গেল ফেব্রুয়ারির শুরুর দিককার কথা। রাজধানীর মিরপুরের প্যারিস (বাইশটেকি) খালের দখলদার আর আবর্জনা সরিয়ে আগের রূপে ফেরানোর ‘নিশ্চয়তা’ দিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। বলেছিলেন, খালের পানিপ্রবাহ ফিরলে সুফল পাবে এলাকার মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় সবুজ-লাল পোশাকে বিডি ক্লিনের ১ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে প্যারিস খাল পরিচ্ছন্নতায় নামেন মেয়র। সিটি মেয়র আতিকের এমন আয়োজনে চারদিক থেকে আসে বাহবা! তবে মেয়রের সেই আলোকিত আয়োজনের পেছনে যে আঁধার লুকানো ছিল, মিরপুরের মানুষ টের পেল গেল ২৭ মে ঘর থেকে বেরিয়েই।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে বৃষ্টির তোড়ে ভেসে গেছে মেয়রের ‘প্রতিশ্রুতি’। বৃষ্টির পানি প্যারিস খাল দিয়ে প্রবাহিত হতে না পেরে থইথই করে ওই এলাকার আশপাশ। ওই দিন শুধু প্যারিসই নয়, খাল থেকে ভাগাড়ে রূপান্তর হওয়া রাজধানীর অর্ধশত নামসর্বস্ব জলাধার ভুগিয়েছে নগরবাসীকে। পাশাপাশি খাল আর নদীর সঙ্গে যুক্ত পানিপ্রবাহের জন্য তৈরি ড্রেনও আবর্জনার কারণে উপচে পড়ে। অথচ গেল চার বছরে সিটি করপোরেশন এসব খাল আর ড্রেন উদ্ধার, সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণের পেছনে খরচা করেছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এত এত টাকা খরচ করে সিটি করপোরেশন ‘পর্বতের মূষিক প্রসব’ করিয়েছে।
আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা ‘সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক’ আর আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এবারের বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে। নগরবিদরা বলছেন, গত পাঁচ দশকে রাজধানীর অর্ধেকের বেশি পানির আধার হারিয়ে গেছে। এখন যে খাল আর ড্রেন আছে, তা-ও দখল আর আবর্জনায় ভরা। ফলে অতিবৃষ্টি হলে নগরবাসীর জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে রেহাই নেই।
রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ঢাকায় ৭৭ খালের মাধ্যমে ৩২৬ কিলোমিটারে পানির বিস্তার ছিল। এখন খালের সংখ্যা ৪৪-এ নেমে পানির বিস্তার ২০৬ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তথ্যে ঢাকায় খাল আছে ৫২টি। ১৯২৪ সালে ব্রিটিশ টপোগ্রাফি ম্যাপে আদি ঢাকায় পুকুর ছিল ১২০টি; এখন অস্তিত্ব আছে ২৪টির। বিস্ময়কর হলেও ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে খাল আর পুকুরের কোনো হিসাবই নেই। তবে তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিবলী সাদিক।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে ৮৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ২৬টি খাল, ৩৮৫ কিলোমিটার স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন ও ১০টি বক্স-কালভার্ট দুই সিটি করপোরেশনকে দিয়ে দেয় ঢাকা ওয়াসা। এর বাইরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯৫০ কিলোমিটার ড্রেন ও ডিএনসিসির ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। ওয়াসা থেকে খাল পেয়ে ওই সময় দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকাকে ভেনিস আর উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম সব খাল উদ্ধার করে পাড় বাঁধাই, সবুজায়ন আর ওয়াকওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দেন। তবে চার বছরেও দুই মেয়র তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি।
গত ২৭ মে দুপুরে সরেজমিন মিরপুর ১১ নম্বরের পলাশনগরে প্যারিস খালে গিয়ে দেখা যায়, ভাগাড়ের কারণে ওই খালে পানিপ্রবাহ নেই। বৃষ্টির পানি খাল উপচে আশপাশের নিচু এলাকা ডুবে গেছে।
খালপাড়ের ষাটোর্ধ্ব মোজাফফর মিয়া সমকালকে বলেন, ‘১৯৮০ সালে যখন ঢাকায় আসি, তখন এ অঞ্চলে কোনো ভবন ছিল না। খালটিতে বর্ষায় নৌকা চলত। এখন যা অবস্থা, খাল আর ড্রেন পার্থক্য করার উপায় নেই।’
ফেব্রুয়ারিতে মেয়র আতিক প্যারিস খাল পরিষ্কার করে খালের প্রাণ ফিরেছে বলে যাওয়ার কিছুদিন পরে এ অবস্থা কেন– প্রশ্নে মোজাফফর বলেন, ‘মেয়র এসে বাউনিয়া খালের ওই দিকে পরিষ্কার করে গেছেন; এদিকে আর আসেন নাই। এখানে আগে যা ছিল, এখনও তা-ই আছে।’
ওই দিন পল্লবীর রূপনগর খালে গিয়ে দেখা যায়, রূপনগর ব্রিজের নিচ দিয়ে খালটিতে কয়েক স্তরে প্লাস্টিকের বর্জ্য জমে আছে। এর ওপরেই জন্ম নিয়েছে ঘাস, লতাপাতা, ছোট গাছ। এ খালে সংযোগ দেওয়া কয়েকটি ড্রেনেরও ছিল একই অবস্থা। পল্লবীর দ্বিগুণ খাল, সাংবাদিক কলোনি খাল, বাউনিয়া খাল, শেওড়াপাড়া দিয়ে প্রবাহিত কল্যাণপুর ‘ঙ’, গাবতলীর কল্যাণপুর মূল খালও দখল আর বর্জ্যে ভরা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মেয়র আতিক দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে মোহাম্মদপুর রামচন্দ্রপুর লাউতলা খালটি পরিষ্কার করেন। তবে গত ২৭ মে খাল ঘুরে দেখা যায়, সেটি আবর্জনায় আবার ভরে গেছে। কাঁটাসুর খালেরও একই হাল। মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার খালটি দখল আর ভরাটে প্রশস্ততা কমে গেছে।
ধানমন্ডির বাসিন্দা সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন স্বপন বলেন, ‘প্রভাবশালীরা খাল দখল করে ভবন বানিয়েছে। খালের ওপরেই ব্যবসা করছে। ফলে খাল দিয়ে পানি আর যায় না। খাল উদ্ধার করে নিয়মিত বর্জ্য পরিষ্কার করলে এলাকায় আর জলাবদ্ধতা হতো না।’
বাসাবো এলাকার ডিএসসিসির মাণ্ডা খাল ঘুরে দেখা যায়, মাণ্ডা ব্রিজ থেকে শুরু করে কদমতলী ব্রিজ পর্যন্ত খালটি বর্জ্যে ভরা। নন্দীপাড়া থেকে ত্রিমোহনী ব্রিজ পর্যন্ত জিরানী খালটিরও একই অবস্থা। খিলগাঁও বাসাবো খালটি যেন ভাগাড়। যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের খাল আর কুতুবখালী খাল আশপাশের বাজারের ময়লায় ভর্তি। শনির আখড়া থেকে জুরাইনের ভেতরে শ্যামপুর খালটির জিয়া সরণি ব্রিজের আগে কয়েকশ মিটার বর্জ্যের দখলে। ধোলাইখালেরও একই অবস্থা।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের (বিআইপি) সভাপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান সমকালকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন বর্ষার আগে খাল আর ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করার পরও সেগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে এগুলো নিরবচ্ছিন্ন পরিষ্কার করা দরকার ছিল। এর সঙ্গে খালে যেন ময়লা ফেলা না হয়, এ জন্য স্থানীয়দের সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া যেত। এসব না হওয়ায় মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।’
মেয়রদের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দিনের পর দিন অপরিকল্পিত নগর গড়েছি। এ বাস্তবতায় দুই মেয়রের বক্তব্যে আগামী বর্ষায় জলাবদ্ধতা থাকবে না– এটি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। তাদের বাস্তবতা মেনে নিয়ে সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পিত কাজ করা উচিত। তা না হলে প্রতিবছরে শুধু টাকা খরচ হবে, কোনো লাভ হবে না।’
চার বছরে খাল-নর্দমায় হাজার কোটি টাকা
ওয়াসার কাছ থেকে সিটি করপোরেশন খাল, নর্দমা আর বক্স-কালভার্ট বুঝে নেওয়ার পর গত চার বছরে এসব পরিষ্কার করতে খরচ হয়েছে হাজার কোটি টাকা। ডিএনসিসি জলাবদ্ধতা নিরসনে তিন বছরে খাল ও স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কারকরণে খরচ করেছে ৩২ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা; কচুরিপানা, আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যায় তিন বছরে খরচ হয়েছে দেড় কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে আরও দেড় কোটি টাকা; খালের উন্নয়ন সীমানা নির্ধারণ ও রক্ষণাবেক্ষণে তিন বছরে খরচ হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৮ কোটি টাকা; লেক মেরামত ও খননে তিন বছরে খরচ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা; পাম্প হাউস মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে তিন বছরে খরচ হয়েছে ১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ড্রেন ক্লিনিংয়ে তিন বছরে খরচ হয়েছে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। এ ছাড়া সড়ক, ফুটপাত আর ড্রেন নির্মাণে একত্রে তিন বছরে ৫১৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৩৪ কোটি টাকা।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিবেশ, জলবায়ু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৫ কোটি ৯৫ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৯ কোটি ৮২ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৯ কোটি ৯ লাখ; মোট ২৫২ কোটি ১১ লাখ টাকার কাজ হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাধ্যমে নর্দমা, খাল আর বক্স-কালভার্ট পরিষ্কারে চার বছরে ৯৩ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এ ছাড়া আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে পানিপ্রবাহ সচল রাখার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে কালুনগর স্লুইসগেট থেকে চান্দিরঘাট পর্যন্ত ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পলি অপসারণ, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কাজ চলছে। এদিকে, ডিএসসিসি কালুনগর, জিরানী, মাণ্ডা ও শ্যামপুর খালের জন্য ৮৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই সৌন্দর্যবর্ধনের আগে বর্জ্য অপসারণ শুরু করেছে করপোরেশন।
জলাবদ্ধতায় ভোগাবে হাতিরঝিল আর নায়েম রোড
গত ১০ জুলাই ডিএসসিসিতে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তঃসংস্থার সমন্বয় সভা হয়। এতে হাতিরঝিলে জলাশয় ভরাটের ফলে ধানমন্ডি, গ্রিন রোড, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, শুক্রাবাদ, সোবহানবাগ এলাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা হয়েছে। এতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সমীক্ষা ও পরিকল্পনা ছাড়াই হাতিরঝিলের পেছনে স্ক্রিন নির্মাণের সমালোচনা করা হয়। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বৃষ্টির সময় রাজউকের নিয়ন্ত্রণাধীন স্ক্রিনের যন্ত্র অচল আর স্লুইসগেট বন্ধ থাকার কারণেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ ছাড়া নিউমার্কেট নায়েম রোডসংলগ্ন বিজিবির অভ্যন্তরের তিনটি ড্রেনের দুটি স্থায়ীভাবে বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতার কারণ উল্লেখ করা হয়। গত এক বছরেও এ দুই সমস্যার সমাধান হয়নি। এ ছাড়া গত ২৬ সেপ্টেম্বর হাতিরঝিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকে করপোরেশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি পাঠানো হলেও এখনও সেই সভা হয়নি।
আন্তঃসংস্থার সমন্বয় সভায় রাজউকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাব্বির বিন তাহের বলেন, ‘হাতিরঝিলের ডাইভারশন লাইনে পলি-মাটি জমে পাইপের কার্যকর ক্ষমতা অর্ধেক হয়ে যায়। স্ক্রিনিংগুলো ছাঁকনি হিসেবে ব্যবহার হয়; কিন্তু এখানে প্রচুর আবর্জনা, লেপ-তোশক এমনকি মরা কুকুরও পাওয়া যায়।’
এসব বিষয়ে ডিএসসিসির পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের সমকালকে বলেন, ‘নিউমার্কেটের নায়েম রোডের জলাবদ্ধতা নিরসনের আরেকটি ড্রেন নির্মাণে দরপত্র প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসির সব খালের সঙ্গে ড্রেন সংস্কার ও পরিষ্কার করা হচ্ছে।’
রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ সমকালকে বলেন, ‘কয়েক দশকে রাজধানীতে খাল, নদী আর পুকুর হারিয়ে গেছে। এতে করে পানির আধার কমেছে। আবার যা আছে, সেসব পানির আধারও আবর্জনায় ভরা। এসব জলাধার উদ্ধার করে পরিষ্কার না করলে বর্ষা হলেই আমাদের ডুবতে হবে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী মীর খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, ‘খাল পরিষ্কার করার পরও মানুষ খালে ময়লা ফেলছে। বিলাসবহুল ভবনের ময়লাও খালে যাচ্ছে। আমরা সচেতনতা কার্যক্রম চালালেও এসব থামছে না। এখন খালের ময়লা ফেলা বন্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। খালের পাড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।’
এ ব্যাপারে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে সমকাল। একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও দুই মেয়রের কেউই ধরেননি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন