Image description
চিকিৎসার খরচে সরকারি অংশ কমছে, বাড়ছে ব্যক্তির ব্যয়
স্বাস্থ্য খাতে বছরে ব্যয় যদি হয় ১০০ টাকা, সরকার খরচ করে ২৩ টাকা। আর ব্যক্তি নিজে খরচ করে ৬৯ টাকা। ব্যক্তির এই খরচ বছর বছর বাড়ছে। এতে অনেকেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ছেন। অনেক পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা খাতে ব্যক্তির ব্যয় বৃদ্ধির এই হিসাব দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস ১৯৯৭–২০২০’ প্রতিবেদনে। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই প্রতিবেদনের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থার প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সরকারের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট। স্বাস্থ্য খাতের আর্থিক বিবরণ নিয়ে এই প্রতিবেদনে ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে সরকারের অংশ ছিল যথাক্রমে ২৮, ২৬ ও ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ সরকারের অংশ ক্রমান্বয়ে কমছে। আবার ওই বছরগুলোতে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ছিল ৬৪, ৬৬ ও ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ চিকিৎসা করাতে গিয়ে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় বাড়ছে। অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের ঢাকা কার্যালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মায়া ভ্যানডেনেন্ট বলেন, নিজস্ব ব্যয় বৃদ্ধির কারণে অনেকে বিপর্যয়মূলক স্বাস্থ্য ব্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। এর ফলে অনেকে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা বলেন, ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় বেশি হলে তা সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে বাধা। শুধু অর্থায়নই সমস্যার সমাধান নয়। অর্থের যথাযথ ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এই প্রতিবেদনের তথ্য সরকারর নীতি, কৌশল প্রণয়নে এবং সেবার মান বাড়াতে কাজে লাগবে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বদলাতে পর্যরেক্ষণ ও নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।