কারাগারে রাজনৈতিক আলোচনা করার সুযোগ নেই। বর্তমানে বন্দিদের সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। তারা কারা বিধি অনুযায়ী থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক কিংবা বিশেষ শ্রেণীর বন্দিদের দিকে আরো বেশি নজরদারি করা হচ্ছে।
কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (মিডিয়া সেলের দায়িত্বরত) মো: জান্নাত-উল-ফরহাদ গত রাতে ইনকিলাবকে বলেন, সম্প্রতি দু’-একজন রাজনৈতিক কারাবন্দি আদালতে এসে আইনজীবীদের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভট ও বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে নিজেরা আলোচনায় থাকার অপকৌশল নিচ্ছেন। নিজেরাই এটা ছড়াচ্ছেন। আর এসব গুজবে কোনো কোনো গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়েছে। যেখানে কারাগারের কোনো উদ্ধৃতি নেই।
জেলখানা থেকে আদালতে এসে একই মামলার আসামি হিসেবে একজন আরেকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ কিংবা খুবই স্বল্প সময়ের জন্য কথা বলার সুযোগ পেতে পারেন। কিন্তু ওই সময়টুকুতেও তো পুলিশের প্রহরায় থাকেন।
তবে আসল সত্য হলো, কারাগারে বসেই যদি কোনো বন্দি বাইরে অথবা ভেতরেও অন্য বন্দিদের সাথে রাজনৈতিক আলোচনার সুযোগ পেতেন তাহলে তো আর আদালতে টিস্যু পেপারে লিখে তথ্য আদান-প্রদানের প্রয়োজন পড়ত না।
কারা অধিদফতরের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত সাবেক মন্ত্রী ও হাইপ্রোফাইল রাজনৈতিক নেতাদের অর্থ্যাৎ বিশেষ শ্রেণীর বন্দিদের ভিন্ন ভিন্ন কারাগারের ভিন্ন ভিন্ন কামরায় রাখা হয়েছে। সেখানে একজনের সঙ্গে অপরজনের সাক্ষাৎ কিংবা কারো সাথে রাজনৈতিক কিংবা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র তো দূরের কথা কোনো ধরনের আলোচনারই সুযোগ নেই। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের গ্রেফতারকৃত আলোচিত রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা করে রাখা হয়েছে।
এছাড়া কারাগারে এখন সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ভেতরের কোনো স্টাফও বিনা প্রয়োজনে তাদের কক্ষে প্রবেশের সুযোগ নেই। ভেতরে তারা একজন সাধারণ বন্দি হিসেবেই রয়েছেন। বরং সাধারণ বন্দিদের চেয়েও তাদের দিকে বেশি নজরদারি করা হচ্ছে। জেলখানায় থাকা-খাওয়া চিকিৎসাসহ নিজ নিজ ধর্ম পালনে প্রয়োজনীয় সব কিছু সরবরাহ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই দেয়া হয়।