স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গেল কিছুদিন ধরেই অনশন ও আন্দোলন করছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। যদিও এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তবে এবার সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাদের সুখবর দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তিতুমীর কলেজের বিষয়ে ইতিবাচক সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিতুমীর কলেজের বিষয়ে ইতিবাচক সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে আয়োজিত স্বরস্বতী পূজা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ বলেন, ‘হয়তো একটি ইতিবাচক সমাধানের দিকে যাবে সেই প্রক্রিয়া চলমান। আমি বলবো তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদেরকেও ধৈর্য ধারণ করার জন্য এবং তাদের শিক্ষা জীবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিও সরকার আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল। কিন্তু এই মুহূর্তে হয়তো অনেক কিছু করা সম্ভব না।’
শিক্ষার্থীদের জনভোগান্তি না করার আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জনভোগান্তি না করে আমরা যাতে সেই বিষয়টা মাথায় রাখি। আশা করি সবার জন্যই ভালো কিছু হবে।’
একই সময়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও পূজা পরিদর্শন করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পাঁচই অগাস্টের পরিবর্তনের পরে আওয়ামী লীগ প্রথম দিন থেকেই যেকোনো সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের উস্কে দেয়ার মতো পরিস্থিতি পাঁচই অগাস্টের পর থেকেই ঘটছে। ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা আছে। এখন পর্যন্ত তারা তাতে সফল হয় নি।’
বাংলাদেশের জনগণ এ বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষ চায় না আওয়ামী লীগ কোনভাবেই তার মতাদর্শ, তার নাম নিয়ে, একটা এরকম গণহত্যা ঘটানোর পর তারা আবারও ফিরে আসুক। কারণ এটা বাংলাদেশের সকল জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।’
অনেকবার বিশৃঙ্খলা ঘটাতে তারা চেষ্টা করলেও এবার তারা বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন এই উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারিতে লিফলেট বিতরণ, অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এদিকে, ষষ্ঠ দিনের মতো তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে অনশন করছে কয়েকজন শিক্ষার্থী। একইসাথে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা মহাখালীতে বাঁশ দিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে।