গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবিস্মরণীয় নাম নূর হোসেন : খালেদা
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন এক অবিস্মরণীয় নাম।
‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন এ কথা বলেন। এতে স্বাক্ষর করেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে নূর হোসেন রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে। গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এ যুবকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে স্বৈরশাসকের বন্দুক গর্জে উঠেছিল। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নূর হোসেন। নূর হোসেনের সে অবদান বৃথা যায়নি। তার রক্তের ধারা বেয়েই ১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।
খালেদা জিয়া বলেন, যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন নূর হোসেন, তার সে স্বপ্ন আজও পুরোপুরি সফল হয়নি। ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র চলছে এ দেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেওয়ার, একতরফা নির্বাচন করে একদলীয় সরকারব্যবস্থা পুনরায় চালু করার গোপন চক্রান্ত এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে কোনো মূল্যে স্বৈরাচারী শক্তির এ চক্রান্ত রুখতে হবে।
বিএনপি প্রধান বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নূর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
খালেদা জিয়া দল-মত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।