
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় হিন্দু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ড ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত নির্যাতনেরই নমুনা’ বলে দাবি করেছে দেশটি।
শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ দাবি করেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে মর্মাহত।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, এ হত্যাকাণ্ডটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ধারাবাহিক ও পদ্ধতিগত নির্যাতনের একটি অংশ, যেখানে আগের এমন ঘটনার অপরাধীরাও শাস্তি না পেয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তিনি লিখেছেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আবারো অন্তর্বর্তী সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা যেন কোনো অজুহাত তৈরি না করে কিংবা কোনো প্রকার ভেদাভেদ না করে, সব সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে সতর্ক করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। তারপরে অবশ্য ঢাকার তরফ থেকে পালটা বিবৃতি দিয়ে ওয়াকফ ইস্যুতে সুর চড়াতে শোনা যায়। এর মধ্যেই ভবেশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামে নিজ বাসা থেকে ১৭ এপ্রিল অপহৃত হন ৫৮ বছর বয়সী ভবেশ চন্দ্র রায়। ওইদিন রাত ১০ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।