশপ্রেম দিয়ে সত্যিকারের রিপোর্টিংকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল।
‘পাকিস্তানই হলো শত্রু’ এ কথাটা বারবার বলে মিডিয়া বুঝিয়ে দিয়েছে, তাদের মগজ ভালোমতোই ধোলাই হয়ে আছে। মোদিকে তারা শক্তিশালী হিসেবে তুলে ধরছে। তারা বিতর্ক দমন করছে, আর যুদ্ধকে নির্বাচনী স্টান্টবাজিতে পরিণত করছে।
একটি শান্তির ভিশন : আঞ্চলিক সংহতির জন্য ড. ইউনূসের আহ্বান
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস একটা ভিন্ন পথের দিশা দেখিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ভারত ও পাকিস্তান সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পেতে পারে, সংঘাতের মাধ্যমে নয়। তিনি চান সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন বা সার্ক আরো শক্তিশালী হোক। এখানকার দেশগুলো পরস্পরের আরো কাছাকাছি আসুক। তিনি বলেছেন, অস্ত্রের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য ও সংস্কৃতি-বিনিময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাদের উচিত দারিদ্র্য, বৈষম্য আর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
ড. ইউনূস সার্ককে মুক্ত আলোচনা, আস্থা ও পারস্পরিক প্রবৃদ্ধির জন্য একটা প্রাণবন্তু মঞ্চ হিসেবে দেখছেন। এটা এখানকার দেশগুলোকে ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সবুজ প্রযুক্তি নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘সত্যিকারের শান্তির অর্থ যুদ্ধ না থাকা নয়, বরং জীবনমান উন্নয়নের জন্য সুযোগের উপস্থিতি।’
ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত অন্তহীন হতে পারে না। সাহসী নেতৃত্ব আসলে প্রতিযোগিতা নয়, বরং সহযোগিতার উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে দক্ষিণ এশিয়া। ড. ইউনূস মানুষের জন্য বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রোপাগান্ডা দিয়ে সেই কাজ হবে না।
রাজনীতি নয়, শান্তি দরকার
ভারতকে অবশ্যই একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে: শান্তি না প্রোপাগান্ডা—কীসের মূল্য বেশি? সত্যিকারের নিরাপত্তার জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করতে হবে। সীমান্তে লড়াই করে লাভ হবে না। যুদ্ধ লাগিয়ে হয়তো নির্বাচনে জেতা যাবে, কিন্তু এভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়া যাবে না।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘দেশপ্রেম আমাদের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক আশ্রয় হতে পারে না; আমার আশ্রয় মানবতা।’ ভারতের আজ সেই মানবতা সবচেয়ে বেশি দরকার। রাজনীতির ঊর্ধ্বে শান্তিকে প্রাধান্য দেওয়া সঠিক শুধু নয়, এটাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।