Image description
ইসরায়েলকে সহায়তা করায় বিক্ষুব্ধ জর্ডানের নাগরিকরা
ইরানের মাটি থেকে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে ৩০০-এর বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। তবে এগুলোর বেশিরভাগ ইসরায়েলে পৌঁছার আগেই ভূপাতিত করে বিভিন্ন শক্তি। এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পাশাপাশি বড় ভূমিকা ছিল জর্ডানের। এমন ঘটনায় ক্ষেপেছে দেশটির জনগণ। ডয়চে ভেলের খবর অনুসারে, ইসরায়েলকে সহযোগিতার পর জর্ডানের সাধারণ নাগরিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তারা তাদের সরকারকে বেঈমান উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। জর্ডানিরা বলছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করে তাদের সরকার বেঈমানি করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় নির্যাতিত মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কয়েক মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা নাগরিকরা খুবই মর্মাহত হয়েছেন। খবরে আরও বলা হয়েছে, জর্ডানের বাদশা ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য তার নাগরিকদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছেন’- এমন একটি পোস্ট এক্সে (আগের নাম টুইটার) ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। পোস্টটির সঙ্গে জর্ডানের কারাক শহরে ড্রোন ধ্বংসাবশেষের একটি ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে। শহরটি ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এ পোস্টটি ব্যাপকহারে শেয়ারের পাশাপাশি এতে অনেকে মন্তব্য করছেন। সেখানে জর্ডান সরকারের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘নিজেদের শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ফেলে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে জর্ডান।’ ওই প্রতিবেদনে বেশ কয়েকজন জর্ডানির মন্তব্য তুলে ধরা হয়। তাতে হুসেইন নামে একজন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বলেন, ‘জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত৷ এখানকার অনেকেই এটা মেনে নিচ্ছে না। আমরা ইরানকে সমর্থন করি না। গাজায় যা ঘটছে তারও নিন্দা জানাই। তবে গাজায় হামলা বাধাগ্রস্ত করে এমন যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে একাত্মতা জানাই।’ মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি। এদিকে আত্মরক্ষার জন্য ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করেছে জর্ডান। জর্ডান সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, এগুলো আমাদের জনগণ ও জনবহুল এলাকার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে