অস্ত্র জমা দেননি সাবেক এমপিপুত্র ফারাজ করিম
নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক প্রতাপশালী সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিমের ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার রাতে দেশ রুপান্তরকে এই তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আগ্নেয়াস্ত্র শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মাহমুদ।
জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সাবেক এমপিপুত্র ফারাজ করিমসহ ৬৭ জন অস্ত্র জমা দেয়নি। ২০০৯ সাল থেকে ৫ আগস্ট, ২০২৪ পর্যন্ত ১৫ বছরে জেলার ১৬টি থানায় ৩৮৩টি অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এরমধ্যে ৩১৬টি অস্ত্র জমা পড়েছে।
সূত্রটি জানায়, রাউজানের সাবেক এমপিপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী ২০২৩ সালে তিন মাসের ব্যবধানে একটি পিস্তল এবং একটি রাইফেলের লাইসেন্স নেন। এর মধ্যে ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই তার নামে একটি পিস্তলের লাইসেন্স (নং ৪৩৭) ইস্যু করা হয়। এর আগে একই বছরের ৫ এপ্রিল ইস্যু করা হয়েছে আরেকটি রাইফেল; যার লাইসেন্স (নং ২৯)। কিন্তু এই দুটি অস্ত্রের কোনোটিই তিনি সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেননি।
এদিকে জেলার ১৬টি থানার মধ্যে তিনটি থানায় সম্পূর্ণ অস্ত্র জমা পড়েছে। সেগুলো হলো পটিয়া, জোরারগঞ্জ ও সন্দ্বীপ। বাকি ১৩ থানা থেকে জমা না পড়া ৬৭টি অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এক নলা বন্দুক ৪০টি, শটগান ১২টি, রাইফেল ৬টি, পিস্তল ৪টি, দোনলা বন্দুক ৩টি এবং এসবিবিএল বন্দুক ২টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার ১৩ থানার সবচেয়ে বেশি অস্ত্র জমা দেয়নি বাঁশখালী থানার লাইসেন্সধারীরা। এই থানায় জমা পড়েনি ১৩টি অস্ত্র। এরপরেই আছে লোহাগাড়া থানা। এই থানায় জমা দেয়নি ১১টি অস্ত্র। বাকি ১১টি থানার মধ্যে ভুজপুর, আনোয়ারা, মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড থানায় একটি করে, চন্দনাইশে ৩টি, বোয়ালখালীতে ২টি, রাউজানে ৭টি, রাংগুনিয়ায় ১০টি, হাটহাজারীতে ৫টি, সাতকানিয়ায় ৮টি এবং ফটিকছড়ি থানায় ৪টিসহ মোট ৬৭টি অস্ত্র জমা দেননি সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সধারীরা।
এই ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান বলেন, 'নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা বৈধ অস্ত্র জমা দেয়নি শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।'