Image description
‘লাইফলাইন’ মিলে গেছে হাতুরাসিংহের!
আইসিসির সভায় যোগ দিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ আর প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী দুবাইতে থাকায় তাঁদের পক্ষে বাংলাদেশ দলকে স্বাগত জানাতে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তবে পরিচালকদের সিংহ ভাগই গত রাতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে দেশে ফেরা ক্রিকেটারদের বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এঁদেরই একজন হেড কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ছুড়ে দিয়েছেন পাল্টা প্রশ্ন, ‘আপনারা কি কখনো শুনেছেন যে জেতার পর কোনো দল তাদের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চায়?’ অনেকটা বিরূপ পরিস্থিতিতেও দলের পারফরম্যান্সের জোরে এই শ্রীলঙ্কান কোচের টিকে যাওয়ার সম্ভাবনার সলতে যেন জ্বলে উঠেছে হঠাৎই। গত ২১ আগস্ট ফারুকের সভাপতির চেয়ারে বসার দিন রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হয়েছিল প্রথম টেস্ট। এর আগে থেকেই তিনি বলে আসছিলেন যে দায়িত্ব পেলে হাতুরাসিংহেকে রাখার কোনো কারণ দেখেন না। সভাপতি হওয়ার পর সেই অবস্থান থেকে সরে না আসা ফারুক অবশ্য নানা রকম সীমাবদ্ধতার কথাও বলেছিলেন। তাঁর অধীনে পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা বসতে বসতে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই সভাতেই এই কোচের বিষয়ে পরিচালকদের মতামত চাওয়া হয়, যা হাতুরাসিংহেকে দ্রুত বিদায় করার পক্ষে যায়নি বলেই জানালেন ওই সভায় উপস্থিত এক পরিচালক, ‘বেশির ভাগ পরিচালক মত দিয়েছেন যে এখনই বিদায় করতে চাইলে বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। সবাই আরো সময় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সভাপতিকে।’ সেই সভার পর পাকিস্তানকে ‘ক্লিন সুইপ’ করা দলের কোচ নিজেও ঢাকায় ফিরে সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে। পাকিস্তান থেকে নানা সূত্রে পাওয়া কিছু খবর সম্ভাব্য সে আলোচনাকে উষ্ণও করে তুলতে পারে বলে জানালেন এক পরিচালক, ‘এমনিতেও তাঁর চুক্তির মেয়াদ খুব বেশি বাকি নেই। হুট করে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম; কিন্তু ভালো বিকল্প পেতে হবে তো? তা ছাড়া হাতুরাসিংহে যদি শুধরে যান? তেমন কিছু খবরও আমরা পেয়েছি। তাঁকে নাকি আগের মতো আর স্বেচ্ছাচারী বলে মনে হচ্ছে না। তা ছাড়া পাকিস্তান থেকে যে অর্জন নিয়ে দল ফিরছে, এ রকম সাফল্য আমরা আগে কখনোই পাইনি। সময়টি তাই উপভোগের এবং আরো সামনে তাকানোর। কোনো সিদ্ধান্তে যদি যেতেও হয়, সেটি ভারত সফর শেষ হওয়ার আগে অন্তত নয়।’