Image description
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অকার্যকর করতে বড়দিনে হামলা করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
ইউক্রেনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কয়েক লাখ লোক যখন বড়দিনের উৎসব কাটাচ্ছে। আর সেই উৎসবের দিনেও রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইচ্ছে করেই বড়দিনের উৎসবের দিন অত্যন্ত অমানবিক হামলা করেছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর। তিনি বলেন, ‘আজ, পুতিন ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণের জন্য বড়দিনকে বেছে নিয়েছেন।এর চেয়ে অমানবিক আর কী হতে পারে? ব্যালিস্টিকসহ ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও শতাধিক ড্রোন হামলা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য আমাদের জ্বালানি অবকাঠামো। তারা ইউক্রেনে ব্ল্যাকআউটের জন্য যুদ্ধ করছে।’ জেলেনস্কি আরও জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ৫০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে হামলার কারণে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। কর্মীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ করছেন। এই বছর ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থায় এটি ১৩তম বৃহৎ মাপের হামলা। শীতকালে ইউক্রেনের পাওয়ার গ্রিডকে লক্ষ্য করে রাশিয়ার অভিযানের সর্বশেষতম। তাদের কাজের প্রশংসা করে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বর্তমানে যারা দেশের জন্য কাজ করছেন, যারা যুদ্ধের দায়িত্ব পালন করছেন, যারা আমাদের আকাশ রক্ষা করছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’ এসময় তিনি সবাইকে সর্বাধিক চেষ্টা করার আহ্বান জানিয়েছে বলেন, ‘রাশিয়ার অপশক্তি ইউক্রেনের মনোবল ভাঙতে পারবে না এবং বড়দিনের আনন্দ মাটি করতে পারবে না।’ এদিকে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনের হামলায় এবং ককেশাসের সীমান্ত অঞ্চল কুরস্ক এবং উত্তর ওসেটিয়াতে একটি ড্রোন পড়ে যাওয়ায় পাঁচজন মারা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলাকে আক্রোশজনক বলে অভিহিত করেছেন। এই হামলা শীতকালীন পরিস্থিতিতে তাপ এবং বিদ্যুতের জন্য মানুষের জরুরি সেবার ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। তিনি একটি বিবৃতিতে যোগ করেছেন, আমি প্রতিরক্ষা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে তার প্রতিরক্ষায় ইউক্রেনের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাবে। ইউক্রেন বিমান হামলা প্রতিহত করতে এবং স্থলে সৈন্যদের পিছনে ঠেলে মিত্রদের আরও সাহায্য পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে। এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই হামলার নিন্দা করেছেন।