Image description
অজ্ঞাত রোগের সংক্রামন, ডিআর কঙ্গোতে কমপক্ষে ৭৯ মৃত্যু
দক্ষিণ-পশ্চিম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ সৃষ্টিকারী এক অজানা রোগে অন্তত ৭৯ জন মারা গেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ খবর নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগ বয়স তাদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। অজানা এ রোগে সবাই জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি- কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং রক্তাল্পতার মতো উপসর্গে ভুগছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ রোগে ইতিমধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি লোক সংক্রামিত হয়েছে। রোগটির বিষয়ে জানতে বিশেষজ্ঞ দলগুলোকে কোয়াঙ্গোর পাঞ্জি অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে, সেখানে এ রোগে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সুশীল সমাজের একজন নেতা সেফোরিয়েন মানজানজা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, ‘পাঞ্জি একটি গ্রামীণ অঞ্চল। ফলে সেখানে ওষুধ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আফ্রিকা অঞ্চলের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, তারা ল্যাবে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহে প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি দল পাঠিয়েছেন।’ কর্তৃপক্ষ জনগণকে শান্ত ও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছে। জনগণকে সাবান দিয়ে হাত ধুতে, জনসমাগম এড়াতে এবং স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া মৃতদের স্পর্শ করা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। স্থানীয় এক এমপি টপ কঙ্গো রেডিওকে বলেছেন, ‘গত ১০ থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৬৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং মারা গিয়েছিলেন।’ তিনি আরো জানান, ‘পাঞ্জি হাসপাতালে এই মহামারি মোকাবেলায় ওষুধের অভাব রয়েছে। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার।’ মধ্য আফ্রিকার দেশটি এমপক্সের মারাত্মক প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে মোকাবিলা করছে। এই বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে দেশটি প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ সংক্রমণ রেকর্ড করেছে। ডিআর কঙ্গো বছরের পর বছর ধরে ইবোলার সঙ্গেও লড়াই করছে। সূত্র : বিবিসি