নজিরবিহীন অনিয়মের মধ্যে শেষ হওয়া চতুর্থ ধাপে ৯১ উপজেলার নির্বাচন শেষে এখন চলছে গণনা। আসতে শুরু করেছে বেসরকারি ফলাফল।
রবিবার বোমা হামলা, সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই আর পোলিং এজেন্টদের মারধরসহ নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সহিংসতায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, কুমিল্লার বরুড়া, ঝালকাঠির রাজাপুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউডায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগে ১০টি উপজেলায় ভোট বর্জনের ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ ৯১ উপজেলার ৭৪টির চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ৪৫টি, বিএনপি ১৯টি, জামায়াত ৫টি, জাতীয় পার্টি ১টি এবং অন্যান্য ৪টিতে জয়লাভ করেছে।
আওয়ামী লীগ:
মো. তরিকুজ্জামান (পটুয়াখালী সদর), আবদুল হালিম (টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর), ফারুক আহমেদ (ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট), হাফিজুর রহমান (বরিশালের উজিরপুর)।
এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর), সুলতান হোসেন খান (ঝালকাঠি সদর), শহীদুল আলম (বাগেরহাটের মোল্লারহাট), আমির হোসেন (যশোরের কেশবপুর), সফিকুল আলম আজাদ (হবিগঞ্জের লাখাই), আলমগীর চৌধুরী (হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ), গোলাম ফারুক (বরিশালের বানারীপাড়া), তৌহিদুল হক (চট্টগ্রামের আনোয়ারা), এহসানুল হায়দার (চট্টগ্রামের রাউজান), মোর্শেদ আলী (চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া)।
রণধীর কুমার দেব (মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল), রফিকুর রহমান (মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ), আশফাক আহমেদ (সিলেট সদর), মো. মনিরুজ্জামান (ঝালকাঠির রাজাপুর), মোজাহারুল ইসলাম (টাঙ্গাইলের কালিহাতি), আবদুস সালাম (কুমিল্লার মেঘনা), আশফাকুর রহমান (মঠবাড়িয়া পিরোজপুর), আতাউল হক (চট্টগ্রামের বোয়ালখালী)।
ফরহাদ হোসেন (দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ), মুজিবুর রহমান (পিরোজপুর সদর), সরোয়ার আলম (টাঙ্গাইল মধুপুর), ইউনুছ লস্কর (ঝালকাঠির নলছিটি), আবদুল ওহাব আইন উদ্দিন (কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী), আবু বকর সিদ্দিক (পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ)।
আশরাফুল আলম (খুলনার বাটিয়াঘাটা), সরফুদ্দিন (খুলনার তেরখাদা), এসএম আকরাম (খুলনার ফুলতলা), ফিরোজ আহমেদ (সাতক্ষীরার কলারোয়া), কামাল উদ্দিন (খুলনার রূপসা), আবদুল লতিফ অমল (চুয়াডাঙ্গার জীবনগর), মঞ্জুরুল আলম খান (ভোলার দৌলতখান), জেড কামরুল আনাম (ফেনীর সোনাগাজী)।
শেখ আবুল হোসেন (খুলনার দাকোপ), ফিরোজ আল মামুল (কুষ্টিয়ার দৌলতপুর), খলিলুর রহমান (পাবনার ফরিদপুর), আবদুস শহীদ ভুইয়া (কিশোরগঞ্জের মিঠামইন), ফারুক শিকদার (ঝালকাঠির কাঠালিয়া), ওয়াহিদুল্লাহ জসিম (ভোলার তজিমুদ্দিন), সেলিনা আক্তার (ভোলার মনপুরা), একরামুল হক (ফেনীর ফুলগাজী) ও চৌধুরী কামরুল (কিশোরগঞ্জের ইটনা)।
বিএনপি:
জিয়াউল ইসলাম (ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ), মোর্শেদ মিল্টন (বগুড়ার গাবতলী), তমিজ উদ্দিন (ঢাকার ধামরাই)।
আবদুর রহিম (নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ), আহমেদুল হক (কক্সবাজারের রামু), একরামুল আলম (নাটোরের বড়াইগ্রাম), এমএ মজিদ (ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু), আলিম চৌধুরী (সিলেটের কানাইঘাট), আবদুস সালাম (টাঙ্গাইলের নাগরপুর), মোখলেসুর রহমান (শেরপুরের নলিতাবাড়ি), গিয়াসউদ্দিন (কিশোরগঞ্জের ভৈরব)।
খোরশেদ আলম মতিন (দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া), ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া), মোতালেব খান (সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা), এমএ হারেস (নেত্রোকোনার মদন), আবদুল্লাহ আল মামুন (সিরাজগঞ্জের চৌহালী), দেলোয়ার হোসেন (চাঁদপুরের শাহরাস্তি), গণেশচন্দ্র সরকার (সুনামগঞ্জের শাল্লায়) ও শাহজাহান কবির (রবগুনার বেতাগী)।
জামায়াত:
মো. জসিমউদ্দিন (চট্টগ্রামের সাতকানিয়া), জহিরুল ইসলাম (চট্টগ্রামের বাঁশখালী), তোফায়েল আহমেদ (বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি), মোস্তাফিজুর রহমান (জয়পুরহাটের পাঁচবিবি) ও মাসুদ সাঈদী (পিরোজপুরের জিয়ানগর)।
জাতীয় পার্টি:
কামাল উদ্দিন (কিশোরগঞ্জের তাড়াইল)।
অন্যান্য:
জেএসএস সমর্থিত উদয় জয় চাকমা (রাঙামাটির জুড়াছড়ি)। জেপি সমর্থিত আতিকুল ইসলাম (পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া)। স্বতন্ত্র সৈয়দ আহমেদুল হক (হবিগঞ্জ) ও আতাহার আলী (হবিগঞ্জের আজমীরীগঞ্জ)।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন