বগুড়ায় প্রকাশ্যে যুবলীগ নেতাকে গলাকেটে হত্যা
বগুড়া শহরের আকাশতারা এলাকায় দিনেদুপুরে যুবলীগ নেতা আবু তালেবকে (৩০) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে আকাশতারা এলাকায় তার নিজ বাড়ির সন্নিকটে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
নিহত আবু তালেব বগুড়া শহর যুবলীগের সাবগ্রাম বন্দর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি আকাশতারা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আবু তালেব সাবগ্রাম বাজার থেকে চাল কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কয়েক শ' গজ দূরে একদল দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে। এরপর তাকে টেনেহেঁচড়ে রাস্তার পাশে একটি কচুক্ষেতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
আকাশতারা এলাকায় দিনের বেলা এই হত্যাকাণ্ডের সময় বগুড়া-গাবতলী সড়ক দিয়ে অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন চলাচল করলেও কেউ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়নি।
দুই দিন আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আকাশতারা এলাকাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সন্ত্রাসী শাকিল নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে।
নিহত আবু তালেব বগুড়া শহরের হকার্স মার্কেটে ব্যাগের দোকান করতেন। এছাড়া তিনি এলাকায় বালু ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিলেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৫ সালে আবু তালেবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু যুবলীগ নেতা মানিক খুন হন। সেই সময় মানিক হত্যা মামলার আসামি আল আমিন নামের এক যুবককে ধরে মারধর করে পা ভেঙে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন আবু তালেব। সেই আল আমিন ও তার সহযোগী রাফি শুক্রবারে সংঘটিত শাকিল হত্যা মামলার আসামি হয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। আল আমিনের সহযোগী রাফিও যুবলীগ নেতা মানিক হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
তবে আবু তালেবকে হত্যার পেছনে সুনির্দিষ্ট কোন কারণ তার প্রতিবেশী বা পুলিশ বলতে পারছেন না। আবু তালেব হত্যাকাণ্ডের পর বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেছেন।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত করা যায়নি। দিনের বেলা এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ায় অনেকেই খুনিদের দেখেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।
আবু তালেবের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।