বোরকা পরে বালিকা মাদ্রাসায় যুবক, এরপর...
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়ায় বোরকা পরে সিয়াম হোসেন সিপু (১৯) নামের এক যুবক বালিকা মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। আজ সোমবার দুপুরে করটিয়ার রওজাতুল মহিলা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সিয়াম টাঙ্গাইল পৌরসভার ধুলেরচর মাদ্রাসা সংলগ্ন বৈল্যা এলাকার মো. ফরহাদ আলীর ছেলে। বর্তমানে ওই যুবক টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে করটিয়া রওজাতুল বালিকা মাদ্রাসার পরিচালক জানান, আজ সকালে বোরকা পরিহিত এক নারী বালিকা মাদ্রাসায় প্রবেশ করে। পরে তার কণ্ঠ শুনে ও আচরণে সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে বোরকার উপরের অংশ খুলে চেক করা হলে সে যুবক প্রমাণিত হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসা থেকে তাকে বের করে গণপিটুনি দেয়। তখন উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তাকে দ্রুত করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও উৎসুক জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। সেখান থেকে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শাহীন মেম্বার ও লতিফ মেম্বারে মাধ্যমে জেনেছি। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদে উৎসুক জনতা ভিড় জমে গেলে দ্রুত পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়।’
আটক সিয়ামের বাবা মো. ফরহাদ আলী বলেন, ‘আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মধ্যেই নানা কাণ্ড ঘটায়। তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আজ সকালে সিয়াম নানীর বাসায় যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়। তারপর পুলিশের কাছে খবর পাই তাকে করটিয়া থেকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিয়ামের মানসিক সমস্যার কারণে এ বছর সে বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও দিতে পারেনি। তাকে নিয়ে প্রায়ই আমরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।’
টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ রাব্বানী জানান, ‘খবর পেয়ে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্তের পর ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’