Image description
ভারত-তুমি-রিয়েলিটি-মাইন্যে-ন্যাও

সারফুদ্দিন আহমেদ

‘অধীনতা’ আর ‘মিত্রতা’ একসঙ্গে যায় না। সমান মর্যাদার দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়, মিত্রতা হয়; ‘অধীনতামূলক মিত্রতা’ হয় না।

তবে এই ‘অধীনতামূলক মিত্রতা’র নজির নেই, এমন নয়। এর ঐতিহাসিক নজির আছে।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হয়ে ১৭৯৮ সালে ভারতবর্ষের বড় লাট লর্ড ওয়েলেসলি ‘অধীনতামূলক মিত্রতা’ নামের নীতিটি আমদানি করেছিলেন।

এই নীতির আলোকে কোম্পানির সঙ্গে এই অঞ্চলের নবাব ও নিজামরা চুক্তি করে ইংরেজদের ‘মিত্র’ হয়েছিলেন। সেই চুক্তি ছিল কার্যত গোলাম ও মনিবের চুক্তি।

সেই চুক্তিতে বলা ছিল, ব্রিটিশরা ‘মিত্রদের’ (নবাব ও নিজামদের) রাজ্যগুলোর ভেতরকার বিদ্রোহ আর বাইরের আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেবে।

বিনিময়ে মিত্ররা তাঁদের ভূখণ্ডে ব্রিটিশ সেনাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সব ধরনের সংস্থান সরবরাহ করবেন।

চুক্তিতে বলা ছিল, মিত্ররা নিজেদের মনমতো কিছু করতে পারবেন না। প্রশাসন চালানোর বিষয়ে বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে তাঁদের ব্রিটিশরাজের পরামর্শ নিতে হবে, তাদের গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।

অন্যান্য শাসক বা অন্য কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে চুক্তি করতে হলে মিত্রদের ব্রিটিশদের অনুমতি নিতে হবে।

চুক্তিতে লেখা ছিল, ব্রিটিশরা মিত্রদের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না।

তবে যেটা লেখা ছিল না, তা হলো সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও ব্রিটিশদের স্বার্থের সঙ্গে সংঘাত হয়, এমন কিছু করলেই ব্রিটিশরাজ তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

২.

ভারত আর বাংলাদেশ দুই অকৃত্রিম বন্ধুদেশ; তাদের মধ্যে ঐতিহাসিক মিত্রতা আছে—এ কথা আমরা শুনে আসছি, পড়ে আসছি।

কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভারতের গণমাধ্যম থেকে শুরু করে দেশটির দায়িত্বশীল নেতাদের যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে, এই দুই দেশের মধ্যে কি আসলেই মিত্রতা ছিল?

যদি থাকে, তাহলে সেই মিত্রতা কি রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের মিত্রতা ছিল, নাকি হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপিশাসিত ভারত রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের শাসক দল আওয়ামী লীগের মিত্রতা ছিল?

যদি দুই দেশের মিত্রতা থেকেই থাকে, সেটি কি বড় লাট লর্ড ওয়েলেসলির আমদানি করা অধীনতামূলক মিত্রতা? অর্থাৎ রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, তা কি আদৌ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ছিল বা আছে?

দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত জনধারণা হলো, শেখ হাসিনার পতনকে ভারত ভালোভাবে নেয়নি, খারাপভাবে নিয়েছে। কিন্তু সেই খারাপভাবে নেওয়ার মাত্রা যে কতখানি গভীর, তা প্রতিনিয়ত স্পষ্ট হচ্ছে।

শেখ হাসিনাকে দিল্লি আশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, শেখ হাসিনা দিল্লির ‘মিত্র’। এরপর তারা বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করার মধ্য দিয়ে গোস্‌সা প্রকাশ করেছে।

এরপর আমদানি–রপ্তানি সীমিত করেছে। এরপর সংখ্যালঘু ইস্যুতে একের পর এক তারা ‘উদ্বেগ’, ‘উৎকণ্ঠা’, ‘ক্ষোভ’ ইত্যাদি প্রকাশ করেছে।

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভারতের বিজেপি সরকার এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা সব ধরনের রাখঢাকের পর্দা সরিয়ে দিয়েছে।

ভারতের বিজেপি সরকার তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ দেশটির বিজেপিবিরোধী নেতারাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির নিরিখেই বাংলাদেশকে দেখেন।

ভিয়েনা কনভেনশনের ২২ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করে আগরতলায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি।

মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েক শ লোক বিক্ষোভ করেছেন। বাংলাদেশিদের ত্রিপুরা রাজ্যের কোনো হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

অথচ আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় ছিল, তত দিন দলটির নেতাদের ভাষ্য শুনে বিশ্বাস করে এসেছি (এবং এখনো বিশ্বাস করতে চাই), ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু।

২০১৯ সালের ২৪ মে সে সময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বিবিসিকে বলেছিলেন, ‘বন্ধুত্ব থাকলে বন্ধু কখনো অপর বন্ধুর অনিষ্ট করে না। ভারত সরকার আমাদের বন্ধু। আমাদের কোনো অনিষ্ট করবে বলে মনে করি না।’

২০২২ সালের ২১ আগস্ট তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’

এই নেতারা কখনো বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক’; কখনো বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক’।

২০১৮ সালের মে মাসে সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমরা ভারতকে যেটা দিয়েছি, তারা তা সারা জীবন মনে রাখবে।’

১৫ বছরে মনে রাখার মতো যা যা ভারতকে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো নামমাত্র শুল্কের ট্রানজিট, যা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গসহ অন্যান্য রাজ্যের পণ্য বাংলাদেশের সড়ক এবং জলপথে ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয়ে যাচ্ছে।

আরও দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি। তিস্তার পানি না পেলেও দেওয়া হয়েছে ফেনী নদীর পানি।

শত শত কোটি টাকার ক্ষতি করে মোদির বন্ধু আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে। বাংলাদেশকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের উৎস বানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের বহু ছাপাখানা থাকার পরও ভারতের ছাপাখানাগুলোকে আমাদের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের আইটি খাতে ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো টিভি চ্যানেল ভারতে সম্প্রচারের সুযোগ না পেলেও ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অবাধ সম্প্রচার নিশ্চিত করা হয়েছে।

বছরজুড়ে সীমান্তে অসংখ্য বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে মরলেও ধারাবাহিকভাবে চুপ থাকা হয়েছে।

সর্বশেষ প্রহসনের নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর গত ২২ জানুয়ারি শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে বিজিবি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে লাশ নিয়ে কয়েক দিন পর ফেরত দেওয়ার পরও সরকারের দিক থেকে চুপ থাকা হয়েছে।

এ ধরনের ‘দেওয়া’র তালিকা শেষ করতে হলে দিন গড়িয়ে রাত হয়ে যাবে।

অকাতরে এসব ‘দেওয়া’র বিনিময়েই যে আওয়ামী লীগ তিনটি হাস্যকর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এত দিন টিকে ছিল, তা মোটামুটি সবাই জেনেছেন।

মেহেরপুর-১ (মুজিবনগর, সদর উপজেলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক দুই মেয়াদের সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান যেদিন এক সরকারি কর্মকর্তাকে টেলিফোনে বলেছিলেন, ‘আমি ভারতের প্রার্থী। আমি এখানে হারার জন্য আসিনি’, সেদিনই ‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির’ অর্থ পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল।

ভারতের বিজেপি সরকারের সঙ্গে যে শেখ হাসিনা সরকারের একটি অলিখিত ‘অধীনতামূলক মিত্রতা’র চুক্তি হয়েছিল, তা এখন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে ভারতের হস্তক্ষেপ এবং সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থন থেকে বোঝা যাচ্ছে।

লর্ড ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির আলোকে করা চুক্তিতে বলা ছিল, ব্রিটিশরা ‘মিত্রদের’ (নবাব ও নিজামদের) রাজ্যগুলোর ভেতরকার বিদ্রোহ আর বাইরের আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেবে; বিনিময়ে মিত্ররা তাঁদের ভূখণ্ডে ব্রিটিশ সেনাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সব ধরনের সংস্থান সরবরাহ করবেন।

আর এখন স্পষ্ট হচ্ছে, ‘মিত্র’ আওয়ামী সরকারকে ভারত এত দিন ‘ভেতরকার বিদ্রোহ আর বাইরের আক্রমণ থেকে সুরক্ষা’ দিয়েছে। বিনিময়ে তারা ভারতকে ‘সব ধরনের সংস্থান সরবরাহ’ করেছে।

ওয়েলেসলির চুক্তিতে বলা ছিল, মিত্ররা নিজেদের মনমতো কিছু করতে পারবেন না। প্রশাসন চালানোর বিষয়ে বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে তাঁদের ব্রিটিশরাজের পরামর্শ নিতে হবে।

হাসিনা সরকার ‘প্রশাসন চালানোর বিষয়ে বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে’ যে ভারতের ‘পরামর্শ’ মেনে এসেছে, তার সমর্থনে বহু প্রমাণ হাজির করা যাবে।

লর্ড ওয়েলেসলির চুক্তিতে ছিল, ব্রিটিশদের গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। অন্যান্য শাসক বা অন্য কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে চুক্তি করতে হলে মিত্রদের ব্রিটিশদের অনুমতি নিতে হবে।

কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার ‘মুরব্বি’ হিসেবে ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষীণতম সম্ভাবনাও নেই। এ কারণে ভারতকে আওয়ামী লীগ কিংবা কোনো নির্দিষ্ট একটি দলের সঙ্গে নয়, বরং রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল যথার্থই বলেছেন, ‘ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়।’ ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশ সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে দুই দেশের মিত্রতা চায়। ওয়েলেসলির ‘অধীনতামূলক মিত্রতা’ নীতি এখন এখানে কাজ করবে না।

‘অন্যান্য শাসক বা অন্য কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে’ চুক্তি করতে হাসিনা সরকারকে ভারতের অনুমতি নিতে হয়েছে কি না, তা হাসিনার চীন সফরের সময় সে সময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কথা মনে করলে বোঝা যাবে।

হাছান মাহমুদ ওই সময় বলেছিলেন, শেখ হাসিনার চীন সফরে ভারতের কোনো আপত্তি ছিল না।

ওয়েলেসলির চুক্তিতে লেখা ছিল, ব্রিটিশরা মিত্রদের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না।

তবে যেটা লেখা ছিল না, তা হলো সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও ব্রিটিশদের স্বার্থের সঙ্গে সংঘাত হয়, এমন কিছু করলেই ব্রিটিশরাজ তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

ভারতের এখনকার ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়া এবং উন্মাদের মতো রাগ-ক্ষোভ ঝাড়ার ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে, অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতা ভারতের সোনার ডিম পাড়া হাঁসটিকে আচমকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির পথে হেঁটে শেখ হাসিনার মাধ্যমে ভারতই বাংলাদেশের যাবতীয় নীতি ঠিক করত, এখন সেটি শেষ হয়ে গেছে।

এর আগে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানে প্রভাব হারিয়েছে ভারত। বাংলাদেশই ছিল ভারতের সর্বশেষ দাদাগিরিস্থল। গত ৫ আগস্ট সেটিও ছুটে গেছে।

এটি ভারত মেনে নিতে পারছে না। আবার সোনার ডিম পাড়া হাঁসটিকে ফেরতও আনতে পারছে না। ফলে তারা উন্মাদের মতো কূটনীতিবহির্ভূত এলোমেলো আচরণ করছে।

কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার ‘মুরব্বি’ হিসেবে ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষীণতম সম্ভাবনাও নেই।

এ কারণে ভারতকে আওয়ামী লীগ কিংবা কোনো নির্দিষ্ট একটি দলের সঙ্গে নয়, বরং রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল যথার্থই বলেছেন, ‘ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়।’

ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশ সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে দুই দেশের মিত্রতা চায়। ওয়েলেসলির ‘অধীনতামূলক মিত্রতা’ নীতি এখন এখানে কাজ করবে না।

সারফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক