আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন সমন্বয় উপকমিটির আহ্বায়ক মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, প্রার্থীদের সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার শুধু আয়কর কর্তৃপক্ষের (এনবিআর)। এই অধিকার আর কারও নেই। কেউ যদি বিষয়টি নিয়ে কথা বলে, সেটি অমূলক ও অনৈতিক।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারকের সঙ্গে দেখা করে আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন সমন্বয় উপকমিটি। পরে মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রার্থীদের হলফনামা সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তা কমিশনের বিষয়। এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আইন অনুযায়ী সেগুলো বিশ্লেষণের দায়িত্ব কমিশনের।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা প্রার্থীদের সম্পদ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছেন, তাঁরাও যেন আয়কর বিবরণী প্রকাশ করেন। আমরাও দেখতে চাই এই পাঁচ বছরে কতজন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন।’
কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় সম্পর্কে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য ২৯ ডিসেম্বর বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যে কর্মসূচি দিয়েছেন, তা নির্বাচন আইনের পরিপন্থী। এ ধরনের কর্মসূচি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, বর্তমান সহিংস পরিস্থিতিতে বেআইনি অস্ত্র মানুষের হাতে পৌঁছে গেছে। সরকারের পাশাপাশি কমিশনও যেন এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। এই দুটি বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে তিনি দাবি করেন। নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে তিনি জানান।
আওয়ামী লীগের দলটিতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন এম এ সাত্তার, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, সীমা করিম ও জাকিয়া সুলতানা।
সম্প্রতি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের হলফনামায় উল্লেখ করা তথ্যের ভিত্তিতে নানা অসংগতি উল্লেখ করে গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে।
পাঠক মন্তব্য
OK......
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন