নিহন হিডানকিওকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন
২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ায় নিহন হিডানকিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি বিজয়ী ও অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রধান উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য নিহন হিডানকিওকে অভিনন্দন। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তির প্রতি আপনার অটল প্রতিশ্রুতি আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা।’
তিনি আরো বলেন, ‘হিরোশিমা এবং নাগাসাকির ভয়াবহতা যেন কখনোই ভোলা যায় না তা নিশ্চিত করার জন্য আপনার ওকালতি এবং অক্লান্ত প্রচেষ্টা নিরাপদ বিশ্বের জন্য আমাদের অনুসন্ধানে গভীরভাবে প্রতিধ্বনি হয়।
আপনার সাহস এবং উৎসর্গের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আবারো উষ্ণ অভিনন্দন।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে নিহন হিডানকিও। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
এটি হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা হামলায় বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলন, যা ‘হিবাকুশা’ নামে পরিচিত। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, নিহন হিডানকিও পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টার জন্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যর মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার যে মানবতাবিরোধী কাজ, তা তুলে ধরার জন্য এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে জাপানে পারমাণবিক বোমা হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলে। এর সদস্যরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিপর্যয়মূলক মানবিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।
ধীরে ধীরে সংস্থাটির আন্দোলন একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক আদর্শ গড়ে ওঠে। সংস্থাটি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে।