Image description

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় একটি মেস থেকে মো. সাব্বির ইসলাম নামে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর কলেজ রোড রেলক্রসিং এলাকার একটি ছাত্রবাসে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ঢাকার মিরপুরের বাঙলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

সাব্বির ইসলাম নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের আগপাড়া এলাকার কৃষক মো. রফিক মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকায় থেকে লেখাপড়া করত। তবে গত এক মাস ময়মনসিংহ এসে কলেজ রোড এলাকার ছাত্রবাসে এক বন্ধুর কাছে থাকত।  

আত্মহত্যার আগে বিকেল ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট দেন সাব্বির ইসলাম। ওই পোস্টে তাকে কান্না করতে দেখা যায়। এতে তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করতে যাবেন না, শুধু জেরিনের বড় ভাই শামীম ছাড়া। আমার এই পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী শামীম। আমার জেরিনকে ব্ল্যাকমেইল করে আমার থেকে দূরে সরিয়েছে। আমি চাই আমার লক্ষ্মীটা সব সময় ভালো থাকুক। আম্মু-আব্বু আমাকে ক্ষমা করে দিও, তোমাদের কথা রাখতে পারলাম না।’     

মেসের বন্ধুরা জানায়, সাব্বির ইসলাম জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজের এক ছাত্রীকে ভালোবসত। কিন্তু তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি মেয়েটির বড় ভাই শামীম। এটা নিয়ে সাব্বির হতাশাগ্রস্ত ছিল।  সোমবার বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে ভিডিও পোস্ট দিয়ে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।